খেলাধুলা

লালা ব্যবহার নিষিদ্ধ করবে আইসিসি

করোনাভাইরাসের জন্য থমকে যাওয়া ক্রিকেট আবার শুরু হলে বল উজ্জ্বল করার জন্য লালা ব্যবহার নিষিদ্ধ করবে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। 

আইসিসির ক্রিকেট কমিটি করোনাভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট ঝুঁকি হ্রাস করতে এবং খেলোয়াড় এবং ম্যাচের কর্মকর্তাদের সুরক্ষার জন্য আইসিসি বিধিবিধান পরিবর্তন করার সুপারিশ করেছে। সুপারিশগুলি জুনের প্রথম দিকে আইসিসির প্রধান নির্বাহী কমিটির কাছে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। সেখানে পাশ হলেই বলে লালা ব্যবহার নিষিদ্ধ হবে।  

টেস্ট ক্রিকেটে এক বলে ৮০ ওভার খেলা হয়। ব্যাট-বলের লড়াইয়ে ভারসাম্য রাখতে বোলাররা বলের এক পাশ চকচকে রাখেন। এজন্য লালার ব্যবহার করে থাকেন। ব্যবহার করা হয় ঘাম-ও। এ ঐতিহ্য বেশ পুরোনো। বল সাইন করা ছাড়া পেসারদের বল করার কথা চিন্তা করা কঠিন। কিন্তু করোনা পরবর্তী সময়ে বল মাঠে গড়ালে বোলার ও ফিল্ডারদের এমন দৃশ্যে নাও দেখা যেতে পারে।

তবে ক্রিকেট কমিটি সুখবরও দিয়েছে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী, ঘামের মাধ্যমে ভাইরাস সংক্রমণ হওয়ার খুব সম্ভাবনা নেই। এজন্য বলের পোলিশ করার জন্য ঘামের ব্যবহার নিষিদ্ধ না করার সুপারিশ করা হয়েছে। 

সোমবার ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার অনিল কুম্বলের সভাপতিত্বে আইসিসির কমিটি বৈঠকে বসেছিল। সেখানে বল মাঠে গড়ালে ক্রিকেটার, অফিসিয়ালদের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেছে।

বলের সাথে আম্পায়ারদের জন্য নতুন নির্দেশনা আনতে যাচ্ছে আইসিসি। ২০০২ সালের পর টেস্ট ম্যাচে স্বাগতিক দেশের দুইজন আম্পায়ার মাঠে ম্যাচ পরিচালনা করতে পারতেন না। কিন্তু করোনার পর খেলা শুরু হলে টেস্ট ম্যাচে স্বাগতিক দেশের দুইজন আম্পায়ার অনফিল্ডে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। মূলত আন্তর্জাতিক ভ্রমণের কথা চিন্তা করে ক্রিকেট কমিটি এ সুপারিশ করেছে। ১৯৯৪ সালে, আইসিসি প্রতি টেস্টে একটি নিরপেক্ষ আম্পায়ার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছিল, যা আট বছর পরে বাড়ানো হয়েছিল। এক্ষেত্রে ডিআরএস বাড়ানোর সুপারিশও এসেছে। 

অনিল কুম্বলে বলেছেন, ‘আমরা কঠিন সময়ের মধ্যে থেকে বেঁচে আছি এবং কমিটি যে সুপারিশ করেছে তা হল অন্তর্বর্তীকালিন ব্যবস্থা। যাতে নিরাপদে ক্রিকেটকে পুনরায় শুরু করতে সক্ষম হয়। এতে জড়িত সবার স্বাস্থ্য রক্ষা করার সাথে সাথে আমাদের খেলা চালিয়ে যেতে পারি।’ 

 

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল