খেলাধুলা

মাঠে ফিরতে মরিয়া তবে সুযোগ দেখছেন না মাহমুদউল্লাহ

‘কবে মাঠে ফিরতে চান?’ প্রশ্ন শেষ করার আগেই মাহমুদউল্লাহর উত্তর,‘এখন বললে তো এখন-ই।’ তবে জাতীয় দলের টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের ইচ্ছে আপাতত পূরণ হচ্ছে না।

সরকার সাধারণ ছুটি না বাড়ালেও ১৫ জুন পর্যন্ত জনসাধারণের চলাচল সীমিত রেখেছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কোনোভাবেই ক্রিকেটারদের এখন মাঠে ফেরাবে না। সরকারের মতো ক্রিকেট বোর্ডও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে, সরকারের নির্দেশনা পেলেই মাঠে ফিরতে পারবেন মাহমুদউল্লাহরা। করোনার সংক্রমণের সূচক উর্ধ্বমুখী। এ সূচক নিম্নমুখী হলেই কেবল মাঠে ফেরার চিন্তা করতে পারবেন সংশ্লিষ্টরা।

সচেতন মাহমুদউল্লাহও চান অপেক্ষা করতে,‘লক ডাউন খানিকটা শিথিল করলেও পরিস্থিতি তো নিয়ন্ত্রণে নেই! এ অবস্থায় মাঠে ফেরা ঝুঁকি থাকবে। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের অপেক্ষা করা ছাড়া কোনও কিছু করার নেই।’  

ব্যাট-বল নিয়েই যাদের বসবাস তারা এখন ক্রিকেট থেকে অনেক দূরে। ২২ গজ ও সবুজ ঘাস যাদের প্রিয় জায়গা তারা এখন চার দেওয়ালে বন্দী। এ সময়টা ব্যাখ্যা করার কোনও ভাষা পেলেন না মাহমুদউল্লাহ,‘কি বলবো বলেন, আমাদের কাজটা আমরা করতে পারছি না। যারা চাকরি করে তারা ঘরের ভেতরে থেকে কাজ করছে। কেউ কেউ প্রয়োজনে বাইরে যাচ্ছে। আমাদের কাজ-ই তো ক্রিকেট। মাঠে খেলা ছাড়া অন্য কোথাও সম্ভব না। অথচ আমরা মাঠেই যেতে পারছি না।’

ফিটনেস তাদের কাজের অংশ। ওই একটা কাজই এখন মন দিয়ে করে যাচ্ছেন। শেষ কয়েক বছরে মাহমুদউল্লাহ নিজেকে ‘আয়রন ম্যান’ বানিয়েছেন। নিজের ফিটনেসকে যে পর্যায়ে নিয়ে গেছেন তা কল্পনাতীত। লক ডাউনে খাওয়া-দাওয়া খানিকটা বাড়লেও ফিটনেসে কোনও ছাড় দিচ্ছেন না বাংলাদেশের সাইলেন্ট কিলার।

‘এখন এই একটাই কাজ ফিটনেস। সীমাবদ্ধতার ভেতরে যতটুকু পারছি কাজ চালিয়ে নিচ্ছি। শেষ কয়েক বছরে আমার ফিটনেস দারুণ উন্নতি হয়েছে এটা ঠিক। এটা আমার ক্রিকেটেও প্রভাব ফেলেছে। এজন্য সেটাকে কিভাবে আরও একধাপ এগিয়ে নেওয়া যায় সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি।’ -বলছিলেন মাহমুদউল্লাহ।

শেষে তার ওই একটাই কথা,‘কিছু কিছু ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ড ফেরানোর চিন্তা হয়তো বিসিবি করছেও। স্বাস্থ্যকর পরিবেশের নিশ্চয়তা পেলেই বিসিবি আমাদের মাঠে ফেরাবে। এখন সেই সুযোগ নেই। এজন্য আমাদের সচেতনতা জরুরী। নিজেদের নিরাপত্তা দিতে পারলেই আমরা আমাদের পরিবার, প্রতিবেশীদের ভালো রাখতে পারব।’ ঢাকা/ইয়াসিন