খেলাধুলা

জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রত্যাশিত জয় পেল বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে ভালো শুরুর পর ফিনিশিং হলো দারুণ। তাতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে এলো সর্বোচ্চ রান। বোলিংয়ে শুরু থেকেই আক্রমণ।  মাঝে প্রতিপক্ষকে আরও চেপে ধরা।  ম্যাচ বাংলাদেশের হাতের মুঠোয় চলে আসে জিম্বাবুয়ের ইনিংসের মাঝপথেই।  শেষ দিকে জিম্বাবুয়ে লড়াই করলেও তা ম্যাচ জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। ত্রিদেশীয় সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ৩৯ রানে হারাল বাংলাদেশ।  চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশ সাত উইকেটে ১৭৫ রান সংগ্রহ করে। জিম্বাবুয়েকে সাকিবের দল আটকে দেয় ১৩৬ রানে।  এ জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখে ফাইনালে গেল বাংলাদেশ।  জিম্বাবুয়ে বিদায় নিল এক ম্যাচ আগে।

স্কোর:  বাংলাদেশ ১৭৫/৭ (২০ ওভার) 

জিম্বাবুয়ে ১৩৬/১০ (২০ ওভার) জিম্বাবুয়ের বিদায়, আফগানিস্তানকে নিয়ে বাংলাদেশ ফাইনালে প্রথম দুই ম্যাচ হারের পর জিম্বাবুয়ের কাছে আজকের ম্যাচটি ছিল ডু অর ডাই।  হারলেই বিদায়।  আর বাংলাদেশের জন্য ম্যাচটি ছিল ফাইনাল নিশ্চিত করার।  কোনো অঘটন ঘটেনি।  জিম্বাবুয়েকে সহজেই হারিয়েছে বাংলাদেশ।  চট্টগ্রামে বিজয়ের পতাকা উড়ানোয় ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে গেল বাংলাদেশ।  বাংলাদেশ সঙ্গী করেছে আফগানিস্তানকে।  ঢাকা পর্বে দুই ম্যাচ জিতেছিল তারা।  শুক্রবার আফগানিস্তানের পরবর্তী ম্যাচ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।  পরদিন তারা খেলবে বাংলাদেশের বিপক্ষে। ম্যাচটি ফাইনালের আগে ড্রেস রিহার্সাল। মাহমুদউল্লাহর তৃতীয় ম্যান অব দ্য ম্যাচ টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে তৃতীয়বারের মতো ম্যাচ জয়ের নায়ক হলেণ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।  বুধবার চট্টগ্রামে ৪১ বলে ৬২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস উপহার দেন জাতীয় দলের স্পিন অলরাউন্ডার। দলের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে হাল ধরে রানের চাকা সচল রাখেন এ ব্যাটসম্যান। পরবর্তীতে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দলের রান নিয়ে যান চূড়ায়।  এক চার ও পাঁচ ছক্কায় সাজান তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি। শেষ ওভারে মুস্তাফিজের জোড়া উইকেট প্রথম তিন ওভারে লাইন ও লেন্থ বারবার মিস করছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান।  তিন ওভারে খরচ করেন ৩৫ রান।  বাংলাদেশের আজকের বোলিং একমাত্র বিবর্ণ বোলিং ছিল তার। তবে শেষটা নিজের মতো করে নেন এ বাঁহাতি।  কাইল জারভিস ও আইনসলে লোভুর উইকেট নিয়ে খানিকটা স্বস্তি পান এ পেসার।  জারভিসের উইকেট নিয়ে মুস্তাফিজ টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ৫০তম উইকেটের স্বাদ পান। শফিউল ফেরালেন মুতুম্বাবিকে হাফ সেঞ্চুরির পর ইনিংস বড় করতে পারলেন না মুতুম্বাবি। শফিউল ইসলামকে তুলে মারতে গিয়ে শর্ট থার্ড ম্যান অঞ্চলে ক্যাচ দেন ৫৪ রানে। ৩২ রানে তিন চার ও তিন ছক্কায় সাজান ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসটি। তার আউটের সময় জিম্বাবুয়ের রান আট উইকেটে ১২৪। মুতুম্বাবির পঞ্চাশ সাইফউদ্দিনের বল লং অনে পাঠিয়ৈ এক রান নিলেন মুতুম্বাবি। ৪৯ থেকে রান গেল ৫০ এ। ক্যারিয়ারের প্রথম টি-টোয়েন্টি হাফ সেঞ্চুরি। ৩০ বলে তিন চার ও তিন ছক্বায় মাইলফলকে পৌঁছান ডানহাতি ব্যাটসম্যান।   