খেলাধুলা

‘আমরা সাকিব ভাইয়ের মতো না, এটাই সত্য’

বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের হয়ে সাদা পোশাকে সব থেকে বেশি উইকেট নিয়েছেন সাকিব আল হাসান।

৫৬ টেস্টে ২১০ উইকেট পাওয়া সাকিব দেশের বাইরে ১৯ টেস্টে নিয়েছেন ৬৮ উইকেট। বোলিং গড় ৩১.২২। বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের টেস্ট পারফরম্যান্স যাচ্ছেতাই। সবশেষ চার টেস্টে তো নেই কোনো সুখস্মৃতি। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে দ্বিতীয় টেস্টের পর ভারতের বিপক্ষে দুটি ও পাকিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে একেবারেই নির্বিষ হয়ে ছিল বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ। বিশেষ করে স্পিনারদের তো খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছিল না।

সবশেষ চার টেস্টেই দলের সঙ্গে ছিলেন না সাকিব। স্পিন আক্রমণের নেতৃত্বে ছিলেন তাইজুল। কিন্তু দলের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি বাঁহাতি এ স্পিনার। সাফল্য পাননি মেহেদী হাসান মিরাজরাও। দেশের বাইরে সাকিবের উপস্থিতিতে স্পিন আক্রমণের চিত্র একরকম, সাকিব অনুপস্থিতিতে চিত্র অন্যরকম। অনেকেই মনে করছেন, স্পিনারদের ব্যর্থতা দলের বর্তমান পারফরম্যান্সের বড় কারণ! বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল তাইজুলের কাছে।

মঙ্গলবার মিরপুরে তাইজুল বলেন, ‘যদি এরকম হয়ে থাকে…তাহলে আমরা এখন যারা আছি তারা ভালো স্পিনার না। সাকিব ভাইয়ের মতো না। এটাই সত্যি। সাকিব ভাই থাকলে যেহেতু ভালো হতো এখন যেহেতু হচ্ছে না তাহলে আমরা ভালো না।’

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েলিংটনে তাইজুল ২১ ওভার বোলিং করে ৯৯ রানে নিয়েছিলেন ২ উইকেট। ভারতের বিপক্ষে ইন্দোর ও ইডেনে ২ ম্যাচে ৫৩ ওভার বোলিং করে পেয়েছেন ১ উইকেট। পাকিস্তানে ৪১ ওভার হাত ঘুরিয়েছেন। ১৩৯ রান দিয়ে পেয়েছেন ১ উইকেট। দেশের মতো বিদেশের মাটিতে তাইজুলের সাফল্য নেই। ১০ টেস্টে ৬০.০৪ গড়ে উইকেট পেয়েছেন ২১টি।

বিদেশের মাটিতে বোলিংয়ের যে সামর্থ্য, দক্ষতা ও পারদর্শিতা প্রয়োজন তা কি বর্তমান স্পিনারদের রয়েছে? অকপটে তাইজুল স্বীকার করেছেন, ‘সাফল্য পেতে হলে ওই (সাকিবের) মানের খেলোয়াড় আসতে হবে। এখন নাই ওই মানের খেলোয়াড়। এটাই তো।’

২২ ফেব্রুয়ারি জিম্বাবুয়েকে আতিথেয়তা দিতে নামবে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে পাঁচ পেসার ও তিন স্পিনার নিয়ে স্কোয়াড তৈরি করেছে বিসিবি। স্পিনারদের ফর্ম খারাপ বলেই কি পাঁচ পেসার স্কোয়াডে। বিষয়টি এড়িয়ে গেলেন তাইজুলও, ‘এই কারণেই (ব্যর্থতার কারণ) পেসার নেওয়া হয়েছে কিনা তা জানি না। বললাম তো, ওই মানের স্পিনার আসলে হইনি বলে রেজাল্ট হচ্ছে না।’ ঢাকা/ইয়াসিন/কামরুল