খেলাধুলা

সংখ্যায় সংখ্যায় লিভারপুলের অবিশ্বাস্য জয়

ক্রীড়া ডেস্ক : টানা দ্বিতীয়বারের মতো উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠেছে লিভারপুল। এ যাত্রায় তারা হারিয়েছে বার্সেলোনার মতো জায়ান্ট ক্লাবকে। তাও আবার প্রথম লেগে ৩-০ গোলে পিছিয়ে থেকে। চলুন সংখ্যায় সংখ্যায় দেখে নেওয়া যাক লিভারপুলের মিরাকল এই জয়ের আদ্যোপান্ত। ‘‘২’’ :

ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় কোনো ক্লাব হিসেবে ব্যাক টু ব্যাক ফাইনালে উঠেছে লিভারপুল। তাদের আগে সবশেষ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ২০০৮ ও ২০০৯ সালে ব্যাক টু ব্যাক চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠেছিল।

‘‘২’’ :

জিওর্জিনিও ওয়ানাইল্ডাম লিভারপুলের দ্বিতীয় কোনো ফুটবলার যিনি চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে বেঞ্চ থেকে এসে জোড়া গোল করেছেন। তার আগে ২০০৭ সালে রায়ান বাবেল বেসিকতাসের বিপক্ষে করেছিলেন জোড়া গোল। ‘‘৩’’ :

ইউরোপিয়ান কাপ কিংবা উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে লিভারপুল হচ্ছে তৃতীয় কোনো ক্লাব যারা সেমিফাইনাল প্রথম লেগে ৩-০ গোলে পিছিয়ে থেকেও ফাইনাল নিশ্চিত করেছে। তাদের আগে ১৯৭০-৭১ মৌসুমে গ্রিসের ক্লাব পানাথিনাইকোস ও ১৯৮৫-৮৬ সালে বার্সেলোনা গড়েছিল এমন কীর্তি। ‘‘৫’’

ইউরোপিয়ান কাপ কিংবা উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে লিভারপুল ঘরের মাঠে টানা পাঁচ ম্যাচে কোনো গোল হজম করেনি। ১৯৮৪ সালে তারা সবশেষ এমন নজির স্থাপন করেছিল। ‘‘৬’’ :

জিওর্জিনিও ওয়ানাইল্ডাম দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মাঠে নামার পর ছয়বার বলে পা ছোঁয়ানোর সুযোগ পান। তার মধ্যে দুইবার তিনি বল জালে জড়ান। ‘‘৯’’ :

এ নিয়ে নবমবারের মতো ইউরোপিয়ান কাপ/চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠলো লিভারপুল। যা চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে চতুর্থ সর্বোচ্চ। তাদের সামনে আছে কেবল রিয়াল মাদ্রিদ (১৬), এসি মিলান (১১) ও বায়ার্ন মিউনিখ (১০)। এর আগে লিভারপুল (১৯৭৬-৭৭, ১৯৭৭-৭৮, ১৯৮০-৮১, ১৯৮৩-৮৪, ১৯৮৪-৮৫, ২০০৪-০৫, ২০০৬-০৭ ও ২০১৭-১৮) মৌসুমে ফাইনালে খেলেছিল। ‘‘৪৭৫’’ :

ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে লিভারপুল সবশেষ ৪৭৫ মিনিটে কোনো গোল হজম করেনি। গ্রুপ পর্বের ম্যাচে পিএসজির কালিয়ান এমবাপে অ্যানফিল্ডে এসে সবশেষ গোল করেছিলেন। এরপর শেষ ষোলো, কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমিফাইনালে কোনো দল অ্যানফিল্ডে এসে লিভারপুলের জালে বল জড়াতে পারেনি। রাইজিংবিডি/ঢাকা/৮ মে ২০১৯/আমিনুল