খেলাধুলা

আরেকটু অপেক্ষা করে মাঠে ফিরতে চান মুশফিক

মধ্য দুপুরে চিতার গতিতে ট্রেডমিলে দৌড়াচ্ছেন মুশফিকুর রহিম। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ১ মিনিট ৩০ সেকেন্ডের এমন একটি ভিডিও আপলোড করেছেন মুশফিক। যেখানে ক্যাপশন হিসেবে লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ আজকের রানিং সেশন শেষ।’

চার দেয়ালে এই ট্রেডমিলই মুশফিকের সবচেয়ে কাছের। নিজের ফিটনেস ঠিক রাখতে সপ্তাহে চারদিন এক ঘন্টা করে দৌড়ে যাচ্ছেন মুশফিক। সাথে অন্যান্য ফিটনেস ট্রেনিং তো আছেই। বেড রুম, ড্রয়িং রুম, চেয়ার, সোফা, পানির বোতলও ফিটনেস ট্রেনিংয়ে ব্যবহার করছেন জাতীয় দলের অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার। দুই মাসের বেশি সময় ধরে এভাবেই দিন যাচ্ছে মুশফিকের।

কিন্তু এভাবে আর থাকতে চান না। এই জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা মুশফিকের, ‘প্রতিদিন দোয়া করছি যেন করোনা থেকে সবাই মুক্তি পায়। আমরা প্রত্যেকে সাধারণ জীবনে ফিরতে চাই।’

তবে সহসাই ক্রিকেটারদের মাঠে ফেরা হচ্ছে না। সরকার সাধারণ ছুটি না বাড়ালেও ১৫ জুন পর্যন্ত জনসাধারণের চলাচল সীমিত রেখেছে। ক্রিকেট বোর্ড কোনোভাবেই ক্রিকেটারদের এখন মাঠে ফেরাবে না। সরকারের মতো ক্রিকেট বোর্ডও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে, সরকারের নির্দেশনা পেলেই মাঠে ফিরতে পারবেন মুশফিকরা। সচেতন মুশফিকও চান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর মাঠে ফিরতে, ‘আমাদের আরও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে। ১০-১৫ দিন অপেক্ষা করে মাঠে নামলে ভালো।  হ্যাঁ পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে মাঠের থেকে, অনুশীলন থেকে দূরে থাকা কঠিন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি আমাদেরকে বাধ্য করছে।’

জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে অনুশীলনে সবচেয়ে বেশি সময় দেন মুশফিক। প্রায় তিন মাস ব্যাট-বল নিয়ে কাজ করতে না পারার আক্ষেপ ঝরল মুশফিকের কন্ঠে, ‘কেমন যেন লাগছে! এটা আসলে বোঝাতে পারব না। ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ড এমনভাবে বন্ধ যে কোনো কিছুই করতে পারছি না। ফিটনেস লেভেল এখন দারুণ। প্রতিদিনই কাজ করছি। তবুও ব্যাট-বল নিয়ে কাজ করার একটা ব্যাপার থাকে...।’

ক্রিকেটারদের কিভাবে মাঠে ফেরানো যায় সেই পরিকল্পনা করছে বিসিবি। মুশফিক নিজ থেকে কাঁটছেন ছক। জানালেন, ছোট গ্রুপ করে মাঠে ফেরালে সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি কম থাকবে।

‘আমরা ৬-৭ জন করে যদি মাঠে ফিরি এবং আইসিসির গাইডলাইন অনুসরণ করি তাহলে আমাদের ঝুঁকি কম থাকবে। আবার গ্রুপ করেও হতে পারে। যেমন এই তিন ঘন্টা একটা গ্রুপ। পরের তিন ঘন্টা ব্রেক। এরপর আরেকটি গ্রুপ। প্রত্যেক গ্রুপে ৬-৭ মেম্বার করে যদি মাঠে ফিরতে পারি তাহলে ভালো হবে। যেটাই করি আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’- বলেছেন মুশফিক।

সবুজ ঘাস আর ২২ গজে ফিরতে হাঁসফাঁস করছেন মুশফিক। এজন্য তাকে অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুটা দিন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর মুশফিক অনুশীলন করুক ঘণ্টার পর ঘণ্টা। ঢাকা/ইয়াসিন