খেলাধুলা

জাতীয় দলের ২৫ ফুটবলারের ১১ জনই করোনায় আক্রান্ত

বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপ বাছাইপর্বের অনুশীলন শুরুর আগে বেশ বাজে অবস্থায় জাতীয় ফুটবল দলের ক্যাম্প। প্রথমদিন চারজন ফুটবলারের করোনা ধরার পড় দ্বিতীয় দিনের টেস্ট শেষে আরও ৭ জনের করোনা পজিটিভের রিপোর্ট এসেছে। দ্বিতীয় দফায় করোনা টেস্ট করেছিলেন ১২ জন ফুটবলার।

ফলে এখন পর্যন্ত ২৫ জন ফুটবলারের মধ্যে মোট ১১ জন ফুটবলারের করোনাভাইরাস নিশ্চিত হয়েছে। আর এমন খবর নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।

নতুন করোনায় আক্রান্ত হওয়া ফুটবলারদের মধ্যে আবাহনী লিমিটেডের ৩ জন ও বসুন্ধরা কিংসের ২ জন খেলোয়াড় রয়েছেন। নতুন করে করোনায় আক্রান্ত ফুটবলাররা হলেন আবাহনীর সোহেল রানা, টুটুল হোসেন বাদশা, গোলরক্ষক শহীদুল আলম সোহেল এবং বসুন্ধরা কিংসের মোহাম্মদ ইব্রাহিম ও শুশান্ত ত্রিপুরা। এছাড়াও গোলরক্ষক আনিসুর রহমান এবং রবিউল হোসেন।

এর আগে সর্বপ্রথম জাতীয় দলের ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষের করোনা ধরা পড়েছিল। পরে প্রথম দিন ক্যাম্পে আসা ১২ ফুটবলারের মধ্যে পুলিশ এফসির এমএস বাবলু ও নাজমুল ইসলাম রাসেল এবং উত্তরা বারিধারার সুমন রেজার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছিল। সব পরীক্ষা করা হয়েছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে।

করোনা পজিটিভ হওয়া এই সাত ফুটবলারের সকলে ব্যক্তিগত উদ্যেগে করা করোনা পজিটিভে নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে ক্যাম্পে এসেছে। এখানে এসে পজিটিভ ফল দেখায় তারা নিজেরাই বিভ্রান্ত জানিয়ে দলের ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রুপু বলেন, 'ওরা সবাই আসলে বিভ্রান্ত হয়ে আছে। নিজেদের উদ্যোগে করা করোনা টেস্টে তাদের সবার ফল কিন্তু নেগেটিভ এসেছে। কিন্তু এখানে পজিটিভ আসলো।'

আপাতত যাদের করোনা পজিটিভ তাদের নিয়ে গাজীপুরের সারাহ রিসোর্টে আবাসিক ক্যাম্প করেছে দল। যেখানে সহকারী কোচ থাকলেও নেই প্রধান কোচ জেমি ডে।এছাড়াও স্কোয়াডে থাকা অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া, তারিক জামালসহ বসুন্ধরা কিংসের আতিকুর রহমান ফাহাদ, মতিন মিয়া ও মাসুক মিয়া জনি আপাতত যোগ দিচ্ছেন না ক্যাম্পে।