অষ্টম জুটিতে প্রতিরোধ ৩০ বলে ৫১ রানের জুটি গড়ে প্রতিরোধ গড়েন রিচার্ড মুতুম্বাবি ও কাইল জারভিস।  দুজনের ব্যাটে বাংলাদেশের বিপক্ষে লড়াই করছে সফরকারীরা। জিম্বাবুয়ের ১০০ ১৭তম ওভারের প্রথম বলে এক রান নিলেন কাইল জারভিস।  ৯৯ থেকে জিম্বাবুয়ের রান হল ১০০।  এর আগে ১০.৩ ওভারে দলীয় পঞ্চাশ ছুঁয়েছিল সফরকারীরা। আরেকটি উইকেট হারাল জিম্বাবুয়ে আমিনুলের বল কভারে পাঠিয়ে এক রানের জন্য দৌড় দিয়েছিলেন মাডজিবা। অপরপ্রান্ত থেকে কোনো সাড়া পাননি।  সাকিব বল থ্রো করে পাঠালেন মুশফিকের কাছে।  উইকেট কিপার ভাঙলেন উইকেট। রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরলেন মাডজিবা।  ১৫ বলে তার ব্যাট থেকে আসে নয় রান। তার ফেরার সময় জিম্বাবুয়ের রান সাত উইকেটে ৬৬।  জিম্বাবুয়ের পঞ্চাশ দশম ওভারের তৃতীয় বলে দলীয় পঞ্চাশ রান পূর্ণ হয় জিম্বাবুয়ের। ব্যাটিং ব্যর্থতায় ম্যাচ হারের পথে সফরকারীরা। আমিনুল ফেরালেন মাসাকাদজাকে ছোট্ট একটা শার্প টার্ন।  মাসাকাদজা সুইপ করতে গিয়ে বল মিস করলেন।  প্যাডে আঘাত করল বল।  এলবিডব্লিউ মাসাকাদজা।  অভিষিক্ত আমিনুল পেলেন দ্বিতীয় উইকেট।  জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ফিরলেন ২৫ বলে ২৫ রান করে।  তার আউটের সময় জিম্বাবুয়ের রান ছয় উইকেটে ৪৪। শফিউলের দ্বিতীয় শিকার বার্ল ডানহাতি পেসারের বলে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হলেন বার্ল।  ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে বল টেনে স্ট্যাম্পে আনেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।  তিন বলে এক রান আসে তার ব্যাট থেকে।  শফিউলের এটি দ্বিতীয় শিকার।  তার ফেরার সময় জিম্বাবুয়ের রান পাঁচ উইকেটে ৩৭। আমিনুলকে উইকেট উপহার মুটুমবডজির টিনোটেন্ডা মুটুমবডজি কি করতে চাইলেন তা বোঝা গেল না। তবে এমন কিছুর জন্য অভিষিক্ত আমিনুল ইসলাম বিপ্লব প্রস্তুত ছিলেন না মোটেই! সাকিব সপ্তম ওভারে তার হাতে বল তুলে দেন। তৃতীয় বলে উইকেট।  তার সোজা ডেলিভারী তুলে মারতে গিয়ে লং অফে ক্যাচ দেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। নয় বলে ১১ রান করে সাজঘরে ফেরেন মুটুমবডজি।  তার আউটের সময় জিম্বাবুয়ের রান চার উইকেটে ৩৫। পাওয়ার প্লে’তে এগিয়ে বাংলাদেশ প্রথম ছয় ওভারে ৩৪ রান রান তুললেও জিম্বাবুয়ে লক্ষ্য তাড়া করতে হারিয়েছে তিন উইকেট।  শুরুতে উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়েকে পিছিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ। সাইফউদ্দিন, সাকিব ও শফিউল পেয়েছেন একটি করে উইকেট। ফিরেই শফিউলের উইকেট দুই বছর পর টি-টোয়েন্টিতে ফিরে প্রথম বলে উইকেটের স্বাদ পেলেন শফিউল ইসলাম। তার শর্ট বল উড়াতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দেন শন উইলিয়ামস। পাঁচ বলে দুই রান করেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। তার আউটের সময় জিম্বাবুয়ের রান তিন উইকেটে আট। সাকিবের ঘূর্ণিতে পরাস্ত চাকাবা এগিয়ে এসে বিগ শট খেলতে চেয়েছিলেন চাকাবা। বাঁহাতি স্পিনারের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হয়ে বোল্ড চাকাবা। শূন্য রানে বিদায় নেন এ ব্যাটসম্যান। তার আউটের সময় জিম্বাবুয়ের রান দুই উইকেটে দুই। প্রথম ওভারে সাইফউদ্দিনের উইকেট আগের ম্যাচে প্রথম বলেই পেসার সাইফউদ্দিন পেয়েছিলেন উইকেট। এবার পেলেন পঞ্চম বলে। তার সুইং ডেলিভারী লং অফ দিয়ে সীমানায় পাঠাতে চেয়েছিলেন ব্রেন্ডন টেলর। কিন্তু টপ এজে বল যায় মিড অফে।  