খেলাধুলা

মাশরাফির ৮ ওভারের স্পেল ও ফিটনেস চ্যালেঞ্জ

‘কিছু বলার নেই। ধন্যবাদ।’ – শেষ প্রশ্নের জবাব এভাবেই হাসিমুখে দিয়ে সংবাদ সম্মেলন কক্ষ ত্যাগ করেন মাশরাফি বিন মুর্তজা।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর ম্যাচ শেষে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন মাশরাফি। ফিটনেস চ্যালেঞ্জ নিয়ে জানতে চেয়েছিলেন একজন গণমাধ্যমকর্মী। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টানা আট ওভার বল করে মাশরাফি নিজের ফিটনেসের বড় পরীক্ষা দিয়েছেন। সেই চ্যালেঞ্জ কি নিজ থেকেই গ্রহণ করেছেন নাকি টিম ম্যানেজমেন্টের চাওয়ায়? নাকি ম্যাচ পরিস্থিতিতে?

ফিটনেস ইস্যুতে মাশরাফি বলেছেন, ‘কিছু বলার নেই।’ সেই না বলার মধ্যে অনেক কথা লুকিয়ে আছে। কারণ, প্রথম ওয়ানডে খেলার আগেই তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘কাউকে প্রমাণ দিতে ক্রিকেট খেলিনি, নিজের জন্য ক্রিকেট খেলেছি। আমি বাংলাদেশের হয়ে খেলেছি, বাংলাদেশকে জেতানো আমাদের প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ের দায়িত্ব। সেরাটা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। সেটা আমরা সব সময় চেষ্টা করি।’

সেই চেষ্টায় দীর্ঘদিন পর মাঠে ফিরে দুই ম্যাচ খেলে ফেলেছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। প্রথম ওয়ানডেতে ৬.১ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে পেয়েছিলেন ২ উইকেট। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১০ ওভারে ৫২ রানে পেয়েছেন ১টি। উইকেট নেওয়ার আরও সুযোগ ছিল। ফিল্ডাররা ক্যাচ না ফেললে সাফল্যের খাতা আরেকটু ভারী হতো।

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে রান বেশি খরচ করলেও নিজের বোলিংয়ে বেশ সন্তুষ্ট মাশরাফি। যেভাবে বোলিং করতে চেয়েছিলেন সেভাবেই বোলিং করতে পারায় আত্মবিশ্বাস বেড়েছে ডানহাতি পেসারের। কেন সন্তুষ্ট সেই কারণ শুনুন মাশরাফির মুখ থেকে, ‘প্রথম ম্যাচ থেকে আজকের ম্যাচে বোলিং করে আমার ভালো অনুভব হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে একই জায়গায় বল করতে পেরেছি। আমরা খেলোয়াড়রা যেটা বলি, হিট স্পট। শেষ ম্যাচ থেকে এ ম্যাচে স্পটে বারবার হিট করতে পেরেছি। ম্যাচে সেটা ভালো হয়েছে। বল ভালো জায়গায় ফেলতে পারছি। এতেই ভালো অনুভব হচ্ছে।’

যেকোনো বোলিং স্পেলে ৮ ওভার বোলিং করা কষ্ট। এজন্য পেসারদের প্রয়োজন হয় হান্ড্রেডে হান্ড্রেড ফিটনেস।  মাশরাফি সেই চ্যালেঞ্জ জিতেছেন ভালোভাবেই। এবার সামনে এগিয়ে যাওয়ার পালা। প্রথম ওয়ানডের আগে টানা চার ম্যাচে তার কোনো উইকেট ছিল না। উইকেট খরা কাটিয়ে স্বরূপে ফেরা মাশরাফি সিরিজের শেষটাও ভালো করতে পারেন কিনা সেটাই দেখার।

 

সিলেট/ইয়াসিন/আমিনুল