আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের অনুশীলনে আসা নিয়ে ছিল সংশয়। হাতে তিন সেলাই নিয়ে চাইলেই অনুশীলন এড়িয়ে যেতে পারতেন। কিন্তু শুক্রবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বেশ চনমনে দেখা গেল তরুণ এই লেগ স্পিনারকে।
দলের সঙ্গে অনুশীলন করেছেন। হাতে ব্যান্ডেজ নিয়ে বোলিং করেছেন। এর আগে শরীর ঝালিয়ে নিয়েছেন দলের সঙ্গে। স্ট্রেচিং, রানিং করেছেন। তবে ফিল্ডিং অনুশীলনে দেখা যায়নি তাকে। ওই সময়টাই সাইড বেঞ্চে বসে ছিলেন জাতীয় দলের নতুন ক্রিকেটার। তার সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুকে।
যতটুকু জানা গেছে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রাম পর্বের শেষ ম্যাচে তার খেলার সম্ভাবনা নেই। তাকে সময় দিতে চাইছে টিম ম্যানেজমেন্ট। টুর্নামেন্টের ফাইনাল ২৪ সেপ্টেম্বর। এর আগে যদি তার হাতের উন্নতি হয়, তাহলে ফাইনালে খেলানো হবে।
বোলিং মেন্টর ও জাতীয় দলের স্পিন বোলিং কোচ সোহেল ইসলামের সঙ্গে শুক্রবার বোলিং নিয়ে কাজ করেছেন আমিনুল। ফ্রি নেটে তাদের দীর্ঘক্ষণ কাজ করতে দেখা গেছে। তবে বাঁ হাতে ব্যান্ডেজ থাকায় পুরো ছন্দে বোলিং করতে পারেননি আমিনুল।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকেই আলো ছড়িয়েছেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চার ওভারে ১৮ রানে দুই উইকেট নেন আমিনুল। বোলিংয়ের সময় হ্যামিল্টন মাসাকাদজার একটি শট ঠেকাতে গিয়ে বাম হাতের তালুতে কেটে যায় তরুণ লেগ স্পিনারের। ম্যাচ শেষে রাতে যেতে হয় ক্লিনিকে। সেখানে তার হাতের ক্ষত স্থানে তিনটি সেলাই লেগেছে। এরপর থেকেই হাত ব্যান্ডেজ করা রয়েছে।
আরেক স্পিনার তাইজুল ইসলামকে নিয়ে আলাদা কাজ করেছেন স্পিন বোলিং কোচ। বোঝা যাচ্ছে আমিনুলের জায়গায় একাদশে ঢুকতে পারেন তাইজুল। তবে শিশির ভাবনায় বাড়তি পেসার নিতে পারে টিম ম্যানেজমেন্ট। সেক্ষেত্রে রুবেল হোসেনও আছেন বিবেচনায়।
চট্টগ্রাম/ইয়াসিন/পরাগ