খেলাধুলা

‘ওয়াইনের প্রতি দুর্বলতা, আমাকে মেসি-রোনালদোর কাতারে নেয়নি’

২০১০ ফুটবল বিশ্বকাপে স্পেনের কাছে ১১৬ মিনিটের মাথায় গোল হজম করে রানার্স আপ হয় নেদারল্যান্ডস। সে বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের এমন অসাধারণ পারফরম্যান্সের প্রধান নায়ক ছিলেন দলের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ওয়েসলি স্নাইডার। করেছিলেন আসরের সর্বোচ্চ ৫ গোল। এর আগের বছর ইন্টার মিলানের হয়ে ট্রেবল জিতেছিলেন। ২০১২ সালে দলকে জিতিয়েছিলেন ইউরো।

ফলে ফিফা এবং উয়েফার চোখে সে সময়ের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডারের খেতাবও জিতেছেন। স্নাইডারের কোচ হোসে মরিনহো মনে করেন ব্যালন ডি অর জেতাও উচিত ছিল এই ডাচ ফুটবলারের। স্নাইডারও কি নিজেকে এত উঁচুমানের ফুটবলার ভাবেন? ৩৫ বছর বয়সী এই ডাচের উত্তর, হ্যাঁ। তিনি মনে করেন বর্তমান সময়ের সেরা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো বা লিওনেল মেসির সমকক্ষে থাকতেন তিনি। কিন্তু পরিসংখ্যান কথা বলে না এই ফুটবলারের হয়ে। তার কারণ হিসেবে স্নাইডার মনে করেন, গ্লাসভর্তি ওয়াইন ছাড়ার মতো মানসিকতা তিনি অর্জন করতে পারেননি বলে হতে পারেননি মেসি বা রোনালদোর মতো। তবে নিজের বর্তমান জীবন নিয়েও অখুশি নন এই ডাচ ফুটবলার। উপভোগের মন্ত্রে বাঁচতে চান স্নাইডার।

আয়াক্সের যুব দল দিয়ে শুরু। এরপর সময়ের সাথে রিয়াল মাদ্রিদ, ইন্টার মিলানে খেলেছেন। ক্লাব ক্যারিয়ারে করেছেন ১১৭ গোল। জাতীয় দলের জার্সিতে আছে ৩১ গোল। মরিনহো তাঁর এই শিষ্যকে নিয়ে বলেছেন, ‘স্নাইডার অবিশ্বাস্য ফুটবলার। সে ইন্টার মিলানকে যেমন ট্রেবল জিতিয়েছে একইভাবে বিশ্বকাপের ফাইনালে তুলেছে দলকে। তাঁর ব্যালন ডি অর জেতা উচিত ছিল।’

এত প্রতিভাবান হয়েও কেন আরও উঁচুতে থাকতে পারলেন না স্নাইডার? এর উত্তরে এই ডাচ ফুটবলার বলেন, ‘আমি মেসি বা রোনালদোর মতো হতে পারতাম। তবে আমাকে এমন হতে হবে, এই অনুভূতিটাই আমার আসেনি কখনো।’

আরও যোগ করেন, ‘আমি আমার লাইফ উপভোগ করে গেছি। হতে পারে রাতের খাওয়ার সময় এক গ্লাস ওয়াইন আমি মিস করতে চাইনি কখনো।’

মেসি, রোনালদো অনেক ত্যাগ স্বীকার করে সময়ের সেরা ফুটবলার হতে পেরেছেন। স্নাইডার ত্যাগ স্বীকার করেননি বলেই হননি। তবে তাতে কোনো আক্ষেপ নেই তাঁর। স্নাইডারের ভাষ্যে, ‘মেসি আর রোনালদো সবার থেকে অনেক আলাদা। তাঁরা এই অবস্থানে পৌঁছানোর জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে। তবে আমি আমার অবস্থানে খুশি। এতকিছুর পরেও আমার ক্যারিয়ার এখনও দুর্দান্ত।’ ঢাকা/কামরুল