সাকিব বল জমাতে ভুল করেননি। তার আউটের সময় জিম্বাবুয়ের রান এক উইকেটে শূন্য।  জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বোচ্চ সংগ্রহ বাংলাদেশের মাহমুদউল্লাহর লড়াকু হাফ সেঞ্চুরিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রান তুলেছে বাংলাদেশ। সাত উইকেটে বাংলাদেশের পুঁজি ১৭৫ রান। এর আগে সমান উইকেটে ১৬৮ রান করেছিল বাংলাদেশ। ২০১৩ সালের ১২ মে বুলাওয়েতে ওই রান করেছিল বাংলাদেশ। ৩৪ রানে ওই ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ। জারভিসের ফুলটসে মোসাদ্দেক সাজঘরে পরপর দুই ফুলটস মিস। প্রথমটা মাহমুদউল্লাহ। পরেরটা মোসাদ্দেক। চাকাবার হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে দুই রান। তার আউটের সময় বাংলাদেশের রান সাত উইকেটে ১৬৯। মাহমুদউল্লাহ ফিরলেন শেষ ওভারে জারভিসের ফুলটস বল টাইমিং করতে পারলেন না ঠিকমত। বল উঠে যায় রাতের আকাশে। ডিপ স্কয়ার লেগে বল তালুবন্দি করেন শন উইলিয়ামস। হাই নোয়ের আবেদন করলে আম্পায়ার তা চেক করেন। কিন্তু তাতেও ভাগ্য ফেরেনি মাহমুদউল্লাহর। ৪১ বলে ৬২ রান করে সাজঘরে ফেরেন এ ব্যাটসম্যান। একটি চার ও পাঁচটি ছক্কায় তার ইনিংস। টি-টোয়েন্টিতে এটি তার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। সর্বোচ্চ ৬৪ করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। তার আউটের সময় বাংলাদেশের রান ছয় উইকেটে ১৬৯।  পারলেন না আফিফ এমপোফুর অফস্ট্যাম্পের বাইরের স্লোয়ার ডেলিভারী পয়েন্ট দিয়ে মারতে চেয়েছিলেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। কিন্তু বল তার ব্যাটের ছোঁয়া পেয়ে যায় উইকেটের পেছনে। এবার বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। আট বলে তার ব্যাট থেকে আসে সাত রান। তার আউটের সময় বাংলাদেশের রান পাঁচ উইকেটে ১৫৯। মাহমুদউল্লাহর ফিফটি এমপোফুর শর্ট বল ফাইন লেগ দিয়ে সীমানা পাড় করালেন মাহমুদউল্লাহ।  ৪৭ থেকে এক লাফে তার রান পৌঁছে গেল ৫৩-তে।  ৩৭ বলে মাহমুদউল্লাহ পেয়ে যায় তার ফিফটি।  টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এটি তার চতুর্থ ফিফটি, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয়। ফিরলেন মুশফিক মুটুমবডজির অফস্ট্যাম্পের বল টেনে সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ দেন মুশফিক। শুরুতে ধরতে না পারলেও পরবর্তীতে কোনোমতে বল তালুবন্দি করেন টেলর। ২৯ রানে জীবন পাওয়ার পর তিন রান রান যোগ করে মুশফিক আউট হন ৩২ রানে।  মুশফিক ফিরে আসায় মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ৫৫ বলে ৭৮ রানের জুটি ভাঙে। তার আউটের সময় বাংলাদেশের রান চার উইকেটে ১৪৩।  জীবন পেলেন মুশফিক এমপোফুর লেগ স্ট্যাম্পের ওপরের বল টাইমিংয়ে গড়বড় করেন মুশফিক। বল তার গ্লাভসে লেগে উইকেটের পেছনে যায়। সহজ ক্যাচ তালুবন্দি করতে পারেননি ব্রেন্ডন টেলর।  ২৯ রানে জীবন পান ডানহাতি ব্যাটসম্যান। মাহমুদউল্লাহ-মুশফিক জুটির পঞ্চাশ সাকিবের বিদায়ের পর ছক্কা দিয়ে ইনিংস শুরু করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ।  ১৪তম ওভারের পঞ্চম বলে ছক্কা মেরে মুশফিকের সঙ্গে জুটির পঞ্চাশ রান পূর্ণ করেন এ ব্যাটসম্যান।  