অধিনায়ক হিসেবে চতুর্থ টেস্টে বাংলাদেশকে জয় এনে দিয়েছেন মুমিনুল হক। জিম্বাবুয়েকে মিরপুর শের-ই-বাংলায় স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি মুমিনুল হকও পেয়েছেন সেঞ্চুরির স্বাদ। মাঠে নিজে পারফর্ম করেছেন, দল ভালো করেছে। দুইয়ের মিশেলে মুমিনুল ঢাকায় কাটিয়েছেন ভালো সময়। জিম্বাবুয়েকে হারানোর পর অধিনায়ক মুমিনুলই এসেছিলেন সংবাদ সম্মেলনে। সেখানে তার কথা শুনেছে রাইজিংবিডি,
প্রথম জয় আসল চতুর্থ টেস্টে। স্বস্তি ফিরেছে?
মুমিনুল হক: আসলে স্বস্তি না ঠিক। দল যেভাবে কাজ করবে, যেমনটা হওয়া উচিত সেভাবেই ফল আসবে। আমরা খেলোয়াড়রা কিভাবে কাজ করবো, কিভাবে খেলতে চাই সেটা দেখতে চাচ্ছিলাম। এটা আমি অনুভব করতে চাচ্ছিলাম। আমার কাছে মনে হয়, প্রথম ইনিংস থেকে আপনারা খেয়াল করেছেন। পেস বোলার থেকে শুরু করে স্পিনার এমনকি ব্যাটসম্যানরা পর্যন্ত সবাই যা করার দরকার সেভাবে কাজ করেছে। এই কারণে আমার কাছে মনে হয় ফলাফলটি এসেছে।
অধিনায়ক হিসেবে আপনি অবদান রেখেছেন। সেটা কতটুকু ভালো?
মুমিনুল হক: হ্যাঁ অবদান রাখতে পারলে ভালো। আমার কাছে মনে হয় অধিনায়ক হিসেবে এবং দলের একজন সদস্য হিসেবে সবসময় সবার কাছে এটা কাম্য, যদি আপনি কিছু করতে পারেন। আমার মনে হয় আমি দলের জন্য কিছু অবদান রাখতে পেরেছি এবং সেটা করতে পারলে অনেক ভালো লাগে। ছোট ছোট অবদান রাখাটাও অনেক বেশি কিছু।
সামনে তো আবার একই চ্যালেঞ্জ। বিদেশে ভালো করা এবং অধিনায়কত্ব করাও….
মুমিনুল হক: আমি সবসময় যে জিনিসটা চেষ্টা করছি, দেশেও যেমন টেস্ট জিততে চাই তেমন আমি স্বপ্ন দেখি বিদেশেও ভালো ক্রিকেট খেলবো। সেই হিসেবে চিন্তা করলে আমাকে পেস বোলারদের বোলিং করাতে হবে, তারা বোলিং না করলে শিখবে না। আর এই কারণে হয়তো এবারের উইকেটটা সেভাবে তৈরি করা। এটা আসলে চ্যালেঞ্জ না। আমরা তৈরি ছিলাম যে এমন কিছু করতে পারবো। আল্লাহ্র কাছে শুকরিয়া যে আমরা জিনিসটা বেশ ভালোভাবে হ্যান্ডেল করতে পেরেছি।
দেশে ব্যাটসম্যানরা যেমন স্বাচ্ছন্দ্যে থাকে, বিদেশে কেন থাকছে পারছে না?
মুমিনুল হক: আমার কাছে মনে হয় এখানে মাইন্ডসেটটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ক্রিকেটের ৯০ ভাগই মাইন্ডসেটের উপরে নির্ভর করে।
হুট করে অধিনায়কত্ব পেয়েছেন, এখন জয় পেয়েছেন। অনুভূতিটা কেমন?
মুমিনুল হক: আমি সবসময় যে জিনিসটা আশা করি এবং চেষ্টা করি, বড় আশা করতে। আমি কোনো সময় চাপের মধ্যে ছিলাম না। শুরুর দিকে একটু খারাপ হলে হতে পারে। এটা হতেই পারে। আপনার যখন ভালো হবে তখন ধীরে ধীরে ভালো হতে থাকবে। আমার কাছে উন্নতি করাটাও গুরুত্বপূর্ণ। আগামী যে পাকিস্তান সিরিজ আছে সেখানে আমি কেমন এবং দল হিসেবে ক্রিকেটাররা কেমন করছে সেটার দিকে তাকিয়ে আছি। আজকের দিনটি তো চলে গেছে, সেটা তো আর আসবে না। এর আগে যে তিনটি ম্যাচ হেরেছি সেখান থেকে আমি কি শিক্ষা নিতে পেরেছি অধিনায়ক এবং ক্রিকেটার হিসেবে সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।
সিনিয়ররা অধিনকায়ত্বে সাহায্য করে?
মুমিনুল হক: আমি ভারত সিরিজ থেকে যখন দায়িত্ব নিয়েছি তখন থেকে আমি সিনিয়রদের কাছ থেকে শতভাগ সহযোগিতা পাচ্ছি। এখন পর্যন্ত আমি সিনিয়র ক্রিকেটারদের নিয়ে খুব খুশি। মাঠে দেখেন কিংবা মাঠের বাইরে দেখেন আমি শতভাগ সফলতা পাচ্ছি।
এই জয় পাকিস্তানে কাজে লাগবে?
মুমিনুল হক: অবশ্যই, একটা জয় থাকলে তো আমার কাছে মনে হয় পুরো দলই আত্মবিশ্বাস ফিরে পায়। আমার কাছে মনে হয় পাকিস্তানে কাজে দিবে এ জয়। ঢাকা/ইয়াসিন/কামরুল