খেলাধুলা

জিম্বাবুয়ে নয়, আফিগানিস্তান ম্যাচ ইমরুলের সেরা

ক্রীড়া প্রতিবেদক, মিরপুর থেকে: ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন ইমরুল কায়েস। রোববার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৪৪ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েছেন বাঁহাতি ওপেনার। যা বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। মুশফিক এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে করেছিলেন ১৪৪ রান। তামিমের সর্বোচ্চ রান ১৫৪। ইমরুল ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেললেও তার কাছে আজকের ইনিংসটি জায়গা করে নিয়েছে শীর্ষ দুই-তিনে! দল জয় পাওয়ায় তার কাছে ইনিংসটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ, অনেক স্পেশাল। কিন্তু এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে করা ৭২ রানের ইনিংসটি তার সেরা। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ইমরুল বলেছেন,‘এটা আমার ক্যারিয়ারের ভালো একটি ইনিংস হিসেবে রাখব। তবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওই ইনিংস অনেক দরকার ছিল।’ আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলা ৭২ রানের ইনিংস ও আজকের ১৪৪ রানের প্রেক্ষাপট প্রায় একই। সেদিনও আবুধাবিতে ইনিংস মেরামতের কাজ করেছিলেন। ছয়ে নেমে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে গড়েছিলেন ১২৮ রানের জুটি। ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ।  আজ মিরপুরে ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন। একপ্রান্তে থেকে সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিল দেখেন। পথ না ভুলে ইনিংস বড় করেন। তাতেই সফল ইমরুল। তাকে সপ্তম উইকেটে সঙ্গ দেন সাইফউদ্দিন। রেকর্ড ১২৭ রান যোগ করেন তারা। তাতেই স্বস্তি পায় বাংলাদেশ শিবির। পরবর্তীতে শেষ হাসি হাসে বাংলাদেশ। ম্যাচ জিতেছে ২৮ রানে।  দুইয়ের মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য নেই তা স্পষ্ট। তবে এশিয়া মঞ্চে আফগানিস্তানের বিপক্ষে অসাধারণ ইনিংস খেলায় সেটাই তার কাছে সেরা। তাইতো আফগানিস্তানের ইনিংসটিকে স্মরণ করছিলেন বারবার।   ‘আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি। আমি কি করতে পারি, কি পারি না, অনেক কিছু জেনেছি ওই ইনিংস থেকে। আজকে ব্যাটিংয়ের সময় ওই ইনিংসটার কথা বারবার মনে করছিলাম। ওরকম একটা কঠিন পরিস্থিতিতে, চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে যদি ভালো কিছু করতে পারি, তাহলে নিজেদের কন্ডিশনে আরও ভালো কিছু করতে পারব।’- বলেছেন ইমরুল। এর আগে ২০১০ সালে নিউজিল্যান্ডে ক্রাইস্টচার্চে ১০১ রান ও ২০১৬ সালে মিরপুরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১১২ রান করেছিলেন ইমরুল। আগের দুই সেঞ্চুরির ম্যাচে দুটিতেই হেরেছিল বাংলাদেশ! এবার দল জেতায় দ্বিগুন খুশি ইমরুল। তার চোখে-মুখেই তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল,‘আপনি সেঞ্চুরি করে কিংবা অন্যরকম একটা ইনিংস খেলে যদি দলকে জেতাতে পারেন তাহলে খুব ভালো অনুভূত হয়। আজ সেঞ্চুরি করেছি এবং একটা কঠিন সময় থেকে ইনিংসটাকে বিল্ডআপ করেছি। আমাদের একটা ভালো স্কোর হয়েছে। দলের রান হয়েছে। এটা অবশ্যই আমার জন্য আনন্দের বিষয় এবং আমার খুশিটা দলের সবাই উদযাপন করবে।’   ত্রিপানোর শর্ট বল লেগ সাইডে পাঠিয়ে ৯৯ থেকে তিন অঙ্কে পৌঁছান ইমরুল। ১১৮ বলে সেঞ্চুরি। উদযাপনটাও ছিল দেখার মতো। গত ৩০ সেপ্টেম্বর পুত্র সন্তানের বাবা হন ইমরুল। সেঞ্চুরির পর হেলমেট খুলে ব্যাট দুই হতে নিয়ে দোল খাওয়ান। ম্যাচ জয়ের নায়ক ইমরুল জানালেন, সেঞ্চুরিটি উৎসর্গ করেছেন পুত্র শোহায়েব বিন কায়েসকে।  

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ অক্টোবর ২০১৮/ইয়াসিন