চতুর্থ উইকেটে ৩৯ বলে পঞ্চাশ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটসম্যান। বাংলাদেশের ১০০ লোভুরর ১২তম ওভারের চতুর্থ বল সুইপ করে ডিপ স্কয়ার লেগ ও ডিপ মিড উইকেটের মাঝ দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠালেন মুশফিক। দলীয় শতরান পূর্ণ হয় ওই চার রানে। ১০ ওভারে বাংলাদেশের ৮৩ ১০ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৮৩ রান তুলেছে বাংলাদেশ।  এ সময়ে হারিয়েছে তিন উইকেট।  শেষ ১০ ওভারে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে জিম্বাবুয়েকে চ্যালেঞ্জিং টোটাল দিতে পারে কিনা সেটাই দেখার।  এখন ব্যাটিং করছেন মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ।   সাকিবের আরেকটি বাজে দিন রানে নেই সাকিব আল হাসান। ব্যাটিংয়ে ধারাবাহিক ব্যর্থ হয়ে আসা এ ব্যাটসম্যান ২২ গজে আরেকটি বাজে দিন কাটালেন।  জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আজকের ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসল মাত্র ১০ রান। 

অবশ্য প্রথম বলেই আউট হতে পারতেন।  জারভিসকে উঠিয়ে মারতে গিয়ে বল মিস করেন।  তার ব্যাটের চুমু খেয়ে বল যায় উইকেটের পেছনে। বোলার কিংবা ফিল্ডার কেউই উইকেটের আবেদন করেননি।  ফলে শুরুতেই বেঁচে যান বাংলাদেশের অধিনায়ক।  পরের ওভারে দারুণ চারে রানের খাতা খুললেও ১০ রানের বেশি করতে পারেননি।  লেগ স্পিনার বার্লকে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন লং অফে। মনে হচ্ছিল ক্যাচ প্র্যাকটিস করাতে এসেছেন সাকিব! অবশ্য বোলারের মাথার ওপর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন। টাইমিংয়ে গড়বড় হওয়ায় বল যায় উইলিয়ামসের হাতে। তার আউটের সময় বাংলাদেশের রান তিন উইকেটে ৬৫।  বাজে শটে লিটনের উইকেট ‘উপহার’ কি দুর্দান্ত ব্যাটিং-ই না করছিলেন লিটন। সতর্ক শুরুর পর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে জিম্বাবুয়ের বোলারদের চেপে ধরেছিলেন। কিন্তু নিজের উইকেটের কোনো মায়া করলেন না। প্রতিপক্ষকে ‘উপহার’ দিলেন উইকেট। বাজে শটে দলকে ফেললেন বিপদে। এমপোফুর লেগ স্ট্যাম্পের ওপরের বল চালাতে গিয়ে টপ এজ হন।  শর্ট ফাইন লেগ থেকে দৌড়ে ফাইন লেগে গিয়ে বল তালুবন্দি করেন মাদজিভা।  ২২ বলে ৩৮ রান আসে তার ব্যাট থেকে।  চারটি চার ও দুটি ছক্কা মেরেছিলেন লিটন।  তার আউটের সময় বাংলাদেশের রান দুই উইকেটে ৫৫।  বাংলাদেশের পঞ্চাশ ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে স্কয়ার লেগে পাঠিয়ে এক রান নিলেন লিটন। ওই রানে বাংলাদেশের দলীয় রান পঞ্চাশ স্পর্শ করে।  অভিষেকে শান্তর ১১ টেস্ট অভিষেকে করেছিলেন ১৮।  ওয়ানডেতে সাত। এবার টি-টোয়েন্টিতে করলেন ১১। অভিষেক ইনিংসগুলোতে শান্ত থেকে বড় কিছু পায়নি বাংলাদেশ। বুধবার জারভিসের স্লোয়ার ডেলিভারীতে ফিরতি ক্যাচ তুলে সাজঘরে ফেরেন এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। তার আউটের সময় বাংলাদেশের রান এক উইকেটে ৪৯।  তৃতীয় ওভারে ২১ লোভুর তৃতীয় ওভার থেকে ২১ রান পেল বাংলাদেশ। লিটন দুটি ছক্কা ও এক চারে প্রথম তিন বলে করেন ১৬ রান।  শেষ তিন বল থেকে আসে আরও পাঁচ রান। জিম্বাবুয়ের রিভিউ নষ্ট আইনসলে লোভুর বল সুইপ করতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় করেন লিটন।  জিম্বাবুয়ের এলবিডব্লিউর আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার তানভীর।  আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রিভিউ নিয়েছিলেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক হ্যামিলটন মাসাকাদজা। তাতে অবশ্য ফল নিজেদের পক্ষে আনতে পারেননি।  