খেলাধুলা

হঠাৎ মেসি রেগে গেলেন কেন!

শিরোনাম পড়ে চোখ কপালে উঠলো? ওঠারই কথা। তবে মেসি সমর্থকদের তাতে বয়েই গেছে। বিশ্বের সেরা ফুটবলারের এমন রেগে যাওয়াই তো সমর্থকদের জন্য আনন্দের।

ন্যু ক্যাম্পে একটি নয় দুটি নয়, চার-চারটি গোল করলেন লিওনেল মেসি। চার ম্যাচে গোল না করার আগুণে পুড়ল এইবার। মেসির দেওয়া এক হালি গোলের সুবাদে লা লিগার ম্যাচে এইবারকে ৫-০ ব্যবধানে হারাল বার্সেলোনা। অন্য গোলটি এসেছে আর্থারের পা থেকে। অধিনায়কের অতিমানবীয় পারফরম্যান্সের দিনে লা লিগায় আবার শীর্ষে উঠলো কাতালান ক্লাবটি।

২৫ ম্যাচে ১৭ জয় ও ৪ ড্রয়ে ৫৫ পয়েন্ট বার্সেলোনার। এক ম্যাচ কম খেলে দুই পয়েন্ট পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।

ন্যু ক্যাম্পে প্রথমেই জালে বল জড়ায় এইবার। তবে অফসাইডের বাঁশি বাজান রেফারি। এরপরে শুরু মেসি জাদু। ৩৯৮ মিনিটের গোলখরা কাটিয়ে ম্যাচের ১৪ মিনিটে ইভান রাকিটিচের অ্যাসিস্টে করেন গোলের সূচনা। ৩৭ মিনিটে ভিদালের পাসে বার্সাকে এগিয়ে নেন দ্বিগুণ ব্যবধানে। এর তিন মিনিট পর পূর্ণ করেন লা লিগায় নিজের ৩৬তম হ্যাটট্রিক। চলতি মৌসুমে লা লিগায় এটি তার তৃতীয় হ্যাটট্রিক। এর আগে সেল্টা ভিগো ও রিয়াল মায়োর্কার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন তিনি।

এদিন অভিষেকে নজর কেড়েছেন চলতি সপ্তাহে বার্সায় যোগ দেওয়া মার্টিন ব্রাথওয়েট। শেষ দুটি গোলে অবদান রাখেন ২৮ বছর বয়সী এই ড্যানিশ ফরোয়ার্ড। ৮৭ মিনিটে তার অ্যাসিস্টে মেসি করেন চতুর্থ গোল। এই চার গোলের সুবাদে মেসির গোলসংখ্যা দাঁড়ালো ১৮ তে। চলতি আসরে যা সর্বোচ্চ।

এবারের আসরে সর্বোচ্চ ১২টি অ্যাসিস্টও তার। দুই মিনিট পর ব্রাথওয়েট সরাসরি শট করেন গোলমুখে। গোলরক্ষক ঠেকালেও বলের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেননি। ফিরতি বল জালে পাঠান ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার আর্থার।

আগামী ১ মার্চ নিজেদের পরবর্তী লিগ ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা।

আজকের ম্যাচ নিয়ে ক্যারিয়ারে পঞ্চমবারের মতো ম্যাচে ৪ গোলের কৃতিত্ব দেখালেন মেসি। প্রায় ৭ বছর পর পেলেন ৪ গোলের দেখা। প্রথমবার চার গোল করেছিলেন ২০১০ সালের এপ্রিলে আর্সেনালের বিপক্ষে।

এরপরে ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঘরের মাঠে ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে। একই বছর লা লিগায় আবার করেছিলেন চার গোল। সেটা ছিল এস্পানিওলের বিপক্ষে। সবশেষ ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে লা লিগায় ওসাসুনার বিপক্ষে করেছিলেন চার গোল। ঢাকা/কামরুল/আমিনুল