খেলাধুলা

‘ওসব’ আর ভাবেন না ইমরুল

ওয়ালটন ২১তম জাতীয় ক্রিকেট লিগের প্রথম রাউন্ডে খুলনা ও রংপুরের ম্যাচে ফল আসেনি। তবে ব্যাট হাতে দারুণ ফল পেয়েছেন জাতীয় দলের বাইরে থাকা ইমরুল কায়েস।

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দ্বিতীয় আর জাতীয় লিগে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ইমরুল। ইনিংসজুড়েই ছিল দৃষ্টিনন্দন সব শর্ট। পুরো ইনিংসে প্রতিপক্ষকে সুযোগ দেননি একবারের জন্যও।

দারুণ এই ইনিংসে তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন শেষ দুই ব্যাটসম্যান  রুবেল হোসেন ও আল আমিন হোসেন। দুজনকেই কৃতিত্ব দিয়েছেন এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান।

জাতীয় লিগের এই ডাবল সেঞ্চুরির পর নিঃসন্দেহে ভারত সফরের জন্য ইমরুলকে নিয়ে ভাবতেই হবে নির্বাচকদের। তবে সেই ভাবনার বাইরে আপাতত নিজেকে ফিরে পাওয়াতেই বেশি খুশি ইমরুল। খুলনার জন্য রান করতে পেরেও খুশি তিনি। রোববার ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এমন কথাই বললেন ইমরুল।

গত কিছুদিন ম্যাচে না থাকলেও নিজের ফিটনেসের প্রতি যত্নবান ছিলেন ইমরুল, ‘মাঝে আমার কিছুটা বাজে সময় গেছে, পরিবার নিয়ে, সবকিছু নিয়ে, তারপরও কিন্তু আমার চিন্তা বলেন, আমার চেষ্টা বলেন কোনো কিছুতেই আমি ত্রুটি করিনি। যেখানেই সুযোগ পেয়েছি যখনই সুযোগ পেয়েছি অনুশীলন করেছি। এমনকি সিঙ্গাপুরে যখন আমি ছিলাম, হোটেলে আমি জিম করেছি। চেষ্টা করেছি ফিটনেসটা ধরে রাখার জন্য। একটা লক্ষ্য থাকে সুযোগটা কাজে লাগানোর জন্য। আমি ব্যক্তিগতভাবে এই এনসিএলে খুব সিরিয়াস। আমি জানি আমার এখান থেকে অনেক কিছু করার আছে। আর নিজে রান করলে এর থেকে খুশি আর কেউ হয় না, নিজের যে অনুভূতিটা হয়, সেটা হয়তো অন্য অনেক কিছুই দিয়ে পাওয়া যায় না। নিজের ভালো থাকার জন্যই হয়তো এখন ভালো খেলার চেষ্টাটা করে যাচ্ছি।’

দারুণ এই ডাবল সেঞ্চুরি কি নির্বাচকদের বার্তা দিল? ভারত সফরের দলে জায়গা পাওয়া কি তবে নিশ্চিত? ইমরুল বললেন, ‘আপাতত ওসব চিন্তা করছি না। আমি এখন আর এসব চিন্তা করি না, আমি ভালো খেললে ওই সিরিজে থাকব বা খারাপ খেললে বাদ পড়ব। আমি এখন চেষ্টা করে যাই, যেখানেই খেলি না কেন ভালো খেলব। এখন আমি খুলনা বিভাগের হয়ে খেলছি। চেষ্টা করব আমি খুলনা বিভাগকে কতটুকু দিতে পারছি বা কতটুকু সাহায্য করতে পারছি। আমার লক্ষ্য এখন এটা। যদি আবার বাংলাদেশ দলে খেলি আমি চেষ্টা করব বাংলাদেশ দলকে কিছু দেওয়ার।’

জাতীয় লিগে খুলনা দলে টিকে থাকতেও পারফর্ম করার বিকল্প নেই। দ্বিতীয় রাউন্ডে বেশ কয়েকজনকে জায়গা ছেড়ে দিতে হবে। এটাও জানেন তিনি। তাই খুলনাতেও পারফর্ম করাই মূল লক্ষ্য বলে জানালেন ইমরুল, ‘জিয়া এতদিন ধরে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলছে, সে কিন্তু পরের রাউন্ডে নেই, যারা জাতীয় দলের খেলোয়াড় আসছে তাদের জন্য জায়গা ছেড়ে দিতে হচ্ছে। অনেক খেলোয়াড় আছে যারা পারফর্ম করেও এখানে থাকতে পারছে না। আমার কাছে মনে হয় খুলনা টিমে যে প্রতিযোগিতা, সেটা হয়তো অন্যান্য টিমে নেই। এটা খুলনা বিভাগের জন্য ভালো, কারণ যারা পরবর্তী খেলোয়াড় আছে তারা বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিবে, যারা সিনিয়র বা জাতীয় দলের খেলোয়াড় আছে তাদের মধ্যেও এটা কাজ করবে যে, এখানে পারফর্ম না করলে টিকে থাকা যাবে না।’

নিজের ডাবল সেঞ্চুরি নিয়ে ইমরুল বলেন, ‘আমি যখন ক্রিজে এসেছি তখন সবকিছুই নতুন, ১০০ করার পরে বাকিটা সহজ হয়ে যায়। আমার আজকের ডাবল সেঞ্চুরিতে বড় অবদান রুবেলের। ও যে সাপোর্টটা দিয়েছে সেটা অবিশ্বাস্য। ও এই সাপোর্টটা না দিলে এটা করা হয়তো আমার সম্ভব হতো না। পরের ১০০টাও ভালো হয়েছে। সময়ও কম ছিল, বড় শর্ট খেলতে হয়েছে। ১৫০-এর পরে চার-পাঁচটা ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়েছি। সব মিলিয়ে আমি খুশি।’ খুলনা/রুবেল/পরাগ