খেলাধুলা

এবার নিউজিল্যান্ডে জয়ের আশা মুশফিকের

ক্রীড়া প্রতিবেদক: নিউজিল্যান্ডে মাটিতে কখনোই ওয়ানডে জিততে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ সফরে তিন ওয়ানডেতেই ধবলধোলাই হয়েছিল মাশরাফির দল। এর আগে ২০০৮ এবং ২০১০ সালের সফরে দু’বারই ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছিল বাংলাদেশ। এছাড়া ২০১৫ সালে বিশ্বকাপেও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে নিউজিল্যান্ডে ১০ ওয়ানডের সবকটিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে স্বাগতিকদের হারাতে না পারলেও আয়ারল্যান্ডে এবং ইংল্যান্ডে কিউইদের হারিয়েছে বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের শেষ ম্যাচে এবং ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডকে বধ করেছিল বাংলাদেশ। এবারও অধরা জয়ের খোঁজে বাংলাদেশ। মুশফিকের বিশ্বাস আসন্ন সফরে নিউজিল্যান্ডে বিজয়ের পতাকা উড়াবে ‍বাংলাদেশ। ‘‘আমরা তো অবশ্যই নিউজল্যান্ডে ওয়ানডে জয়ের সামর্থ্য রাখি। সবশেষ যখন সেখানে গিয়েছিলাম তখন কিন্তু আমরা দুইটা ওয়ানডেতে খুব কাছে গিয়ে হেরে গিয়েছিলাম, যা আমাদের জেতা উচিত ছিল। কারণ নেলসনে যেই ওয়ানডে হয়েছিল, আমরা যদি আরো একটু ভালো খেলতে পারতাম তাহলেই হতো।’’ – বলেছেন মুশফিক। ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স মুশফিককে বাড়তি আত্মবিশ্বাসী করছে। র‌্যাঙ্কিংয়ের দুই নম্বর দল ভারত নিউজিল্যান্ডে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে ৪-১ ব্যবধানে। মুশফিকের বিশ্বাস নিজেদের দিনে ভালো পারফরম্যান্স করলে বাংলাদেশেরও জয় অসম্ভব কিছু না। ‘‘নিউজিল্যান্ড চ্যালেঞ্জ অনেক কঠিন। ওয়ানডেতে ভারত জিতেছে এবং নিউজিল্যান্ড ভালো লড়াই করেছে। আমার বিশ্বাস আছে আমাদের যেই দল যাবে তারাও ভালো করবে।’’ – যোগ করেন মুশফিক। নিউজিল্যান্ডের মাঠগুলো বরাবরই হাই স্কোরিং। এবার বাংলাদেশের তিন ওয়ানডে নেপিয়ার, ক্রাইস্টচার্চ ও ডুনেডিনে। তিন মাঠেই রানের বন্যা হবে। বিশ্বকাপের আগে এ ম্যাচগুলো বেশ কাজে দিবে বলে মনে করছেন মুশফিক। ‘‘বিশ্বকাপের আগে আমাদের জন্য খুব ভালো একটা প্রস্তুতি হবে। এখানে কিছু হাই স্কোরিং ম্যাচ হতে পারে। সে দিক থেকে আমি মনে করি এটা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হবে। পাশাপাশি রান করতে পারলে তো অবশ্যই আমরা এগিয়ে যাব।’’- বলেছেন মুশফিক। ৭ ও ৯ ফেব্রুয়ারি দুই ভাগে ভাগ হয়ে নিউজিল্যান্ড যাবে বাংলাদেশ দল। নিউজিল্যান্ডে ১০ ম্যাচে জয় না পাওয়া বাংলাদেশ এবার জয় পায় কিনা সেটাই দেখার। রাইজিংবিডি/ঢাকা/৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/ইয়াসিন/আমিনুল