খেলাধুলা

ইতিহাস গড়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে পিএসজি

কোয়ার্টার ফাইনালের গেরো কাটিয়ে ২৫ বছরে প্রথম সেমিফাইনাল খেলতে নেমেছিল প্যারিস সেন্ত জার্মেই (পিএসজি)। তাদের প্রতিপক্ষ ছিল অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদকে বধ করা আরবি লাইপজিগ। অবশ্য আরেকটি রূপকথা তৈরি করতে পারেনি জার্মান ক্লাবটি। অনভিজ্ঞ লাইপজিগকে ৩-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবার চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে পিএসজি।

এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগে চমকের অভাব নেই। ১৫ বছর পর টুর্নামেন্টের ইতিহাসে প্রথমবার সেমিফাইনালে নেই লিওনেল মেসি ও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। তবে সময়ের আরেক সেরা খেলোয়াড় নেইমার এবার স্বপ্ন দেখছেন ক্যারিয়ারের প্রথম ইউরোপিয়ান ট্রফি জেতার। সেই লক্ষ্যে আর এক ধাপ পাড়ি দিতে হবে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডকে। আগামী রোববারের ফাইনালে তার দল পিএসজির প্রতিপক্ষ বায়ার্ন মিউনিখ কিংবা লিওঁ, বুধবার হবে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল।

লিসবনে গোটা ম্যাচে দাপট দেখিয়েছে পিএসজি। প্রথমবার দুই দল কোনও প্রতিযোগিতায় মুখোমুখি হয়েছিল। অচেনা প্রতিপক্ষের এই লড়াইয়ে মোটেও পাত্তা পায়নি লাইপজিগ। ষষ্ঠ মিনিটে দুর্দান্ত সুযোগ নষ্ট হয় নেইমারের। কিলিয়ান এমবাপ্পের পাস থেকে শুধু লাইপজিগ গোলরক্ষক পিটার গুলাকসিকে পেয়েও ব্য্থ হন তিনি। তার শট দূরের পোস্টে আঘাত করে।

পরের মিনিটে জার্মান ক্লাবের জালে বল ঢুকেছিল। কিন্তু নেইমারের হ্যান্ডবলের কারণে গোলদাতার খাতায় নাম লিখতে পারেননি এমবাপ্পে, রেফারি গোল বাতিল করে দেন। তবে স্বস্তির গোলের দেখা পিএসজি পায় ১৩ মিনিটে। আনহেল দি মারিয়ার ফ্রি কিক থেকে মারকুইনহোসের দুর্দান্ত হেডে ১-০ হয় স্কোর।

৩৬ মিনিটে আবারও নেইমার সুযোগ নষ্ট করেন বল পোস্টে আঘাত করলে। বিরতিতে যাওয়ার আগেই পিএসজি ব্যবধান দ্বিগুণ করে। লাইপজিগের গোলকিপার বল ক্লিয়ার করলে নেইমার তা দখল করেন এবং বল বাড়িয়ে দেন দি মারিয়ার দিকে। আর্জেন্টাইন প্লেমেকার চ্যাম্পিয়নস লিগের মঞ্চে তার ২১তম গোল করতে ভুল করেননি।

বিরতি থেকে ফিরে প্রথম দশ মিনিট পিএসজির বক্সে কিছুটা আক্রমণাত্মক খেলার চেষ্টা করেছিল লাইপজিগ। কিন্তু তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর শেষ আশাকে জলাঞ্জলি দিতে হয় ৫৬ মিনিটে। দি মারিয়ার ক্রস থেকে হুয়ান বার্নাটের হেড গুলাকসির হাতে লেগে জাল খুঁজে নেয়।

৭০ ও ৭২ মিনিটে এমবাপ্পের দুটি শট ব্যর্থ হলে আর ব্যবধান বাড়াতে পারেনি পিএসজি। তাতে করে ১৯৯৭ সালের উয়েফা কাপ উইনার্স কাপের পর প্রথমবার ইউরোপিয়ান কোনও প্রতিযোগিতার ফাইনালে জায়গা করে নিলো ফরাসি ক্লাবটি। ২৩ বছর আগের ওই ম্যাচে বার্সার কাছে ১-০ গোলে হেরেছিল তারা।