খেলাধুলা

সাকিবের ভাবনা জুড়ে শুধু বাংলাদেশ

চট্টগ্রাম থেকে ক্রীড়া প্রতিবেদক: র‌্যাঙ্কিং, রেটিং পয়েন্ট, ম্যাচসেরার পুরস্কার বা সিরিজ সেরার পুরস্কার; ম্যাচ না জিতলে সাকিবের আগ্রহ থাকে না কোনো কিছুতেই।  ব্যক্তিগত শ্রেষ্ঠত্ব কখনোই টানে না তাকে।  বরং ব্যক্তিগত শ্রেষ্ঠত্বের চেয়ে দলের সাফল্য তার বড় প্রাপ্তি।  আর দলের সাফল্যে সামান্য অবদান রাখতে পারলেই হন মহাখুশি।

দীর্ঘদিন সাদা পোশাকে মাঠে নামা হয়নি সাকিবের।  ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গত নভেম্বরে শেষ খেলেছিলেন ঢাকা টেস্ট।  ওই সময়ে সাকিব ছিলেন নম্বর ওয়ান অলরাউন্ডার।  সাকিবের অনুপস্থিতিতে অন্যরা সাকিবকে টপকে গেছেন।  গত জানুয়ারিতে সাকিবকে টপকে শীর্ষে ওঠেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক জেসন হোল্ডার।  অ্যাশেজের তৃতীয় টেস্ট শেষে সাকিবকে পেছনে ফেলে অলরাউন্ড র‌্যাঙ্কিংয়ে দুইয়ে ওঠেন বেন স্টোকস। সাকিব নেমে যান তিনে।

দীর্ঘদিন টেস্ট অলরাউন্ডারের সিংহাসনে থাকা সাকিব আবার ফিরছেন টেস্ট ক্রিকেটে।  সিংহাসন ফিরে পেতে চলবে তার অদম্য লড়াই। ব্যাট-বলের ধ্রুপদী পারফরম্যান্সে আবার সাকিব হবেন রাজা, এমন প্রত্যাশা করছে কোটি সাকিবভক্ত।  তবে এসব ভাবনা নেই সাকিবের।  তার ভাবনা জুড়ে শুধুই বাংলাদেশ।

‘মাঠে একটা জিনিসই কাজ করে যে, দলের জয়ের পেছনে কতটা অবদান রাখতে পারি। সেটি যদি বেশি রাখতে পারি, স্বাভাবিকভাবেই র‍্যাঙ্কিং তার জায়গাটা আপনাআপনি করে নেবে। এই কারণেই আমার র‍্যাঙ্কিং নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। আমার চেষ্টা থাকে দলের প্রয়োজনে ভালো কিছু করার। সেটা কম হোক বা বেশি, সেটি আমার কাছে বড় কিছু না।  সেটা করতে গিয়ে যদি র‍্যাঙ্কিংয়ে ভালো কিছু হয়, তাহলে তো হলোই।’

বিশ্বকাপে ৬০৬ রান ও ১১ উইকেট নিয়ে সাকিব নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়।  বৈশ্বিক মঞ্চে এমন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স দেখাতে পারেনি অন্য কেউ। সাকিব যেই স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করেছে তাতে তার কাছ থেকে প্রত্যাশা বেড়েছে বহুগুণ।  সাকিবের বিশ্বাস প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবেন আগের মতোই।

‘প্রত্যাশা সবসময়ই থাকে। একেক সময় একেকরম প্রত্যাশা থাকে। প্রত্যাশার চাপও থাকে। কিন্তু চাওয়া সবসময়ই থাকে দলের জয়ে যতটুকু অবদান রাখা সম্ভব, ততটুকু যেন করতে পারি। সবসময় হয় না। সবসময় ওভাবে প্রস্তুতিও নেওয়া যায় না। তবে চেষ্টার কখনও কমতি থাকে না।’- বলেছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। রাইজিংবিডি/চট্টগ্রাম/৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯/ইয়াসিন