উল্টো রিভিউ নষ্ট হয় তাদের। টস টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। তিন পরিবর্তন বাংলাদেশ দলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ হারের পর স্কোয়াডে পাঁচ পরিবর্তন এনেছিল বাংলাদেশ। বোঝাই যাচ্ছিল এ ম্যাচে একাদশে আসবে একাধিক পরিবর্তন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিনটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। সৌম্য, সাব্বির ও তাইজুলের জায়গায় এসেছেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, নাজমুল হোসেন শান্ত ও শফিউল ইসলাম। বাংলাদেশ দল লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন, আফিফ হোসেন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, শফিউল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান ও আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। অভিষেক আমিনুল, শান্তর টেস্ট, ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হলো নাজমুল হোসেন শান্তর।  জাতীয় দলের হয়ে দুই টেস্ট ও তিন টি-টোয়েন্টি খেলেছেন শান্ত।  আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজেকে এখনও মেলে ধরতে পারেননি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান।ক্রিকেটের সবথেকে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে শান্ত নিজের অভিষেক রাঙাতে পারেন কিনা সেটাই দেখার।  বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের সঙ্গে অভিষেক হলো আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের।  আমিনুল বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে টপ অর্ডারে ব্যাটিং করতেন। তবে সম্প্রতি তার লেগ স্পিনে মুগ্ধ হয়েছেন নির্বাচকরা। জাতীয় দলে তাকে নিয়ে আসা হয়েছে লেগ স্পিনার হিসেবে। দেখার বিষয় আচমকা পাওয়া সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেন কিনা ১৯ বছর বয়সী এ ক্রিকেটার। দুই পরিবর্তন জিম্বাবুয়ে দলেও ডু অর ডাই ম্যাচ জিততে জিম্বাবুয়েও দুটি পরিবর্তন এনেছে।  দলে এসেছেন ক্রিস এমপোফু ও রিচার্ড মুতুম্বাবি।  দল থেকে ছিটকে গেছেন টেন্ডাই চাতারা ও ক্রেইগ আরভিন। জিম্বাবুয়ে দল হ্যামিল্টন মাসাকাদজা, ব্রেন্ডন টেলর, শন উইলিয়ামস, নেভিল মাদজিভা, টিনোটেন্ডা মুটুমবডজি, টনি মুনিয়োঙ্গা, কাইল জারভিস, টিমাইসেন মারুমা, রায়ান বার্ল, এমপোফু ও রিচার্ড মুতুম্বাবি। জিতলেই ফাইনালে বাংলাদেশ ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের কাছে হারের তিক্ত স্বাদ পাওয়ার পর জিম্বাবুয়ে হেরেছিল আফগানিস্তানের বিপক্ষে। নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ জয় পেলেও হেরেছিল আফগানিস্তানের বিপক্ষে। ডাবল লিগ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হওয়া এ সিরিজের ফাইনাল হবে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর। আজ জিম্বাবুয়েকে হারাতে পারলে বাংলাদেশ এক ম্যাচ হাতে রেখে চলে যাবে ফাইনালে। জিম্বাবুয়ে হারলে তাদের ফাইনালের স্বপ্ন ভেঙে যাবে। তবে আজ তারা জিতলে টুর্নামেন্ট জমে উঠবে। পাঁচ বছর পর সাগরিকায় টি-টোয়েন্টি ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হয়নি। পাঁচ বছর পর এ মাঠে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি। বাংলাদেশ এ মাঠে ম্যাচ খেলেছে মাত্র চারটি। যার তিনটিতেই হেরেছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের দুই ম্যাচ হারের পর নেপাল ও হংকংয়ের বিপক্ষে বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ জিতলেও বাংলাদেশ হেরেছিল হংকংয়ের কাছে। চট্টগ্রাম/ইয়াসিন