খেলাধুলা

যেসব নিয়ম পরিবর্তন হয়ে ফিরছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

করোনার প্রকোপ থেকে মুক্তি পাওয়ার পর প্রথমবারের মতো মাঠে নামতে যাচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ড। দুই দল বুধবার সাউদাম্পটনের এজেস বোল স্টেডিয়ামে মাঠে নামবে। বাংলাদেশ সময় ৪টায় শুরু হবে দুই দলের মহারণ।

বেশ কিছু নিয়ম পরিবর্তন করে আজ মাঠে ফিরছে ক্রিকেট। এক নজরে সেসব নিয়মে চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক,

করোনা টেস্ট ও করোনা সাবস্টিটিউট

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল‌্যান্ডের ক্রিকেটারদের এরই মধ‌্যে করোনা টেস্ট করানো হয়েছে। স্কোয়াডে থাকা সকলেরই করোনা টেস্ট নেগেটিভ এসেছে। তবে ঝুঁকি এড়ানোর জন‌্য টেস্ট চলাকালীন প্রতিদিন সকলের করোনা টেস্ট করা হবে। যদি ম‌্যাচ চলাকালীন কোনও ক্রিকেটারের করোনা টেস্ট পজিটিভ আসে তাহলে করোনা সাবস্টিটিউট ব‌্যবহার করা যাবে। কনকাশন সাবের মতো আইসিসি নতুন করে করোনা সাবস্টিটিউট নিয়ম চালু করেছে।

৮৬১৭৪ টু জিরো

শেষবার দর্শকসহ ক্রিকেট যখন মাঠে গড়িয়েছিল, স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন ৮৬১৭৪ জন। মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের রেকর্ড দর্শক উপস্থিত হয়েছিল মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। এরপর ১৩ মার্চ অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল‌্যান্ড খেলেছিল দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে। আজও স্টেডিয়ামে কোনো দর্শক ঢুকতে পারবেন না। রুদ্ধদ্বার স্টেডিয়ামে খেলবে দুই দল।

নো টু সেভিয়া

বলের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে থুতু কিংবা লালা ব‌্যবহার করতে পারবেন না বোলাররা। শুধুমাত্র ঘাম ব‌্যবহার করতে পারবেন। যদি কেউ ভুল করে থুতু বা লালা ব‌্যবহার করে, আম্পায়াররা দুইবার সতর্ক করবে। এরপর একই ভুল করলে পাঁচ রান পেনাল্টি।

উদযাপনে সীমাবদ্ধতা

সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে করতে হবে সেলিব্রেশন। হাত হাত মেলানো যাবে না। জড়িয়ে ধরার সুযোগই নেই কোনো। যদি উদযাপন করতেই হয় তাহলে কনুইয়ে কনুই মেলাতে হবে।

স্থানীয় আম্পায়ার

সীমান্ত অতিক্রমের ঝুঁকি এড়াতে স্বাগতিক দেশের দুই আম্পায়ার ম্যাচ পরিচালনা করবেন। ২০০২ সালের পর টেস্ট ম্যাচে স্বাগতিক দেশের দুইজন আম্পায়ার মাঠে ম্যাচ পরিচালনা করতে পারেননি। করোনার কারণে এবার ম‌্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব পড়েছে স্থানীয় আম্পায়ারদের ওপর। ১৯৯৪ সালে আইসিসি প্রতি টেস্টে একজন নিরপেক্ষ আম্পায়ার নিয়োগ বাধ্যতামূলক করেছিল, যা আট বছর পরে বাড়ানো হয়েছিল।

নিরাপদে থাকবেন আম্পায়াররা

মাঠে সচেতন থাকবেন আম্পায়াররাও। এজন্য বোলারদের ক্যাপ এবং সোয়েটার নিতে অস্বীকার করতে পারবেন আম্পায়াররা। নিজেদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে বোলারদের ব্যবহৃত ক্যাপ ও সোয়েটার গ্রহণ করবেন না আম্পায়ররা। পাশাপাশি রৌদ্র চশমাও নেবেন না আম্পায়াররা।

 

ঢাকা/ইয়াসিন