খেলাধুলা

শ্রীলঙ্কা সফরে আশাবাদী বিসিবি, শিগগিরই মাঠে ফিরবেন ক্রিকেটাররা

অক্টোবরে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বাংলাদেশকে তিন টেস্টের জন্য আমন্ত্রণ জানাতে পারে। দুই বোর্ডের মধ্যে কথা চলছে। ঈদের পরপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসার কথা। তবে এখনও আলোচনার টেবিলে দুই দলের সিরিজ।

তবে বিসিবি শ্রীলঙ্কা সফরে আশাবাদী। বিসিবির পরিচালক ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বুধবার বলেন, ‘আমরা কয়েকটি দেশের সঙ্গে যোগযোগ করেছি খেলার জন্য। যেসব দেশে খেলা নিরাপদ সেখানে আমরা খেলতে যেতে চাচ্ছি। করোনার প্রকোপ কম কিংবা নেই বললেই চলে সেসব দেশে আমরা খেলতে যেতে পারি কি না সেসব নিয়ে আলোচনা চলছে। আমাদের প্রধান নির্বাহী (নিজামউদ্দীন চৌধুরী) জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কা সফর নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। আমরাও শ্রীলঙ্কা সফর নিয়ে আশাবাদী।’

এজন্য শিগগিরই ক্রিকেটারদের মাঠে ফেরানোর কথা জানালেন বিসিবির শীর্ষ এ পরিচালক,‘ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরানোর চিন্তা অনেক দিন ধরেই আমাদের মাথায় আছে। আমরা অনেক দিন ধরেই পরিকল্পনা করছি কিভাবে এটা করা হয়। এরই মধ্যে ব্যক্তিগত অনুশীলনের অনুমতি দিয়েছি কড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে। সামাজিক দূরত্ব মেনে অনুশীলনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। একটি পর্ব হয়েছে। সামনেও হবে। এছাড়া জাতীয় দলের স্কোয়াডে যারা আছে তাদেরও আস্তে আস্তে যুক্ত করা হবে। খুব শিগগিরই হয়তো তারা মাঠে নামবে। সব কিছুর আগে তাদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করতে হবে। তাদের নিরাপত্তা কথা মাথায় রেখে শুরু করতে হবে।’

নিউজিল্যান্ড সফর এ বছর হচ্ছে না তা ধারণা দিয়ে রাখলেন জালাল ইউনুস, ‘বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে নিউজিল্যান্ডে একটা টি-টোয়েন্টি সিরিজ (তিন টি-টোয়েন্টি) খেলার কথা ছিল। এ বছরই যদি কোনো সুযোগ পাই, নয়তো পরে বা আগে যদি সুযোগ আসে তাহলে আমরা খেলতে যাবো।’

জালাল ইউনুস ঢাকা আবাহনীতে খেলেছেন দীর্ঘদিন। খুব জোরে পেস বোলিং করতেন। খেলা ছাড়ার পর সংগঠক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। বিসিবির পরিচালক হয়েছেন এবং দীর্ঘ সময় ধরে মিডিয়া কমিটির দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। সংগঠক হওয়ার সুবাদে ক্রিকেট মাঠে নিয়মিত আসতেই হয়। মাঠের সঙ্গে তারও আত্মিক সম্পর্ক। অথচ করোনায় মাঠ থেকে অনেক দূরে তিনি। ক্রিকেটারদের মতো জালাল ইউনুসের কন্ঠেও ঝরল মাঠ থেকে দূরে থাকার আর্তনাদ।

‘ক্রিকেট মাঠ অনেক অনুভব করি। আমরাও খেলার মাঠে ছিলাম এক সময়। সংগঠক হলেও আমাদের যোগসূত্র কিন্তু খেলার মাঠের সাথেই। কয়েকদিন আগে স্টেডিয়াম নিয়ে একটা মিটিং ছিল। সেদিন এসেছিলাম চার মাস পর। সবুজ মাঠ দেখে খুব ভালোই লাগছিল। মাঠের ভেতরে না ঢোকা পযর্ন্ত শান্তি আসছিল না। মাঠ মানেই খেলা। খেলা মানেই সংগঠক। সবাইকে মিলিয়ে স্পোর্টস। ক্রিকেটীয় কর্মকান্ড বন্ধ আছে। কিছু করার নেই। সামনে যদি পরিস্থিতি ভালো হয় অবশ্যই আমরা মাঠে ফিরে আসবো।’