খেলাধুলা

‘খেললে পাকিস্তানে খেলব, না হয় খেলবই না’

২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের বাসে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত আক্রমণ। যার ফলস্বরূপ, টানা ছয় বছর ঘরের মাঠে ক্রিকেট থেকে নির্বাসনে থাকতে হয়েছে পাকিস্তানকে। কোনো দেশকে নিজেদের দেশে এনে সিরিজ আয়োজন করতে পারেনি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।

অবশেষে ২০১৫ সালে জিম্বাবুয়ের হাত ধরে ক্রিকেট ফিরেছে পাকিস্তানে। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ, বিশ্ব একাদশ এবং পিএসএল ফিরেছে গোটা পাকিস্তান জুড়ে। অতিথি দেশের সব ক্রিকেটারদের রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে পিসিবি। ফলে শেষ ১২ মাসে শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশ টেস্ট ম্যাচও খেলে এসেছে প্রতিবেশি দেশটিতে গিয়ে। সফলতার সাথে সেসব আয়োজন করতে পেরেছিল পিসিবি। এই জন্য এখন থেকে তাই হোম সিরিজ পাকিস্তানের বাইরে আয়োজন করতে রাজি নয় পিসিবি।

আইসিসির ভবিষ্যৎ সূচি অনুযায়ী ২০২২ সালে পাকিস্তানের মাটিতে সফর করার কথা ইংল্যান্ডের। তবে দলটি ২০০৫ সালের পর থেকে নিরাপত্তা অযুহাতে পাকিস্তান সফর করেনি। এবারও যাবে কিনা তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। তবে পিসিবির চেয়ারম্যান এহসান মানি জানিয়েছেন, ইংল্যান্ড খেলতে হলে পাকিস্তানে গিয়ে খেলতে হবে। অন্য কোনো নিরপেক্ষ ভেন্যুতে হোম সিরিজ খেলতে আর রাজি নয় পিসিবি।

তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় না, ইংল্যান্ডের এখানে না আসার কোনো কারণ আছে। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, এবার আমরা তৃতীয় কোনো দেশে খেলব না। হয় পাকিস্তানে খেলব, না হয় খেলবই না।’

এহসান মানি আরও জানিয়েছেন, পাকিস্তান বর্তমানে অনেক নিরাপদ। তার ভাষ্যে, ‘পাকিস্তান এখন অনেক নিরাপদ। এর মধ্যে যে দলগুলো এখানে খেলে গেছে, আমরা তাদের জন্য খুবই কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি, ঠিক যেমন রাষ্ট্রপ্রধানের জন্য থাকে। এমসিসি দল আসার পর তারা বাইরে গিয়ে গলফ খেলতেও চেয়েছিল। তারা বাইরে ঘুরতে ও রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিল।’

এদিকে ইংল্যান্ড পাকিস্তানে আসবে আরও দুই বছর পর। ততদিনে পাকিস্তান অনেক বেশি চলাচলের উপযুক্ত হবে জানিয়ে তিনি আরও যোগ করেন, ‘ইংল্যান্ড আসার আগে আমাদের হাতে দুই বছর আছে। আশা করি, ততদিনে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে এবং চলাফেরায় আরও স্বাধীনতা থাকবে।’

এদিকে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সফর নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন দলটির কোচ ক্রিস সিলভারউড।