খেলাধুলা

জয়ের সুবাস পাচ্ছে ওয়ালটন

এনামুল হক বিজয় ও শামসুর রহমানের জুটি ভয় দেখাচ্ছিল ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোনকে।

কিন্তু শেষ বিকেলে স্বরূপে ফেরে বিসিএলের দুই বারের চ্যাম্পিয়নরা। পরপর দুই ওভারে দুই সাফল্য ওয়ালটনের। প্রথমে শুভাগত হোম ফেরান সেঞ্চুরির পথে থাকা বিজয়কে। পরের ওভারেই মিরাজ আটকে দেয় নতুন ব্যাটসম্যান ইরফান শুক্কুর।

শেষ বিকেলে দুই উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে বিসিবি সাউথ জোন। ৫০৭ রান তাড়া করতে নেমে ৪ উইকেটে ১৫৯ রানে দিন শেষ করেছে বিসিবির দলটি। অন্যদিকে ওয়ালটন অপেক্ষায় আছে আরেকটি জয়ের। সোমবার শেষ দিনে সাউথ জোনের ৬ উইকেট পেলে বিজয়ের পতাকা উড়িয়ে বিসিএলের অষ্টম আসরের ফাইনালে যাবে ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন। কাজটা মোটেও মিরাজ, মুস্তাফিজদের জন্য কঠিন নয়। দ্বিতীয় রাউন্ডের শেষ দিনে ৫ উইকেট নিয়ে বিসিবি নর্থকে হারিয়েছিল শিরোপা প্রত্যাশিরা।

কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার দিনটি ছিল ওয়ালটনের। শুরুতেই ওয়ালটনের ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত তুলে নেন প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি। এরপর ব্যাট হাতে ঝড় তুলে দলের রান নিয়ে যান চূঁড়ায়। প্রথম ইনিংসে ২৩৫ রান করা ওয়ালটন শান্তর অপরাজিত ২৫৩ ইনিংসের সুবাদে দ্বিতীয় ইনিংসে করে ৩৮৫ রান। এর আগে প্রথম ইনিংসে ১২১ রানের লিড পেয়েছিল দল। তাতে বিসিবি সাউথ জোনের কাঁধে চাপে বিশাল রানের বোঝা।

১২২ রানে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিলেন শান্ত। ব্যাটিং দ্যুতি ছড়িয়ে আজ প্রথম সেশনে তুলে নেন আরও ৬৯ রান। এ সময়ে দুই ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফিরলেও শান্ত ছিলেন অবিচল। ওয়ালটনকে প্রায় একাই টেনেছেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ১৯১ রান নিয়ে গিয়েছিলেন মধ্যাহ্ন বিরতিতে। সেখান থেকে ফিরে মেহেদী হাসানকে উড়ান ছক্কা। এক ওভার পর ডানহাতি অফস্পিনারকে আরেকটি ছক্কায় উড়িয়ে শান্ত পৌঁছে যান মাইলফলকে। ২৯১ বলে ২৩ চার ও ৩ ছক্কায় বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ডাবলের স্বাদ পান। এর আগে ২০১৭ সালে জাতীয় ক্রিকেট লিগে ১৯৪ রান করেছিলেন ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে।

ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবলের পর ছক্কা বৃষ্টি নামান কক্সবাজারে। পরের ১৬ বলে ৬ ছক্কা হাঁকিয়ে দ্রুত আড়াইশর ঘরে পৌঁছে যান এ ব্যাটসম্যান। একটা সময় মনে হচ্ছিল তিনশও হয়ে যাবে। কিন্তু সেই সময়ে ইনিংস ঘোষণার ডাক আসে। ৩১০ বলে ২৫ চার ও ৯ ছক্কায় ক্যারিয়ার সেরা ২৫৩ রানের ইনিংসটি খেলেন শান্ত। শুভাগত হোম যখন ইনিংস ঘোষণা করেন তখন ওয়ালটনের লিড ৫০৬ রান।

বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই পিছিয়ে যায় বিসিবি সাউথ জোন।  মুস্তাফিজ ৫ রানে স্লিপে তালুবন্দি করান শাহরিয়ার নাফিসকে। এরপর ফজলে মাহমুদকে নিয়ে এগিয়ে যান বিজয়। কিন্তু হাল ছাড়েন ফজলে মাহমুদ। ওয়ালটনকে ব্রেক থ্রু এনে দেন মিরাজ। ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফজলে মাহমুদ আউট হন ২৫ রানে। তৃতীয় উইকেটে ৫৯ রান আসে বিজয় ও শুভর ব্যাট থেকে। মনে হচ্ছিল তাদের জুটি আরও বড় হবে।

কিন্তু ওয়ালটনের অধিনায়কের জুটি ভাঙার উত্তর জানা ছিল। ৮৩ রানে বিজয় মিড উইকেটে ক্যাচ দেন শান্তর হাতে। এরপর ইরফান শুক্কুরকে স্লিপে তালুবন্দি করান মিরাজ। শেষ বিকেলে জোড়া সাফল্য জয়ের পথে এগিয়ে যায় ওয়ালটন।

হাসিমুখে দিন শেষ করেছে ওয়ালটন। দেখার বিষয় সোমবার দলকে জয় এনে দিতে পারে কিনা বোলাররা। ঢাকা/ইয়াসিন