খেলাধুলা

নিজের কাছে যুদ্ধ জিতে একটু খুশি মুশফিক

ক্রীড়া প্রতিবেদক : মাশরাফি, সাকিব, মাহমুদউল্লাহ, তামিম ইকবালের বিপিএল দল ঠিক ছিল অনেক আগের থেকেই। বাংলাদেশের পঞ্চপান্ডবের মধ্যে কেবল মুশফিকই বিপিএলের ড্রাফটের আগে দল পাননি। ড্রাফটের সকালে তাকে দলে নিয়ে চমক দেয় চিটাগং ভাইকিংস। সেই মুশফিকের হাত ধরেই বিপিএলের সেরা চারে উঠে চিটাগং। দলে মুশফিক বাদে আহামরি বড় তারকা খেলোয়াড় ছিল না। কিন্তু চিটাগং অবাক করে দেয় সবাইকে। মাঠের লড়াইয়ে একটা সময় তারা ছিল অপ্রতিদ্বন্দ্বী। কিন্তু মাঝপথে পথ ভুলে সেরা দুইয়ে থাকা হয়নি তাদের। সেরা চারে উঠে এলিমিনেটর ম্যাচ খেলে তারা। আজ এলিমিনেটরে ঢাকার কাছে হেরে বিপিএল সফর শেষ করেছে চিটাগং। শিরোপার লড়াই থেকে ছিটকে গেলেও চিটাগংয়ের পারফরম্যান্সে খুশি মুশফিক। ‘‘সবমিলিয়ে যেই দল ছিল ভাইকিংসের, সেই দিক থেকে এতদূর আসতে পেরেছে এটা অবশ্যই গর্বের।বাঁচা মরার ম্যাচ ছিল। একটা প্রতিযোগিতা হবে, সেটাই সবার প্রত্যাশা করেছিলাম। উইকেট ভালো ছিল। আমরা ১৬০ রানের মত করতে পারলেও ঢাকাকে চাপে রাখতে পারতাম। সেটা হয়নি।’’ অধিনায়ক মুশফিকের পারফরম্যান্সও ছিল নজরকাড়া। স্থানীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে সবথেকে বেশি রান তার ব্যাটে। ১৩ ম্যাচে করেছেন ৪২৬ রান। শেষ দুই আসরে মুশফিক ভালো করতে পারেননি। বরিশাল বুলস ও রাজশাহী কিংসের হয়ে দুই টুর্নামেন্টে করেছিলেন ৩৪১ ও ১৮৫ রান। এবার বিপিএলের শুরু থেকেই নিজের কাছে পণ করেছিলেন যে করেই হোক আগের দুই আসর থেকে ভালো করবেন। নিজের লক্ষ্য ঠিক করেছিলেন। সেই লক্ষ্য পৌঁছে একটু খুশি মুশফিক। ‘‘দল ফলাফল খারাপ হলে স্বাভাবিকভাবে খারাপ লাগবে। ব্যক্তিগতভাবে ও দলের মালিক এবং ম্যানেজমেন্টেরও খারাপ লাগবে। গত দুই বছর, এক বছর ছিলাম বরিশাল বুলসে, আরেকবছর ছিলাম রাজশাহী কিংসে, সেইবার কোয়ালিফাই করতে পারিনি। এটা ভালো অনুভুতি নয়। আমি নিজের কাছে যেই প্রত্যাশা করি সেটাও পূর্ণ করতে পারিনি। এটা ভালো অনুভূতি নয়।’’ ‘‘আগের যে কোনো টুর্নামেন্টের চেয়ে এবার আমি একটু খুশি। কিছু কিছু জায়গায় অনেক কঠিন অবস্থা ছিল, যেখান থেকে বের হয়ে আসা এবং নিজের কাছেই নিজেকে প্রমাণ করা যে আমি গুড এনাফ। নিজের কাছে যেই যুদ্ধটা ছিল সেটা জিততে পারায় একটু সন্তুষ্ট, বেশি না।’’ রাইজিংবিডি/ঢাকা/৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/ইয়াসিন/আমিনুল