খেলাধুলা

দল থেকে বাদ পড়ে হতাশা ঝরলো ব্রডের কণ্ঠে

সর্বশেষ ২০১২ সালে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট থেকে বাদ পড়েছিলেন ইংল্যান্ডের অভিজ্ঞ বোলার স্টুয়ার্ট ব্রড। এরপর থেকে টানা আট বছর ঘরের মাঠে দলের খেলা ৫১ টেস্টেই ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করে গেছেন ইংল্যান্ডের হয়ে। সর্বশেষ সিরিজেও ছিলেন দলের সফলতম বোলার। অথচ টেস্ট ইতিহাসে ইংল্যান্ডের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি এই বোলারকে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে রাখা হয়েছে দলের বাইরে। আর এতে দারুণ হতাশ ৩৪ বছর বয়সী ব্রড। কোনো রাখঢাক না রেখেই নিজের হতাশা ও ক্ষোভ ঝাড়লেন তিনি।

ম্যাচের প্রথম দিন টসের সময় ইংলিশ অধিনায়ক বেন স্টোকস জানিয়েছিলেন, দলে না থাকা স্বাভাবিকভাবে নিয়েছেন ব্রড। তবে শুক্রবার তৃতীয় দিনের খেলা শুরুর আগে স্কাই স্পোর্টসকে ব্রড জানালেন তিনি খুবই হতাশ, ক্ষুব্ধ এবং বিধ্বস্ত হয়ে আছেন। ৩৪ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের ভাষ্যেম ‘এমনিতে আমি খুব আবেগী নই, তবে গত দুদিন আমার জন্য ছিল খুব কঠিন। স্রেফ হতাশ বললে আসলে কমই বলা হবে; ফোন ফেলে দিয়ে স্ক্রিন ভেঙে ফেললে হয়তো লোকে হতাশ থাকে। আমি হতাশ, ক্ষুব্ধ এবং বিধ্বস্ত।’

কেন এই হতাশা সেটি নিয়ে ব্রড আরও যোগ করেন, ‘গত দুই বছর ধরে আমি সম্ভবত আমার সেরা বোলিং করেছি। মনে হয়েছে, এই জায়গা আমারই। অ্যাশেজের দলে ছিলাম, দক্ষিণ আফ্রিকা গিয়ে সেখানে জিতলাম। কিন্তু এখন। আসলে এটি বোঝা কঠিন।’ ব্রডের পরিসংখ্যান তাঁর হয়েই কথা বলছে। সর্বশেষ প্রোটিয়াদের বিপক্ষে নিয়েছিলেন ১৪ উইকেট। অ্যাশেজেও ইংল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৩ উইকেট ছিল তাঁর ঝুলিতে।

বাদ পড়া স্বাভাবিক হিসেবে না নিতে পারায় দলের প্রধান নির্বাচক এড স্মিথের কাছে নিজের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন জানিয়ে ব্রড আরও যোগ করেন, ‘আমার এড স্মিথের সঙ্গে কথা হয়েছে। ১৩ জনের দল বেছে নেওয়ার সঙ্গে তিনি সম্পৃক্ত ছিলেন। আমি তাঁর কাছে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে স্পষ্ট ধারণা চেয়েছি। আমাকে বেশ ইতিবাচক কথাই বলা হয়েছে।’

নিজের জায়গায় যারা খেলছেন তাদের প্রতিভা এবং সামর্থ্য নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই ব্রডের। তবে একাদশে নিজেকে না দেখে হতাশ এই ক্রিকেটার। তবে ইংল্যান্ডের ভবিষ্যতের জন্য পেসারদের মধ্যে এমন সুস্থ লড়াই ইতিবাচক বলে মানছেন অ্যান্ডারসনের এই বোলিং জুটি।

তাঁর ভাষ্যে, ‘মাঠে যারা নেমেছে, তাদের নিয়ে প্রশ্ন নেই। সবাই খেলার জন্য যোগ্য। এমনকি যারা বাইরে আছেন তারাও একাদশে জায়গা পাওয়ার মতো। তবে আমি নিজেকে একাদশে না দেখে হতাশ। তবে ফাস্ট বোলিংয়ের এই গভীরতা ও শক্তি দেখতে পারাটা দারুণ। প্রতিদ্বন্দ্বিতা যত তীব্র, খেলার মানও তত ভালো হবে।’ ঢাকা/কামরুল