খেলাধুলা

শ্রীলঙ্কায় তিন সপ্তাহের প্রস্তুতি যথেষ্ট: ম্যাকমিলান

বাংলাদেশের নতুন ব্যাটিং পরামর্শক ক্রেইগ ম্যাকমিলান টাইগারদের দায়িত্ব পেয়ে বেশ উৎফুল্ল। শিষ্যদের নিয়ে কাজ করতে মুখিয়ে থাকা এ ব্যাটিং পরামর্শক জানালেন, ছেলেদের সঙ্গে শুরুতে সম্পর্ক স্থাপন ও তাদের মনোভাব বুঝতে পারাই হবে প্রাথমিক চ্যালেঞ্জ। তার মতে, বিশ্বাস অর্জন হলে বাংলাদেশে কাজ করা খুব সহজ হবে। আপাতত তাকে শ্রীলঙ্কা সিরিজের জন্য নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি। পরবর্তীতে দীর্ঘ সময়ের জন্য নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। 

২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত নিউ জিল্যান্ডের ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন ম্যাকমিলান। পাঁচ বছর দেশের ক্রিকেটারদের সঙ্গে ছিলেন অভিজ্ঞ এ কোচ। ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে ম্যাকমিলান বলেন, ‘আমি প্রথমেই খেলোয়াড়দের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে চাই। আমি কয়েকজনকে চিনি যারা নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করেছিল। তবে ভালো করে কারো সঙ্গে পরিচয় নেই। আমি হুট করে এসে তাদের টেকনিকে কোনো পরিবর্তন আনবো না নিশ্চয়ই। তাদের ম্যাচ পরিকল্পনায় সামান্য কিছু যোগ করবো। সেগুলো সাফল্য পেতে বড় ভূমিকা রাখবে বলেই বিশ্বাস করি।’

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তিন টেস্ট খেলতে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে শ্রীলঙ্কা সফর করবে বাংলাদেশ। ২৩ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কার বিমানে উঠবে বাংলাদেশ। একমাস পর সেখানেই হবে প্রথম টেস্ট। শ্রীলঙ্কা টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে তিন সপ্তাহের ট্রেনিংয়ের সুযোগ পাবে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কায় দলের সঙ্গে যোগ দেবেন ম্যাকমিলান।

তিন সপ্তাহের সময়কে প্রস্তুতির জন্য পর্যাপ্ত মনে করছেন সাবেক কিউই ক্রিকেটার। তার ভাষ্যে, ‘মহামারির পর খেলা শুরু হয়েছে। কিছুদিন পর আমরাও মাঠে ফিরব। বাংলাদেশের জন্য তিনটি টেস্ট ম্যাচ অপেক্ষা করছে। বিসিবি ভালো পরিকল্পনা নিয়েছে। শ্রীলঙ্কার মাটিতেই হবে অনুশীলন পর্ব। তিন সপ্তাহ ভালো সময়। প্রথম টেস্টের আগে লম্বা সময় পাওয়া যাচ্ছে। শেষ ছয়-সাত মাসে কোনো খেলা হয়নি। এর আগে যে সময় পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো ভালোভাবে কাজে লাগাতে হবে।’ 

বিসিবির পক্ষ হয়ে ম্যাকমিলানের সঙ্গে প্রথম যোগাযোগ করেছিলেন হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। ডমিঙ্গো ম্যাকমিলানকে কোচ হওয়ার প্রস্তাব দেন। পরবর্তীতে বিসিবির সঙ্গে আলোচনায় ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে ম্যাকমিলানের চুক্তি চূড়ান্ত হয়।

‘আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। হুট করে রাসেল ডমিঙ্গো আমাকে ফোন দেয়। সে আমাকে এখানে কাজ করার কথা জানায়। আমি এক সপ্তাহ সময় নিয়েছিলাম। পরবর্তীতে আমি সম্মতি দেই। নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে আগ্রহ দেখাই। এ সময়ে এমন প্রস্তাব আসবে আমি ভাবি নি। যেখানে ক্রিকেটই হচ্ছে না সেখানে কোচিংয়ের প্রস্তাব অনেক বড়। আমি অধীর আগ্রহে দলের ও কোচিং স্টাফের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছি।’– যোগ করেন নিউ জিল্যান্ডের হয়ে এক দশকের বেশি সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা ম্যাকমিলান।