খেলাধুলা

তামিমের শূন্যস্থানে সুযোগের প্রত্যাশায় জহুরুল

ক্রীড়া প্রতিবেদক: স্ট্রেন্থ এবং কন্ডিশনিং কোচ মারিও ভিল্লাভারায়ানের তাকে চেনার কথা না। কিন্তু ব্লিপ টেস্টে তার রেজাল্ট দেখে অবাক ভিল্লাভারায়ানে।

জাতীয় দলের নিয়মিত ক্রিকেটাররা যেখানে ব্লিপ টেস্টে টেনেটুনে পাসও করতে পারছিলেন না সেখানে জহুরুল ইসলাম অমির রেজাল্ট সর্বোচ্চ, ১২.৩।  দীর্ঘ সময় পরে জাতীয় দলের ক্যাম্পে ডাক পাওয়া এ ক্রিকেটার ফাস্ট ইম্প্রেশনে মুগ্ধ করেন ভিল্লাভারায়ানেকে,‘আমার সঙ্গে কাজ করেনি এমন একজন জহুরুল ইসলাম। ওর ফিটনেস বেশ ভালো। দেখে খুবই সতেজ মনে হয়েছে।’ 

বয়স ৩২ পেরিয়েছে। তবুও হাল ছাড়েন না। পারফরম্যান্স, ফিটনেস দুটোই ঠিকমতো ধরে রেখে জাতীয় দলের প্রাথমিক স্কোয়াডে জায়গা করে নিয়েছেন। নিজের পারফরম্যান্স এবং ফিটনেস নিয়ে জহুরুলের ভাবনা অসাধারণ। গণমাধ্যমে ভাগাভাগি করেছেন সেই ভাবনা,‘আসলে ক্রিকেটটা ৩০ বছরের পার হলেই বেশি ভালো বোঝা যায়। আমাদের ঘাটতি হলো আমরা ফিটনেস নিয়ে কাজ করি না, এই কারণে আমাদের পারফরম্যান্স ভালো হয় না। পারফরম্যান্স ভালো হলেও এই পর্যায়ে এসে ফিটনেস ধরে রাখতে পারি না। আমি আশা করব ত্রিশের বেশি কেন চল্লিশ পেরুলেও যেন খেলতে পারে খেলোয়াড়রা- এই ধরনের ফিটনেস যেন থাকে।’

বাংলাদেশের সদ্য বিদয়ী কোচ স্টিভ রোডস তার ব্যাটিং দেখে প্রশংসা করেছিলেন। নির্বাচকদের বলেছিলেন, ভবিষ্যতে টেস্ট ওপেনিংয়ের জন্য তাকে বিবেচনা করতে। সেই সূত্রে নির্বাচকরা তাকে সুযোগ দিয়েছিলেন বিসিবি একাদশের হয়ে ভারত সফরে। সেখানে ভালো করে জহুরুল জায়গা করে নিয়েছেন প্রাথমিক দলে। ওপেনিংয়ে একটি পজিশন ফাঁকা। 

তামিম ইকবাল আফগানিস্তান সিরিজ খেলবেন না। তার জায়গায় কাকে নেওয়া হবে? নির্বাচকদের নজরে রয়েছেন জহুরুল। প্রতিদ্বন্দী হিসেবে রয়েছেন সৌম্য, ইমরুল। সাদমান টেস্ট দলে খেলবেন তা নিশ্চিত। বাঁহাতি ওপেনারের সঙ্গী হতে পারেন বাকি তিনজন। জহুরুল তামিমের শূন্যতা পূরণ করতে চান। এজন্য চান বড় একটি সুযোগ,‘তামিম অনেক বড় মানের খেলোয়াড়। ওর শূন্যস্থান পূরণ করাটা কঠিন। এখনো একটা সুযোগ আছে। টেস্ট ক্রিকেট ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ফরম্যাট। যদি এখানে পারফর্ম করা যায় তাহলে সব ফরম্যাটে পারফর্ম করা সহজ। আমি বলব যেহেতু তামিম নাই যারা সুযোগ পাবে তাদের জন্য বিরাট সুযোগ।’

জহুরুলের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার ৭ টেস্ট, ১৪ ওয়ানডে আর ৩ টি-টোয়েন্টিতেই সীমাবদ্ধ। ২০১৩ সালে শেষ খেলেছিলেন জাতীয় দলের জার্সিতে।  দীর্ঘ ৬ বছর পর টাইগার জার্সি পেয়ে খুশি জহুরুল।  সামনে তার পথটা আরও কঠিন।  আরও একধাপ ওপরে যেতে চাই আরও ভালো ব্যাটিং পারফরম্যান্স। সেই কাজটা নিত্যদিন করছেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান,‘আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছি নিজের টেকনিক উন্নতি করার এবং ফিটনেস নিয়ে কাজ করার। বাকিটা নির্বাচকদের উপর। উনাদের যদি দরকার মনে হয় আমাকে নিবে এবং আমি আমার সর্বোচ্চ দেওয়ার চেষ্টা করব। ’

জহুরুল দলে ফেরায় নতুন করে নির্বাচকরা মনে করিয়ে দিলেন, জাতীয় দলের দরজা সবার জন্য খোলা।  ৩২ বছর বয়সী জহুরুলের একই বিশ্বাস,‘ এটার জন্য আমি খুশি এবং আমার ব্যাচের যারা আছে তারাও খুশি হবে। কেননা কোন সময় আশাহত হওয়া যাবে না।  বয়স ম্যাটার না। যদি আপনি ফিটনেস ধরে রাখেন, পারফর্মও করেন তাহলে বয়স বাধা হয় না।’

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ আগস্ট ২০১৯/ইয়াসিন/শামীম