ক্রীড়া প্রতিবেদক : ক্রীড়াবান্ধব প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় ও কক্সবাজার ফুটবল রেফারি অ্যাসোসিয়েশনের ব্যবস্থাপনায় আগামী সপ্তাহে শুরু হচ্ছে ‘ওয়ালটন কক্সবাজার রেফারি ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০১৯’। যেখানে কক্সবাজারের ৭৫ জন রেফারি অংশ নিবেন। শুধু টুর্নামেন্টই নয়, তার আগে হবে রেফারিদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা। কর্মশালা শেষে রেফারিদের নিয়ে গঠিত দলগুলো নিয়ে হবে ফুটবল টুর্নামেন্ট। যেখানে রেফারিরা যা শিখেছেন এবং যা জানেন সেগুলোর প্রয়োগ ঘটাতে পারবেন। টুর্নামেন্টের বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার ফুটবল রেফারি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বলেন, ‘আমাদের কক্সবাজারের রেফারিদের জন্য আমরা প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করতে যাচ্ছি ১৭ ও ১৮ এপ্রিল। এই আয়োজনে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে ওয়ালটন গ্রুপের মতো প্রতিষ্ঠান। সে জন্য আমরা খুবই আনন্দিত ও গর্বিত। রেফারিদের মান বাড়ানো ও নতুন রেফারি তৈরি করতে আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। যেখানে নতুন ও পুরাতন রেফারিরা অংশ নিবেন। প্রশিক্ষণ কর্মশালা শেষে তাদের নিয়ে আয়োজিত হবে ফুটবল টুর্নামেন্ট। আশা করছি দারুণ একটি আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই কর্মশালা ও ফুটবল টুর্নামেন্ট শেষ করতে পারব। ওয়ালটন গ্রুপকে ধন্যবাদ জানাই। আশা করব ভবিষ্যতেও তারা আমাদের এমন আয়োজনের পাশে থাকবে।’ প্রতিযোগিতায় পৃষ্ঠপোষকতা করার বিষয়ে ওয়ালটন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক (গেমস অ্যান্ড স্পোর্টস, মার্কেটিং) এফএম ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন) বলেন, ‘ভালোভাবে শিখতে, দক্ষ ও চৌকস হতে প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। একজন দক্ষ ও চৌকস রেফারি অত্যন্ত সুন্দর ও সুষ্ঠভাবে ম্যাচ পরিচালনা করতে পারেন। যেকোনো পরিস্থিতি অত্যন্ত সুন্দরভাবে হ্যান্ডেল করতে পারেন। খেলোয়াড়দের ফেয়ার প্লে-এর গন্ডির মধ্যে রাখতে পারেন। রেফারিদের দক্ষ ও চৌকস করে তুলতে এমন প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। পাশাপাশি তাদের জন্যও টুর্নামেন্ট হবে কক্সবাজারের মতো স্থানে। সে কারণেই এর সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়া। আশা করব এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও ফুটবল টুর্নামেন্ট অত্যন্ত সুষ্ঠ, সুন্দর ও সফলভাবে আয়োজিত হবে। আমরা ওয়ালটন পরিবার ভবিষ্যতেও চেষ্টা করব এই ধরণের আয়োজনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার।’ তিনি আরো বলেন, ‘ওয়ালটন গ্রুপ বিশ্বাস করে খেলা পরিচালনায় রেফারির ভূমিকা অসামান্য। একজন দক্ষ রেফারি যেকোনো ম্যাচকে সুন্দর ও সাবলীল করে তুলতে পারেন। খেলোয়াড়দের ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করতে পারেন। দর্শকদের উপহার দিতে পারেন স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য ও প্রাতস্মরণীয় একটি ম্যাচ। রেফারিদের মান বাড়াতে ও নতুন রেফারি তৈরি করতে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। আর ফুটবল ম্যাচের মাধ্যমে তারা যা শিখেছে সেটার বাস্তব প্রয়োগ ঘটাতে পারবে।’ রাইজিংবিডি/ঢাকা/৮ এপ্রিল ২০১৯/আমিনুল