ক্রীড়া ডেস্ক: নিজের প্রথম ম্যাচে খরুচে ছিলেন জাহানারা আলম। বোলিংয়ে দ্যুতি ছড়াতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে দেখালেন কারিশমা। শনিবার মেয়েদের আইপিএলের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল জাহানারার ভেলোসিটি ও সুপারনোভাস। জাহানারারা শিরোপা উৎসব করতে পারেননি। কিন্তু বাংলাদেশের পেসারের বোলিংয়ে মুগ্ধ সবাই। ৪ ওভার বোলিংয়ে ২১ রানে জাহানারা নেন ২ উইকেট। নিজের প্রথম ৩ ওভারে মাত্র ৮ রানে ২ উইকেট নেন জাহানারা। শেষ ওভারে ডানহাতি পেসার ব্যয় করেন ১৩ রান। ইংলিশ ক্রিকেটার নাটাইল স্কিভার ও অস্ট্রেলিয়ার সোফি ডিভাইনকে বোল্ড করেন জাহানারা। উইকেট পাওয়া দুটি ডেলিভারীই ছিল দারুণ। তবে অস্ট্রেলিয়ার সোফি ডিভাইনের উইকেটটি ছিল বিশেষ কিছু। সিম আপ ডেলিভারীতে বল স্কিড করে ভেতরে ঢুকে অফম্ট্যাম্প উড়িয়ে দেয়। আয়োজকরা বলটিকে বলছে,‘বল অব ওয়েমন্স আইপিএল’। নিজেদের ওয়েব সাইটে উইকেটটি নিয়ে আলাদা ভিডিও প্রকাশ করেছে আয়োজকরা। ম্যাচ শেষ নিজের বোলিং নিয়ে কথা বলেন জাহানারা। ‘এটা আমাদের অনুপ্রাণিত করছে। আমি নিজের বোলিংয়ে খুশি। হ্যাঁ, আরও ভালো করার সুযোগ ছিল। তবে বিশ্বাস আছে আমি ভবিষ্যতে আরও ভালো কিছু করতে পারবো ।’
‘আমার টার্গেট ছিল ডট বল করা। ধারাবাহিক ভালো বোলিংয়ের কারণে দুটি উইকেট পেয়েছি। নিজের শুরুর বোলিংয়ে আমি খুশি। ওটা মোমেনটাম পরিবর্তন করেছিল। কিন্তু চার নম্বর ওভার ব্যয়বহুল ছিল। ওই ওভারটা ঠিকঠাক মতো হলে ম্যাচের ফল ভিন্ন হতে পারত। ভাগ্যে ছিল না! কেউ তো নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে না। ’ ‘আমার ১১ বছরের ক্রিকেট অভিজ্ঞতা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছি ৮ বছর হলো। কিন্তু এখানে পারফর্ম করা মোটেও সহজ না। কারণ বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়রা এখানে খেলছে। ’ প্রসঙ্গত, প্রথম বাংলাদেশি নারী ক্রিকেটার হিসেবে এবারই প্রথম মেয়েদের আইপিএলে অংশ নিয়েছেন জাহানারা আলম। ফাইনালে আগে ব্যাটিং করে জাহানারাদের দল ভেলোসিটি ৬ উইকেটে তোলে ১২১ রান। জবাবে শেষ বলে জয় নিশ্চিত করে শিরোপা উৎসব করে সুপারনোভাস। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১২ মে ২০১৯/ইয়াসিন