খেলাধুলা

তিন টেস্টের সিরিজ নিয়ে প্রধান নির্বাচকের ‘ভয়’

ক্রীড়া প্রতিবেদক, সিলেট থেকে : আগামী বছর বাংলাদেশ দলের আন্তর্জাতিক সিরিজ শুরু হবে নিউজিল্যান্ড সফর দিয়ে। টেস্ট, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টিতে এ বছর দারুণ সময় কাটিয়েছে বাংলাদেশ। আগামী বছর একই সাফল্যধারা ধরে রাখতে চান বাংলাদেশের দুই অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা ও সাকিব আল হাসান। নতুন বছরের দ্বিতীয় মাসে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড। নিউজিল্যান্ড সফরে ৩টি ওয়ানডে এবং ৩টি টেস্ট খেলবে দল। সবশেষ নিউজিল্যান্ড সফরে বাংলাদেশের পাফরম্যান্স সুখকর ছিল না। টেস্ট সিরিজে ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশের পর ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরে যায় ৩-০ ব্যবধানে। এবার সেই হারের বদলা নিতে চায় বাংলাদেশ। কিন্তু কাজটা শুধু কঠিনই নয়, দুরূহ।  মাঠের পারফরম্যান্সের থেকেও বাংলাদেশের ভয় ভিন্ন জায়গায়। দীর্ঘ সফরে খেলোয়াড়রা ফিটনেস ধরে রাখতে পারে কি না, তা নিয়েই ভয় প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর। দীর্ঘদিন হয়ে গেল বাংলাদেশ খেলছে না তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। সবশেষ খেলেছে ২০১৪ সালে, ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। এর আগে খেলেছে মাত্র ২০০৩ সালে পাকিস্তান সফরে, ২০০৭ সালে শ্রীলঙ্কা সফরে। চার বছর পর তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলার আগেই ফিটনেস নিয়ে ভয় প্রধান নির্বাচকের, ‘আমাদের ওখানে তিনটা টেস্ট ম্যাচ আছে। আমরা অনেক দিন পর তিনটা টেস্ট ম্যাচের একটা সিরিজ পেয়েছি। এটা কিন্তু আমাদের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং। আমরা কিন্তু ব্যাক টু ব্যাক লংগার ভার্সনে এতগুলো ম্যাচ খেলি না। আমাদের এই খেলোয়াড়রা দেশের বাইরে কিন্তু তিনটা টেস্ট ম্যাচ কখনো খেলেনি। সে হিসেবে খেলোয়াড়দের ফিট থাকার জরুরি। পুরোপুরি ফিটনেস না থাকলে পারফর্ম করাও কঠিন।’ ২০১৪ সালে ঘরের মাঠের সিরিজে তামিম, সাকিব, মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ সবাই ছিলেন। ২০০৭ সালে শ্রীলঙ্কা সফরে ছিলেন শুধুমাত্র সাকিব ও মুশফিক। এর আগে ২০০৩ সালে বর্তমান বাংলাদেশ দলের কারোই আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়নি। নিউজিল্যান্ড সফরের দল সাজাতে কঠিন ‘পরীক্ষা’ দিতে হবে নির্বাচকদেরও। নিয়মিত খেলছে এবং শতভাগ ফিট আছে এমন খেলোয়াড়দের সুযোগ দিতে চান প্রধান নির্বাচক। কাগজে-কলমে ভালো পরিকল্পনা করলে মিনহাজুলের বিশ্বাস ভালো করবে বাংলাদেশ দল।  ‘নিউজিল্যান্ড সিরিজের দল নিয়ে এখনই বলতে পারব না। এর আগে বিপিএলের জন্য এক মাসের একটা গ্যাপ আছে। নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশন পুরোপুরি আলাদা। আমরা হোমে যে ধরনের কন্ডিশনে খেলি, সেখান থেকে কিন্তু অনেক অনেক ভিন্ন ক্রিকেট নিউজিল্যান্ডে খেলতে হয়। সেই হিসেবে পরিকল্পনাও অন্য রকম হয়। তবে ভালো পরিকল্পনা করলে অবশ্যই ভালো ফল পাওয়া যাবে’- বলেন প্রধান নির্বাচক। রাইজিংবিডি/সিলেট/১৬ ডিসেম্বর ২০১৮/ইয়াসিন/পরাগ