খেলাধুলা

বঙ্গবন্ধু জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের পৃষ্ঠপোষক ওয়ালটন

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে নানা আয়োজনের একটি ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২০’। যেখানে দেশের ৬৩টি জেলার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা বোর্ড ও সার্ভিসেস দলসহ মোট ৭৮টি দল অংশ নিবে।

দলগুলো নিয়ে আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে এই টুর্নামেন্ট। আর এই টুর্নামেন্টের পৃষ্ঠপোষক হয়েছে ক্রীড়াবান্ধব প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন গ্রুপ। আজ মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে ওয়ালটন গ্রুপকে টুর্নামেন্টের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ঘোষণা করা হয়। হয় চুক্তি স্বাক্ষর।

চুক্তি স্বাক্ষর ও সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন বাফুফের সভাপতি কাজী মো. সালাহউদ্দিন, বাফুফের সদস্য ও ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২০’ এর আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ, ফিফা কাউন্সিল মেম্বার, বাফুফে মহিলা ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ, ওয়ালটন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক এফএম ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন) ও বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগসহ অন্যান্যরা।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে হারুনুর রশীদ বলেন, ‘কালকে থেকে আমাদের বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হচ্ছে। তার একদিন পরেই বঙ্গবন্ধু জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হবে। এই টুর্নামেন্টটি মাঝে কিছুদিন হয়নি। এখন থেকে প্রতি বছর বঙ্গবন্ধুর নামেই হবে। ধন্যবাদ জানাই ওয়ালটন গ্রুপকে। তারা আমাদের প্রত্যেক খেলার মাঝেই জড়িত। দেশের খেলাধুলাকে তারা সহযোগিতা করে সে জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই স্পেশালভাবে।’

কাজী মো. সালাহউদ্দিন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ হোম অ্যান্ড অ্যাওয়েতে খেলা হবে। এটা আমাদের অনেক দিনের আকাঙ্খা ছিল। অনেক দিনের স্বপ্ন ছিল। এবার আমরা এটা করতে পেরেছি। প্রত্যেকটা জেলা এই টুর্নামেন্টটাকে খুব ভালোভাবে গ্রহণ করেছে। তারা খুব খুশি যে প্রত্যেকটা স্টেডিয়ামে খেলা হবে। আশা করছি ভালোভাবে এটা আমরা শেষ করতে পারব। ওয়ালটন গ্রুপকে ধন্যবাদ। তারা এই টুর্নামেন্টের পাশে দাঁড়িয়েছে।’

এফএম ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন) বলেন, ‘মুজিব বর্ষের প্রথম টুর্নামেন্টে থাকতে পেরে আমরা আনন্দিত। এটা বড় একটি টুর্নামেন্ট। সারাদেশে খেলা হবে। ৭৮টি দল অংশ নিবে। আশা করছি এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমে ভালো কিছু খেলোয়াড় উঠে আসবে। তারা জাতীয় দলের পাইপলাইন সমৃদ্ধ করবে। যথারীতি এই টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত পর্বের প্রত্যেক ম্যাচ, ফাইনাল ম্যাচে খেলোয়াড়দের জন্য ওয়ালটনের গিফট সামগ্রী পুরস্কার হিসেবে থাকবে।’

সবশেষ ২০০৭ সালে আয়োজিত হয়েছিল এই টুর্নামেন্ট। ১৩ বছর পর বঙ্গবন্ধুর নামে আবার মাঠে গড়াতে যাচ্ছে। জেলা ফুটবল দলগুলোকে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, শীতলক্ষা, ব্রহ্মপুত্র, বুড়িগঙ্গা চিত্রা ও সুরমা জোনে ভাগ করা হয়েছে। সুরমা বাদে প্রতি অঞ্চলে আটটি করে দল রয়েছে। আট দলকে চার জোড়ায় ভাগ করে নক আউট ম্যাচ হবে। প্রথম পর্যায়ে চারটি দল জিতবে। এই চার দলের মধ্যে আবার দুই জোড়া করে নক আউট হবে। সেই দুই নক আউট জয়ীদের মধ্যে জোনাল চ্যাম্পিয়নের লড়াই হবে। জোনাল চ্যাম্পিয়ন দল চূড়ান্ত পর্বে খেলবে। আট জোন থেকে আটটি ও সার্ভিসেস দল থেকে দুটিসহ মোট ১০টি দল চূড়ান্তপর্ব খেলবে।

সুরমা অঞ্চলে কিশোরগঞ্জ না থাকায় মৌলভীবাজার, সিলেট ও সুনামগঞ্জ হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে গ্রুপ ভিত্তিক খেলবে। জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনগুলোকে এই চ্যাম্পিয়নশিপ উপলক্ষ্যে ১ লাখ ৫০ হাজার ও সার্ভিসেস,বিশ্ববিদ্যালয় ও বোর্ডকে ৫০ হাজার টাকা অংশগ্রহণ ফি দেবে বাফুফে। প্রত্যেক দলকে দুই সেট জার্সি দেওয়া হবে। ঘরের মাঠে লাল জার্সি ও অ্যাওয়ে ম্যাচে সবুজ জার্সি পড়ে খেলবে। ঢাকা/আমিনুল