ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির সঙ্গে আফগানিস্তান যুক্ত হয়েছে ১৬ বছর আগে। এর মধ্যে দলটি টেস্ট, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি তিন ফরম্যাটে স্ট্যাটাস পেয়েছে। ধরা হয়ে থাকে, টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়া এশিয়ান এই ক্রিকেট খেলুড়ে দেশটির সবচেয়ে বড় অর্জন। তবে সে ধারণা বদলাতে চাইছেন, দলটির অধিনায়ক এবং সবচেয়ে বড় তারকা রশিদ খান। এই লেগ স্পিনার জানিয়েছেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শিরোপা জেতা আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় অর্জন হওয়া উচিত।
আইপিএল খেলতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থান করা রশিদ, ভারতীয় ক্রিকেটার রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সঙ্গে আলোচনার সময় এমন স্বপ্নের কথা জানিয়েছেন। ‘ডিআরএস উইথ অ্যাশ’ নামক ইউটিউব শোতে এসব কথা বলেন রশিদ। আফগানিস্তান অধিনায়ক বলেন, ‘আমরা পূর্ণ সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়াতে দেশের সবচেয়ে বড় স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। এটা আমরা চেয়েছিলাম, এর জন্য প্রার্থনাও করেছিলাম। এটাই এখন পর্যন্ত দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় অর্জন।’
তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জেতা আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় অর্জন হয়ে উচিত জানিয়ে আফগান অধিনায়ক আরও যোগ করেন, ‘আমার মনে হয়, আফগানিস্তানের জন্য সবচেয়ে বড় অর্জন হওয়া উচিত, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতা। এই মুহূর্তে দলের প্রতিটা ক্রিকেটার এটাই চাইছে, দেশের সমর্থকেরাও শিরোপার আশা করছে। আর আমাদের কাছেও এটা এখন সবচেয়ে বড় স্বপ্ন।’
সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়েও আফগানিস্তানের অবস্থান দশম স্থানে। তবে সেটি নিয়ে ভাবছেন না রশিদ। বরং নিজ দলের ক্রিকেটারদের উপর বিশ্বাস আছে তিনদিন পর বয়স ২২ স্পর্শ করতে যাওয়া রশিদের। তার ভাষ্যে, ‘আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের ক্রিকেটারদের মধ্যে সেই প্রতিভা, স্কিল আছে। এখন আমাদের এটা বিশ্বাস করা উচিত যে, আমরা এটা পারবো। প্রতিভার দিক থেকে আমরা কিন্তু খুব ভালো দল। এই দলে দুর্দান্ত স্পিনারের পাশাপাশি, ভালো মানের পেসার এবং স্কিলফুল ব্যাটসম্যান রয়েছে।’
আর তাই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে নিজেদের সবচেয়ে বড় অর্জনের মাত্রা হিসেবে দেখতে চাইছেন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের হটকেক রশিদ খান। তিনি বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড়দের জন্য আফগানিস্তান অনেক বিখ্যাত। তাই টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বকাপ জেতাটা আমার এবং পুরো দল ও দেশের স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি, শিরোপা জিতলে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এবং আমাদের জন্য সেদিন সবচেয়ে বড় অর্জন হিসেবে ধরা দেবে।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্বপ্ন দেখা রশিদ খান এর আগে ঘোষণা দিয়েছিলেন, শিরোপা না জেতা পর্যন্ত জীবনের দ্বিতীয় ইনিংসে পা রাখবেন না তিনি।