খেলাধুলা

ফিল্ডিংয়েও বিশ্বসেরা হবে বাংলাদেশ: রায়ান কুক

ক্রীড়া প্রতিবেদক: তার কোচিং নিয়ে বেশ সন্তুষ্ট দলের সিনিয়ররা। মাশরাফি তো একদিন বলেই দিয়েছেন, ‘ওকে যদি আমরা আরও দুই বছর ধরে রাখতে পারি এবং খেলোয়াড়রা যদি শিখতে পারে দেখবেন ফিল্ডিংয়ে আমরা তুখোড় হয়ে উঠব।’ দলের ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুককে নিয়ে কথা বলছিলেন মাশরাফি। শুধু মাশরাফি নন দলের সিনিয়রা তার নিবেদনে তুষ্ট। দলের নতুন খেলোয়াড়দের কাছেও তার বেশ সুনাম। তবে ফিল্ডিংয়ে কি সেই চিত্র ধরা পড়ছে? খালি চোখে অনেক কিছুই ধরা পড়বে না। চুলছেড়া বিশ্লেষণে মিলবে সাফল্য। সেই সাফল্য ধারা ধরে রাখতে হলে প্রয়োজন দীর্ঘ সময়। সেই সময়টুকু অন্তত খেলোয়াড়দের দিতে চান রায়ান কুক। রোববার চট্টগ্রামে ফিল্ডিং নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন কুক। রাইজিংবিডির পাঠকদের জন্য তার চুম্বক অংশ দেওয়া হল: ক্যাচ ড্রপ হচ্ছে নিয়মিত। আপনার প্রতিক্রিয়া... রায়ান কুক: আমি মনে করি শুরুতে আমাদের কঠিন সুযোগ আসছে। প্রথম টেস্টে আমরা ৯১ শতাংশ ক্যাচ নিতে পেরেছি। যেটা অসাধারণ।যদি বলে ওয়ার্ল্ড ক্লাস তাহলেও ভুল হবে না। দ্বিতীয় টেস্টে কঠিন সুযোগ এসেছিল যেগুলো আমরা নিতে পারিনি। ছেলেরা ফিরে এসে জানিয়েছে তারা আরও কঠিন পরিশ্রম করতে উৎগ্রীব। পুনরায় যেন ভুল না করে এজন্য তারা পরিশ্রম করতে মুখিয়ে আছে। অ্যাটিটিউডে সমস্যা আছে কোনো? রায়ান কুক: না। আমি ছেলেদের অ্যাটিটিউডে সন্তুষ্ট। ফিল্ডিংয়ে যে উন্নতি ছেলেরা করেছে তা অসাধারণ। তাই বলছি অ্যাটিটিউডে কোনো সমস্যা নেই। তাদের আরও উন্নত হতে হবে এবং দিন দিন আরও উন্নতি হবে। ফিল্ডিংয়ে অনুকরণীয় ফিল্ডারের অভাব আছে? রায়ান কুক: হয়তো! আমার যেটা মনে হয় এখন ছেলেরা তাদের ফিল্ডিংয়ের মান নতুন করে ঠিক করছে। এখান থেকেই বিশ্বসেরা ফিল্ডার আসবে, বাংলাদেশও বিশ্বসেরা ফিল্ডিং সাইড হবে। এটা নিয়ে কোনো দ্বিমত নেই যে আমরা বিশ্বসেরা হতে পারব না। বড় জুটিতে মনযোগ ধরে রাখা কতটা কষ্টকর? রায়ান কুক: এটা সত্যিই কঠিন। কেউ যদি ফিল্ডিংয়ে টানা ছয় ঘন্টা ফিল্ডিং করে এবং ছয় ঘন্টার শেষ সময়ে হঠাৎ তার কাছে একটা ক্যাচ যায় তাহলে সেটা লুফে নেওয়া কঠিন। কিন্তু কাজটা করতেই হবে। ওটাই তার পেশা। দেখুন, ডাক্তারের কাছে দিনের শেষ অস্ত্রোপচারটাও যা শুরুরটাও তা। তাকে সেভাবেই অস্ত্রোপচার করাতে হবে যেভাবে দিনের প্রথমটা করিয়েছিলেন। তাকে পূর্ণ মনযোগ রাখতে হবে। স্লিপের জন্য বিশেষজ্ঞ ফিল্ডার রায়ান কুক: দেখুন স্লিপে ফিল্ডার তৈরি হয় ঐতিহ্য থেকে। দক্ষিণ আফ্রিকায় বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট থেকে চার স্লিপ ও গালিতে ফিল্ডার রেখে ম্যাচ হয়। এখানে যে ধরণের উইকেটে খেলা হয় সেখানে সেই সুযোগটি নেই। বড়জোর দুজন স্লিপ নিয়ে খেলা যায়। সেটাও বেশিক্ষণ ক্যারি করা যায় না। সেই ধরণের উইকেট বানালে হয়তো স্লিপের বিশেষজ্ঞ ফিল্ডার তৈরি করা সম্ভব। পেসাররা আনলাকি? বিশেষ করে খালেদ। প্রথম টেস্টে তার তিনটি ক্যাচ মিস? রায়ান কুক: ফিল্ডারদের তখনই কাউন্ট করা হয় যখন তারা ক্যাচ নিতে পারে। বোলাররা যখন বোলিং করে তখন তাদের কাউন্ট করা হয়। কেউই ক্যাচ ছাড়তে চায় না। বোলারদের জন্য সবাই চেষ্টা করে। কখনো কখনো তাদের প্রচেষ্টা কাজে আসে না। একটা ভালো দিক যে ড্রেসিং রুমের পরিস্থিতি স্বাভাবিক। সবাই ড্রেসিং রুমে কথা বলে। ছেলেরা অনুশীলনে সবাই কষ্ট করে। তাদের প্রচেষ্টা দেখে থাকেন বোলাররা। তাই ক্যাচ মিস হলে বোলাররা কম বিরক্ত হয়। সাকিব ফিরে এসেছে। তার অনুশীলন কেমন হল? রায়ান কুক: তার হাই ক্যাচ দেখিনি। কারণ আমি কভার ক্যাচিং করাচ্ছিলাম। সেখানে ও ভালো করছিল। তার অ্যাটিটিউড দারুণ। দলের সেরা অ্যাটিটিউড কার? রায়ান কুক: সবার মধ্যে ভিন্ন অ্যাটিটিউড থাকে। আমার কাছে এমন কজন আছে তারা প্রত্যেকেই ভালো ক্যাচ ধরে। কেউ ভালো থ্রো করে। কেউ দ্রুত দৌড়াতে পারে, রান বাঁচাতে পারে। এজন্য কাউকে নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন।

   

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৯ নভেম্বর ২০১৮/ইয়াসিন/আমিনুল