খেলাধুলা

জঘন্যতম বোলিং আক্রমণ পাকিস্তানের!

অস্ট্রেলিয়া সফরে টেস্ট সিরিজটা পাকিস্তানের জন্য কেটেছে দুঃস্বপ্নের মতো। দুই টেস্টেই ইনিংস ব্যবধানে হেরেছে আজহার আলীর দল। স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের সামনে অসহায় লেগেছে পাকিস্তানের বোলারদের। সাবেক অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক রিকি পন্টিং বলছেন, তাদের মাটিতে পাকিস্তানের মতো এত বাজে বোলিং আক্রমণ তিনি আগে আর দেখেননি।

ব্রিসবেনে প্রথম টেস্টে তাও অস্ট্রেলিয়াকে অলআউট করতে পেরেছিল পাকিস্তানের বোলাররা। অ্যাডিলেডে সোমবার শেষ হওয়া গোলাপি বলের টেস্টে সেটাও পারেনি। একমাত্র ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া ৩ উইকেটে তোলে ৫৮৯ রান। ডেভিড ওয়ার্নার একাই করেন অপরাজিত ৩৩৫ রান। ১৬২ রান করেন মার্নাস লাবুশেন।

পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে উইকেট নিতে পারেন শুধু শাহিন শাহ আফ্রিদি। এই পেসার অস্ট্রেলিয়ার পতন হওয়া ৩টি উইকেটই নেন ৮৮ রান দিয়ে। অন্য দুই পেসার মোহাম্মদ আব্বাস ২৯ ওভারে ১০০ ও অভিষিক্ত মোহাম্মদ মুসা ২০ ওভারে দেন ১১৪ রান।

লেগ স্পিনার ইয়াসির শাহ তো টানা দ্বিতীয় টেস্টে রান দেওয়ার ডাবল সেঞ্চুরি করতে যাচ্ছিলেন! ৩২ ওভারে তিনি দেন ১৯৭ রান, ওভারপ্রতি ছয়ের বেশি। দুই ম্যাচে ৮০.৪ ওভারে ৪০২ রান দিয়ে ইয়াসির উইকেট পান মাত্র ৪টি। পাকিস্তানের এই বোলিং আক্রমণ নিয়েই মন্তব্য করেছেন পন্টিং।

অ্যাডিলেড টেস্ট চলাকালীন সময়ে পন্টিং ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ওয়েবসাইটে বলেন, ‘পাকিস্তানের বোলাররা খুব দুর্বল। টেস্টে কোনো দলের বোলিং আক্রমণ হওয়ার ক্ষেত্রে ওরা ভয়াবহ। আমাদের দেশে খেলতে আসা কোনো দলের এত বাজে বোলিং আক্রমণ দেখেছি কি না, মনে পড়ছে না।’

পন্টিং পাকিস্তানের দল নির্বাচন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। প্রথম টেস্টে অভিষেক হয়েছিল ১৬ বছর বয়সি পেসার নাসিম শাহর। প্রস্তুতি ম্যাচের মতো প্রথম টেস্টেও গতির ঝড় তুলে সবার নজর কাড়েন নাসিম। কিন্তু নাসিমের জায়গায় অ্যাডিলেডে অভিষেক হয় ১৯ বছর বয়সি মুসার। পন্টিং মনে করেন, মুসা এখনো টেস্টে বল করার মতো পরিণত হয়ে ওঠেননি।

‘আমি তো বুঝতেই পারছি না যে, কেন ১৬ বছরের নাসিম এই টেস্টে খেলছে না। পাকিস্তান খেলাচ্ছে মুসাকে, যে এর আগে মাত্র সাতটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছে। ওকে তো আমার টেস্ট ম্যাচের বোলার বলেই মনে হচ্ছে না’- বলেন অস্ট্রেলিয়ার দুবারের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। ঢাকা/পরাগ