খেলাধুলা

মাঠের বাইরে ‘অলরাউন্ডার’ সাকিব

ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব গোপন করায় সাকিব আল হাসান নিষিদ্ধ হয়েছেন এক বছর। গত ৩০ অক্টোবর আইসিসি সাকিবকে ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করে। তার নিষেধাজ্ঞার কেটেছে আড়াই মাস।

বিশ্বের অন্য ক্রিকেটাররা নিষিদ্ধ হওয়ার পর তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় স্পন্সর প্রতিষ্ঠানগুলো। বেশিরভাগ সময় শুভেচ্ছা দূত করা প্রতিষ্ঠানগুলোও তাদের ছেড়ে চলে যায়।

এর বড় প্রমাণ অস্ট্রেলিয়ার স্টিভেন স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার। বল টেম্পারিংয়ে তারা নিষিদ্ধ হওয়ার পর হারিয়ে ফেলেন একাধিক বিজ্ঞাপন। ওয়ার্নার কোরিয়ান কোম্পানি এলজির স্পন্সরশিপ হারান। ওয়ার্নারের সঙ্গে এসিকস এবং স্মিথের সঙ্গে নিউ ব্যালেন্স চুক্তি বাতিল করে। স্ট্যান্টিয়াম তাদের ওয়েবসাইট থেকে স্মিথের সকল ছবি, পোস্ট মুছে দেয়।

সেখানে সাকিব দুই-একটি কোম্পানির বিজ্ঞাপন হারালেও নতুন করে একের পর এক পণ্যের শুভেচ্ছা দূত হচ্ছেন। কীভাবে সম্ভব হচ্ছে? একটু রাগ হয়েই সাকিবের উত্তর, ‘আপনি একটু চেষ্টা করেন কারণ খুঁজে বের করার।’ এর আগে সম্পূরক প্রশ্নে অবশ্য বলেছেন, ‘আসলে সব কিছু বাদ দিয়ে আগে যেহেতু একটা কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলাম, এখন যেহেতু কাজটা নেই। অন্য সব কাজ করার সুযোগ হচ্ছে। ’

সেই সাথে সাকিব জুড়ে দিলেন জীবনের বাস্তবতা, ‘বাংলাদেশে অনেকবারই শুনেছেন কিংবা এই কথা প্রচলিতও আছে- জীবিত থাকতে মর্মটা বোঝা যায় না। আমার ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে আমি জীবিত থাকতে মর্মটা বুঝতে পারছি। আমি খুশি, যেহেতু সবার ভালোবাসা আছে। এখানে আমার দায়িত্বটা বেড়ে যায় স্বাভাবিকভাবে। আমি চেষ্টা করব এই দায়িত্বটা পালন করতে। ’

বুধবার সাকিবের সঙ্গে আরও তিন বছরের জন্য চুক্তি করেছে হেলথ সোপ ব্র্যান্ড লাইফবয়। এর আগে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে ৮ বছরের চুক্তি ছিল সাকিবের। ঢাকা/ইয়াসিন/পরাগ