খেলাধুলা

২০২৩ বিশ্বকাপে ভালো করতে হলে...

ক্রীড়া প্রতিবেদক : সদ্য শেষ হওয়া বিশ্বকাপে মোটা দাগে ব্যর্থই হয়েছে বাংলাদেশ।

দল ঘোষণার পর বলা হয়েছিল, বিশ্বকাপের ইতিহাসে বাংলাদেশের সেরা দল এবারেরটি। সেই দল ইংল্যান্ড গিয়েছিল সেমিফাইনালে খেলার আশা নিয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে শুরুটাও হয়েছিল দুর্দান্ত। কিন্তু ভালো শুরুটা ধরে রাখতে পারেনি। বিশ্বকাপ শেষ করেছে দশ দলের মধ্যে আটে থেকে।

বিশ্বকাপের পরপরই আজ শ্রীলঙ্কা সফরে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল। তার আগে কাল সফর পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে পরের বিশ্বকাপ নিয়ে পরিকল্পনা জানতে চাওয়া হয়েছিল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার কাছে। মাশরাফি মনে করেন, ২০২৩ বিশ্বকাপে ভালো করতে হলে শুধু জাতীয় দল নিয়ে ভাবলে চলবে না। নজর দিতে হবে অনূর্ধ্ব-১৯ দল, ‘এ’ দল, এইচপি দলের দিকে। সেখান থেকে বের করে আনতে হবে কিছু খেলোয়াড়।

‘আমার কাছে মনে হয় যে, চার বছর অনেক সময়। এখন যারা আছে, আমি ছাড়া বেশিরভাগ পরের বিশ্বকাপে খেলার সামর্থ্য রাখে। আমার কাছে মনে হয়, জাতীয় দল থেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ অনূর্ধ্ব-১৯ বা ‘এ’ দলের দিকে বেশি ফোকাস করা। কারণ, পরের চার বছরে যদি আমরা ভালো করতে চাই, অবশ্যই এখন থেকে কিছু খেলোয়াড় বেরিয়ে আসতে হবে। তারা যেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে স্থায়িত্ব পায়, সেই জায়গা তৈরি করে দিতে হবে। অন্যথায় সব সময় একটা দলের দিকে ফোকাস থাকলে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টিকে থাকা কঠিন। অনূর্ধ্ব-১৯, ‘এ’ দল, এইচপিকে ফোকাস করতে হবে, যদি আপনি পরের বিশ্বকাপে ভালো করতে চান’- বলেছেন মাশরাফি।

মাশরাফির সঙ্গে একমত শ্রীলঙ্কা সফরে অন্তর্বর্তীকালীন কোচের দায়িত্ব পাওয়া খালেদ মাহমুদও, ‘আগামী চার বছরের জন্য একটি মাস্টার প্ল্যান তো করা হবেই। এর মধ্যে অনেকগুলো বিশ্বকাপই আমরা খেলব- দুইটা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, একটা চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আছে, বিশ্বকাপ আছে। সুতরাং এগুলোকে মাথায় নিয়ে ভবিষ্যৎ খেলোয়াড় তৈরি করার ক্ষেত্রে বা শুধু খেলোয়াড় তৈরি নয়, আমাদের পাইপলাইন শক্তিশালী করতে হবে। কারণ আমাদের লম্বা সময় ধরে প্রচুর খেলা খেলতে হবে। যেটা হয় যে ইনজুরি একটি সমস্যা তৈরি হয় অনেক সময়। তাই আমাদের ব্যাকআপ খেলোয়াড় তৈরি করে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ‘এ’ দল এবং এইচপি দলের প্রতি নজর রাখতে হবে।’

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ জুলাই ২০১৯/পরাগ