ক্রীড়া প্রতিবেদক : গত বছর বিসিবির হাই পারফরম্যান্স স্কোয়াড (এইচপি) দুটি সফর করেছিল। ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া। দুটি সফর নিয়েই ছিল বিতর্ক। প্রথম বিতর্ক এইচপি দলের প্রতিপক্ষকে নিয়ে। ‘মানসম্মত’ ও ‘খেলার মতো’ প্রতিপক্ষ পায়নি বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। ক্রিকেটাররা এ নিয়ে অভিযোগ করেছেন ক্রিকেট বোর্ডেও। অস্ট্রেলিয়ায় সফর করেছিল জুলাইয়ে। সে সময়ে পারিশ্রমিক নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে স্মিথ-ওয়ার্নারদের চলছিল ব্যাপক ঝামেলা। তাই শক্ত প্রতিপক্ষ পায়নি সেখানে। নর্দান টেরিটরি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের দ্বিতীয় সারির একটি দলের বিপক্ষে একটি তিন দিনের ম্যাচ ও পাঁচটি ৫০ ওভারের ম্যাচ খেলছিলেন এনামুল হক বিজয়, লিটন দাস, মেহেদি মারুফরা। পরবর্তীতে ইংল্যান্ডেও একই চিত্র। সেপ্টেম্বরে গিয়েছিল ইংল্যান্ডে। সেখানে কাউন্টির দ্বিতীয় সারির ও একাডেমি দলের বিপক্ষে খেলেছিল নাজমুল হোসেন শান্ত, জাকির হাসান ও সাইফ উদ্দিনরা। শান্তর নেতৃত্বে সেখানে ৮টি ওয়ানডে খেলেছিল এইচপি স্কোয়াড। দুই সফর থেকে প্রাপ্তির খাতা অর্ধেকটাও পূর্ণ হয়নি। দুটো সফরকেই খেলোয়াড়রা বলেছিলেন ‘পিকনিক’। এখন থেকে আর কোনো ‘পিকনিক’ সফর হবে না। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বিসিবির পরিচালক ও এইচপির চেয়ারম্যান নাঈমুর রহমান দূর্জয়। ‘ভালোমানের’ প্রতিপক্ষ না পেলে এইচপির কোনো সফরও হবে না বলে স্পষ্ট করে জানিয়েছেন জাতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। মিরপুরে দূর্জয় বলেছেন, ‘গতবার কি হয়েছে সেটা আমি জানি না। এবার যেমন, ইংল্যান্ড দলের আলাপ আলোচনা হচ্ছিল বা সায়মন হেলমট (এইচপির কোচ) আয়োজন করছিল, আমি প্রতিপক্ষ কারা জানতে চাই। না জেনে আন্দাজে দল পাঠালাম তাহলে হলো না! আমি মনে করি আমাদের প্রতিপক্ষ যদি এইচপি বা এ দলের সঙ্গে ‘খেলার মতো’ হয় তাহলে আমরা আমরা যাব। নয়তো সফর করব না।’ জাতীয় দলের জন্য ক্রিকেটার তৈরি মঞ্চ এইচপি। আজকের সাকিব, তামিমরা উঠে এসেছেন এইচপি থেকেই। তাই এইচপিকে খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক দূর্জয়। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ এপ্রিল ২০১৮/ইয়াসিন/আমিনুল