খেলাধুলা

যে তিন উইকেটে খেললে উন্নতি হবে টেস্ট ক্রিকেটে

ঘরোয়া ক্রিকেটের মান নিয়ে আঙুল তুলেছেন সাকিব আল হাসান। খেলার এবং উইকেটের মান নিয়ে সাকিবের অভিযোগের শেষ নেই। টেস্ট অধিনায়ককে এও বলতে শোনা গেছে,‘ঘরোয়া ক্রিকেটে রান করে অনেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আসলেও এখানে কিছু করতে পারছে না। দেখার বিষয়, ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেই সমস্যা হচ্ছে কিনা।’

সাকিবের কথা স্পষ্ট, ঘরোয়া ক্রিকেটে মানসম্পন্ন উইকেটে খেলা না হলে এবং খেলোয়াড়দের ভেতরে প্রতিদ্বন্দ্বীতা না বাড়লে টেস্ট ক্রিকেটে কখনোই উন্নতি করতে পারবে না বাংলাদেশ। ক্রিকেটাঙ্গনের সিনিয়র তিন কোচ সারোয়ার ইমরান, মিজানুর রহমান বাবুল ও নাজমুল আবেদীন ফাহিম রাইজিংবিডিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারেও বলেছেন একই কথা।

শেষ কয়েক বছর ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক পারফর্ম করে আসা আব্দুর রাজ্জাক জানালেন, প্রতিদ্বন্দ্বীতা বেড়েছে জাতীয় লিগে। খেলোয়াড়দের ভেতরেও পারফর্ম করার ক্ষুধাও বেড়েছে,‘শেষ পাঁচ বছরে যা খেলেছি, তাতে আমার মনে হয়েছে জাতীয় লিগে এখন আগের থেকে অনেক বেশি প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ হয়। প্রত্যেকটা খেলোয়াড়রা চায় যার যার জায়গা থেকে পারফর্ম করতে। বোলার চায় পাঁচ উইকেট পেতে। ব্যাটসম্যানদের এখন একশতে মন ভরে না! দুইশ আড়াইশ কিংবা তিনশও করতে চায় এখন।’

তবে উইকেটের মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে তারও। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৫৮১ উইকেট পাওয়া রাজ্জাক মনে করেন আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভালো ফল পেতে হলে ঘরোয়া ক্রিকেটের উইকেটের মান বাড়ানো উচিত। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তিন ধরণের উইকেটে খেলানোর পক্ষে বাঁহাতি এ স্পিনার। 

‘স্পিন উইকেট: ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা কিংবা অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে খেললে আমরা টার্ণিং উইকেট নিয়ে থাকি। ওদের দলে একটা-দুইটা স্পিনার থাকে। তাদের জন্য আমাদের ব্যাটসম্যানরা যেন ভয় না পায় সেজন্য জাতীয় লিগে সেই প্রস্তুতি নিতে হবে। ওই একই স্পিন উইকেট আপনি জাতীয় লিগে প্রস্তুত করে দিন। তাহলে দেখবেন প্রতিপক্ষ দলে স্পিনার থাকলেও আপনি স্পিন উইকেট নিয়ে মাঠে নামতে ভয় পাবেন না। অনুশীলন আগের থেকে হয়ে গেলে আমাদের ব্যাটসম্যানরা সাচ্ছন্দ্যে পরিস্থিতি মানিয়ে নিতে পারবে।’ 

‘ব্যাটিং উইকেট: বিভিন্ন দলের বিপক্ষে পরিস্থিতি হয়তো বাধ্য করবে আমাদের ব্যাটিং উইকেট বানাতে। তখন ব্যাটসম্যানদের কাজ অনেক বেশি। ব্যাটসম্যানদের যেন ওই মানসিকতা থাকে যে আমাদের কিভাবে ব্যাটিং করতে হবে লম্বা সময় ধরে। এজন্য ঘরোয়া ক্রিকেটে একই ব্যাটিং উইকেট লাগবে।’

‘সিমিং উইকেট: আমাদের বাইরে যেতে হয়। ইংলিশ কন্ডিশনে বা যে দেশেই যাবো আমাদের জন্য গ্রাসি উইকেট ওরা অফার করবে। সেজন্য আমাদের কিছু ম্যাচ সিমিং উইকেটে হলে ভালো হয়। তাতে হবে কি পেসাররা বুঝে যাবে তাদের কাজটা কি?’

রাজ্জাকের বিশ্বাস সামনেই সুসময় আসছে বাংলাদেশের ক্রিকেটে। ট্রানজেকশন পিরিয়ড কাটিয়ে উঠলে ভালো ফল পাবে জাতীয় দল,‘যেভাবে আগাচ্ছে খারাপ বললে ভুল হবে। কিছু কিছু প্রক্রিয়া আমাদের দেশে যেভাবে চালু হয়েছে সেটা পরিবর্তনের জন্য সময় লাগবে। টার্ণওভারের সময়টা একটু কঠিন হয়। এখন সেই টার্ণ ওভারের সময়টা চলছে। একটু কঠিন সময় আসবে। সেটাও কেটে যাবে দ্রুত।’ ঢাকা/ইয়াসিন