খেলাধুলা

পাঁচ উইকেট পেলেও উপভোগ করা যায় না: তাইজুল

চট্টগ্রাম থেকে ক্রীড়া প্রতিবেদক: ক্যারিয়ার শেষ টেস্ট খেলতে নামার আগে মোহাম্মদ রফিকের উইকেট ছিল ৯৮টি।

২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চট্টগ্রামে দুই উইকেট নিয়ে প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে একশ উইকেট নেওয়ার মাইলফলক স্পর্শ করেন রফিক।  শত উইকেটের মাইলফলকে পৌঁছতে রফিকের লেগেছিল ৩৩ টেস্ট।

২০১২ সালে সাকিব আল হাসান দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এমন কীর্তি গড়েন।  সাকিব এলিট এ ক্লাবে প্রবেশ করেন ২৮ টেস্টে।  সাত বছর পর তাইজুল পূর্বসূরিদের অনুসরণ করলেন।  বৃহস্পতিবার ইহসানউল্লাহ জানাতের উইকেট নিয়ে তাইজুল দ্রততম সময়ে শততম উইকেটের স্বাদ পান।  নিজের ২৫তম টেস্টে তাইজুল পেলেন একশ উইকেট। আগের রেকর্ডধারী সাকিব আল হাসান উইকেটের তিন অঙ্ক ছুঁয়েছিলেন ২৮ টেস্টে।

নিজের কীর্তিতে খুশি তাইজুল,‘টেস্ট ক্রিকেট আসলে অনেক সম্মান দেওয়া হয়।  অনেক ভালো লাগার বিষয় একশ উইকেট। আমি ব্যক্তিগতভাবে খুশি হয়েছি, সবাই খুশি হবে। ভালো লাগছে।’

২০১৪ সালে টেস্ট অভিষেক এই বাঁহাতি স্পিনারের। ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ পারফরম্যান্সের সুবাদে তার টেস্ট অভিষেক হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজে। প্রথম ইনিংসেই পেয়েছিলেন ৫ উইকেট। পারফরম্যান্সের সেই ধারাবাহিকতা এখনো চলছে। দেশের মাটিতে সাদা পোশাকে ধারাবাহিক সাফল্য পাচ্ছেন। ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৮ উইকেট, পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬ উইকেট তার সেরা পারফরম্যান্স। ঢাকায় ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন এই স্পিনার। ৩০.৭৯ গড়ে, ৩.১৮ ইকোনমি রেটে ২৫ টেস্টে তাইজুলের শিকার ১০২ উইকেট।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পাঁচ বছর কাটিয়ে দেওয়া তাইজুলের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল এ সফর কেমন উপভোগ করছেন।  রাজশাহীর এ কৃতি সন্তান বলেন,‘ক্রিকেটে উপভোগ করা যায় না ওইভাবে। চাপ সব সময়ই থাকে। আপনি যদি পাঁচ উইকেট পেয়ে বল করতে যান তারপরও চাপ থাকে। এরমাঝে ভালো করলে ওর মধ্যে এনজয় আসে।’ রাইজিংবিডি/চট্টগ্রাম/৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯/ইয়াসিন