খেলাধুলা

সীমিত আকারে সব খেলাধুলা চালুর সিদ্ধান্ত

করোনা প্রাদুর্ভাবে মধ্য মার্চ থেকে বন্ধ হয়ে আছে দেশের ক্রীড়াঙ্গন। দীর্ঘ পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর অবশেষে সুসংবাদ পেলো ক্রীড়ানুরাগীরা। দেশের সকল পর্যায়ে খেলাধুলা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সীমিত আকারে চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।

সোমবার (১০ আগস্ট) যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি বলেছেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে খেলাধুলা আয়োজন ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু করা যাবে।’ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আজকের এক জরুরি সভা শেষে বলেন, ‘বিশ্বের অনেক দেশে করোনা সংক্রমণ কমে যাওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে খেলাধুলা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আমাদের দেশেও করোনা সংক্রমণের হার নিম্নমুখী। আর তাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে খেলাধুলা চালু করার জন্য আমরা অনুমতি চাই। তারা ১০টি শর্তে সীমিত আকারে খেলাধুলা চালু করতে মত দিয়েছে।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া শর্তানুযায়ী খেলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবশ্যই করোনা টেস্ট করাতেই হবে। এছাড়াও খেলার মাঠ এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে করোনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম রাখতে হবে। সীমিত আকারে খেলাধুলার পাশাপাশি দর্শক সমাগমও সীমিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ধীরে ধীরে পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকে। এ অবস্থায় গত ১৬ মার্চ দেশে সব ধরনের খেলাধুলা স্থগিত করার নির্দেশ দেয় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। প্রথমে ৩১ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করা হলেও পরে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় অনির্দিষ্ট কালের জন্য বিভিন্ন ক্রীড়া ইভেন্ট ও অনুশীলন কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়।