খেলাধুলা

এশিয়া কাপ আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে মিথুনের

ক্রীড়া প্রতিবেদক : এশিয়া কাপে ভালো পারফরম্যান্সের পুরস্কার পেয়েছেন মোহাম্মদ মিথুন। জায়গা করে নিয়েছেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দলে। ক্যারিয়ারে এই প্রথম টানা দুই সিরিজে জাতীয় দলে সুযোগ পেলেন। ২৭ বছর বয়সি ব্যাটসম্যান জানালেন, এশিয়া কাপটা তার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে। এশিয়া কাপ শুধু মিথুনের আত্মবিশ্বাসই বাড়ায়নি, তার ভাবনারও পরিবর্তন ঘটিয়েছে। আগে দল থেকে বাদ পড়ার একটা চিন্তা মাথায় কাজ করত তার। এখন সেটা আর নেই। আজ মিরপুরে সাংবাদিকদের মিথুন বলেছেন, ‘পরিবর্তন আসলে ওইরকম কিছু না। আগের মতোই আছি। শুধু আত্মবিশ্বাসটা বেড়েছে। আগে একটা জড়তা কাজ করত। না পারলে আবার বাইরে, এই চিন্তা কাজ করত। এখন সেটা আপাতত নেই। এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাফল্য এসেছে। এখন আত্মবিশ্বাস আছে এই পর্যায়ে ভালো করতে পারব।’ এশিয়া কাপে চাপের মুখে নেমে দুটি ফিফটি করেন মিথুন। শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই দুই ম্যাচেই অবশ্য মিথুন আউট হয়েছেন বাজে শটে। সোজা বল লেগ সাইডে খেলার চেষ্টায় বল তোলেন আকাশে। সামনে ভুলগুলো যেন আর না হয়, সেজন্য কাজ করছেন মিথুন, ‘আসলে চাপের মুখে ব্যাট করতে গেলে অনেক সময় লুজ বলও মিস হয়ে যায়। এটাই ক্রিকেট। তারপরও এসব নিয়ে কাজ করছি। সামনে অনেক সময় আছে, সামনেও এসব নিয়ে কাজ করব।’ মিথুনের ওয়ানডে অভিষেক সেই ২০১৪ সালে। দুই ম্যাচ খেলেই বাদ পড়েছিলেন দল থেকে। এরপর আবার দলে ফিরতে লেগে যায় পাক্কা চার বছর। এ বছরের জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজের সেই ফাইনাল ম্যাচ দিয়ে ফেরার পরই আবার চলে যান দলের বাইরে। এই যাওয়া-আসাটা কতটা কঠিন ছিল মিথুনের জন্য? মিথুন বললেন, ‘আসলে আমার কাছে খুব বেশি কঠিন মনে হয়নি। এটা আমার পেশা। ঘুম থেকে উঠে মাঠে না আসলে আমার ভালো লাগে না। মাঠে এসে যদি কিছু করে যাই তাহলে দিন শেষে এটাই আমার সন্তুষ্টি। আমি যেখান থেকে অর্থ উপার্জন করি, যা দিয়ে আমার পরিবার চলে, সেটার পেছনেই আমার সময় দিতে হবে। আমি অন্য কিছু করি না। অনুপ্রেরণা সেখান থেকেই আসে। আর খেলা তো ছাড়ছি না। যেহেতু খেলছি সেহেতু এখানে ভালো করার চেষ্টা করতে হবে। সব সময় এই চেষ্টাই ছিল।’ প্রথমবার পরপর দুই সিরিজে দলে জায়গা পাওয়া নিয়ে মিথুন বলেছেন, ‘হ্যাঁ এটা সত্যি। এবার যেমন প্রথম ম্যাচেই ভালো রান হয়েছে, এর আগে কখনো এমন হয়নি। আগে এমন হলে হয়ত অনেক আগেই সময়টা আসত। যাই হোক, পেছনের কথা ভেবে তো লাভ নেই। এখন সামনে তাকাতে হবে।’ মিথুন এখন বিশ্বকাপে খেলারও স্বপ্ন দেখেন। স্বপ্নপূরণে কী করতে হবে সেটাও তার ভালোই জানা, ‘আমি আসলে ম্যাচ বাই ম্যাচ চিন্তা করি। একটা সিরিজ শেষ হয়েছে, আমি আপাতত জিম্বাবুয়ে সিরিজ নিয়ে চিন্তা করছি। বিশ্বকাপের এখনো অনেক সময় বাকি। এর মধ্যে সুস্থ থাকতে হবে, পারফর্ম করতে হবে। অনেক কিছুর ব্যাপার আছে। আমি যদি ম্যাচ বাই ম্যাচ, সিরিজ বাই সিরিজ ভালো করতে থাকি, তাহলে আমি বিশ্বকাপে সুযোগ পাব। আর বিশ্বকাপের স্বপ্ন তো সবার থাকে। আমারও স্বপ্ন আছে বিশ্বকাপ খেলার। তবে তার আগে অনেকগুলো ধাপ রয়েছে পার করার।’ জিম্বাবুয়ে সিরিজে ব্যক্তিগত কোনো লক্ষ্য নেই মিথুনের। দলের চাওয়াই তার কাছে সব, ‘আমি ব্যক্তিগত কোনো লক্ষ্য নিয়ে খেলি না। আর করলেও কখনো সফল হতে পারি না। সেজন্য ব্যক্তিগত লক্ষ্যের দিকে না তাকিয়ে দলের যখন যা দরকার, সেই অনুযায়ী কাজ করার চেষ্টা করতে হবে।’ রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ অক্টোবর ২০১৮/পরাগ