খেলাধুলা

‘টিভিতে তোরে দেখতে পারি, মাঠে এসে তোরে খুঁজেই পাই না’

ক্রীড়া প্রতিবেদক, সিলেট থেকে : টেস্ট ক্রিকেট মানেই আভিজাত্য। টেস্ট ক্রিকেট মানেই পূর্ণতা। টেস্ট ক্রিকেট মানেই নিদারুণ আনন্দ। চলতি বছরের জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজে টেস্ট অভিষেকের মধ্য দিয়ে ক্রিকেট ক্যারিয়ারের পূর্ণতা পায় আবু জায়েদ রাহীর। বাংলাদেশের ৮৮তম খেলোয়াড় হিসেবে টেস্ট ক্যাপ পেয়েছিলেন সিলেটের এ পেসার। ঘরের মাঠে প্রথমবারের মতো আজ খেলতে নেমেছেন রাহী। সেটাও নিজের শহরে। যে আলো-বাতাস গায়ে মেখে রাহী বড় হয়েছেন, ক্রিকেটের হাতে-খড়ি পেয়েছেন, সেখানেই আজ প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন। শুরুটা আবার তার হাত ধরেই। টস হেরে বোলিং করতে নেমে করেছেন প্রথম ওভার। ২৫ বছর বয়সি এ ক্রিকেটারের জন্য এ ম্যাচ বেশ স্মরণীয়। প্রত্যাশিতভাবেই পরিবারের সদস্যদের মাঠে চেয়েছিলেন ডানহাতি পেসার! কাছের মানুষরা তাকে সাহস জোগাবেন, অনুপ্রাণিত করবেন এমন ভাবনা হয়তো ছিল। কিন্তু ওমন কিছু হয়নি। পরিবারের কেউ তার খেলা মাঠে এসে দেখেননি। যে টিকিট পেয়েছেন সেগুলো কি করেছেন তা খোলাসা করেননি। তবে মাকে মাঠে নিয়ে আসতে পারেননি রাহী। কেন? সেই উত্তর দিয়েছেন সিলেটে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনের খেলা শেষে, ‘‘বিপিএলের সময় আমার আম্মু আসছিল। তখন আম্মু বলছে যে, ‘মাঠে না গিয়ে বাবা আমি তোকে টিভিতেই দেখব! টিভিতে তোরে দেখতে পারি, মাঠে এসে তোরে খুঁজেই পাই না।’ তাই উনি বলছেন, ‘মাঠে আসব না, টিভিতে দেখব। এত ঝামেলা নিতে পারব না।’ তাই বাসা থেকে কেউ আসেনি।’’ স্থানীয় ক্রিকেটার হিসেবে তার টিকিটের চাপ বেশি। কিন্তু মাঠে নামার আগে বাড়তি চাপ এড়িয়ে চলেন দ্রুতগতির এ বোলার, ‘না এখন টিকেটের চাপ নাই। মাঝখানে যখন সবাইরে বলছিলাম, ‘‘ভাই খেলতে আসি, টিকেট দেওয়ার জন্য আসি না। সব মিলিয়া আমাকে দুইটা বা পাঁচটা টিকেট দেয়। তাইলে আমি কীভাবে টিকেট যোগাড় করে দিব।’’ এরপর এই যে শ্রীলঙ্কা সিরিজের সময় থেকে কেউ আর টিকেট চায় না আমার কাছ থেকে।’ রাইজিংবিডি/সিলেট/৩ নভেম্বর ২০১৮/ইয়াসিন