খেলাধুলা

বাংলাদেশের প্রথম না ভারতের অষ্টম

ক্রীড়া ডেস্ক: নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। বিগ ফাইনালের আগের দুই দলের পরিসংখ্যান এবং অন্যান্য রেকর্ডে একবার চোখ বুলানো যাক- বাংলাদেশ ০ : ৭ ভারত: টি-টোয়েন্টি এখন পর্যন্ত ‍দুই দল খেলেছে সাতটি ম্যাচ। প্রতিটিতেই জয় ভারতের। আজ বড় মঞ্চে বাংলাদেশ জয়ের খাতা খুলতে পারে কিনা সেটাই দেখার। বাংলাদেশের শূন্য:  এর আগে কোনো ফাইনালেই শিরোপা জিততে পারেনি বাংলাদেশ। ঢাকায় দুবার এশিয়া কাপ ফাইনাল, ২০০৯ সালে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল এবং ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল হেরেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে মুখোমুখি দুই দল: ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) বাংলাদেশে আয়োজন করেছিল এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। সংযুক্ত আরব আমিরাত, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানকে হারিয়ে বাংলাদেশ পৌঁছে যায় ফাইনালে। সেবারই প্রথম কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশ-ভারত। আজ কলম্বোতে দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনাল খেলতে যাচ্ছে দুই দল। মাহমুদউল্লাহর চার রানের অপেক্ষা: আর মাত্র ৪ রান করলেই চতুর্থ বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ৪ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ  করবেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ ম্যাচে এ মাইলফলক স্পর্শ করেন মুশফিকুর রহিম। এর আগে তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান এ মাইলফলক অতিক্রম করেন। দলীয় সর্বোচ্চ রান: দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে ২০০৯ সালে ভারত সর্বোচ্চ ১৮০ রান করেছিল। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান ১৫৯। দলীয় সর্বনিম্ন রান: মুখোমুখি লড়াইয়ে ভারতের সর্বনিম্ন রান ১৪৬, বাংলাদেশের ১২১।

সবচেয়ে বেশি রান: বাংলাদেশের হয়ে সবথেকে বেশি রান করেছেন সাব্বির রহমান, ১৫৯। ভারতের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান রোহিত শর্মার, ৩০০। সেরা ইনিংস: বাংলাদেশের হয়ে মুশফিকুর রহিম সর্বোচ্চ ৭২ রান করেছেন। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ রান রোহিত শর্মার, ৮৯। সর্বোচ্চ উইকেট: পেসার আল-আমিন হোসেন সর্বোচ্চ পেয়েছেন ৭ উইকেট। ভারতের হয়ে রবিচন্দ্রন অশ্বিন পেয়েছেন সর্বোচ্চ ৬ উইকেট। সেরা বোলিং: পেসার আল-আমিন ৩৭ রানে পেয়েছিলেন ৩ উইকেট। ভারতের প্রজ্ঞান ওঝা পেয়েছিলেন ২১ রানে ৪ উইকেট।   রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ মার্চ ২০১৮/ইয়াসিন