খেলাধুলা

ওয়ানডেতেও দাপুটে জয়ে শুরু বাংলাদেশের

ক্রীড়া প্রতিবেদক : সফরকারী পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৬ দলের বিপক্ষে তিন দিনের ম্যাচের সিরিজ জয়ের পর ওয়ানডেতেও দাপুটে জয়ে শুরু করেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ ক্রিকেট দল। খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে শনিবার প্রথম ওয়ানডেতে সফরকারীদের ৮৯ রানের বড় ব্যবধানে হারায় স্বাগতিকরা। এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। এদিন আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ দল নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২২৮ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪১.১ ওভারে সফরকারী দল ১৩৯ রানেই গুটিয়ে যায়। টস জিতে পাকিস্তান অধিনায়ক বাংলাদেশকে আগে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি স্বাগতিক দলের। দলীয় ২৬ রানেই প্রথম উইকেট হারায় তারা। এরপর দলীয় ২৯ রানে দ্বিতীয় ও ৫৭ রানে তৃতীয় উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ দল। সেখান থেকে দলকে ভালো একটি ইনিংসের পথ দেখান সাকিব শাহরিয়ার। মিডল অর্ডার এই ব্যাটসম্যান ভালো শুরুর পরও ফরহাদ খানের বলে সরাসরি বোল্ড হলে আবারো কিছুটা বিপর্যয়ে পড়ে স্বাগতিকারা। আউট হওয়ার আগে সাকিব শাহরিয়ার করেন ৩৪ রান। ৩১ বলে ৬টি বাউন্ডারি ছিল তার ইনিংসে। এরপর আবারো ধাক্কা আসে স্বাগতিক শিবিরে। ৪ উইকেটে ৭৮ থেকে স্কোর হয়ে যায় ৭ উইকেটে ১০৯। এই সময়টাতে সফরকারীদের হয়ে ফরহাদ খান ও আসির মুঘল দাপট দেখান। তবে সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতে নেমে দলের হাল ধরেন মাহফুজুর রহমান রাব্বী। শেষ দিকে তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন দশম ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতে নামা আজিজুল হক রনি। মূলত এই দুই ব্যাটসম্যানের দৃঢ়তায় চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে তোলে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ দল। সর্বোচ্চ ৬৬ রান আসে মাহফুহজুর রহমানের ব্যাট থেকে। ৭১ বলে ৭ চার ও একটি ছক্কায় সাজান তার ইনিংসটি। আর আজিজুল হক রনি অপরাজিত ছিলেন ৩৫ রানে। ৬৪ বলে ৪টি বাউন্ডারির সাহায্যে এ রান করেন তিনি। পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৬ দলের হয়ে দারুণ বোলিং করেন ফরহাদ খান। ৫৪ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন তিনি। ৩টি উইকেট নেন আসীর মুঘল। পাকিস্তানকেও ভালো শুরু করতে দেননি বাংলাদেশের বোলাররা। দলীয় ২৭ রানের মধ্যে তাদের ৩ ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরত পাঠান মুশফিক আর সাকিব। এরপর প্রায় নিয়মিতই সফলতা পেতে থাকে স্বাগতিকরা।  যদিও একপ্রান্ত আগলে দারুণ চেষ্টা চালান কাশিফ আলী। তবে তার অর্ধশত রান পরাজয়ের ব্যবধান কমানো ছাড়া আর তেমন কিছু করতে পারেনি। ৬৭ বলে ৯টি চার ও একটি ছক্কার সাহায্যে ৬৪ রান করেন কাশিফ। এ ছাড়া মুহাম্মদ ওয়াক্কাস ২৭, অসীর মুঘল ১৯ রান করেন। বাংলাদেশের হয়ে প্রায় সবাই দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন। এর মধ্যে মুশফিক হাসান, আজিজুল রনি ও মাহফুজুর রহমান রাব্বীর প্রত্যেকে ২টি করে উইকেট নেন। একটি করে উইকেট নেন আশিকুর রহমান ও খালিদ হাসান। দারুণ ফিফটি আর পরে বল হাতে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন বিজয়ী দলের মাহফুজুর রহমান রাব্বী। আগামী ১৩ মে একই মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ও ১৫ মে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ হবে। রাইজিংবিডি/খুলনা/১১ মে ২০১৯/আব্দুল্লাহ এম রুবেল/পরাগ