খেলাধুলা

বাফুফের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন বাদল রায়

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন সাবেক ফুটবলার এবং বর্তমান সহ-সভাপতি বাদল রায়। এবারের নির্বাচনে বর্তমান সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিনকে চ্যালেঞ্জ জানাতে সভাপতি পদে মনোনয়ন কিনেছিলেন বাদল রায়।

সাবেক এই ফুটবলার এবং ক্রীড়া সংগঠক সভাপতি পদ থেকে সরে দাঁড়ালেও তার মনোনয়ন প্রত্যাহার হয়নি বলে জানিয়েছে বাফুফে। মনোয়ন প্রত্যাহারের দিনে স্ত্রীকে পাঠিয়ে তা প্রত্যাহারের আবেদন করেন বাফুফের বর্তমান এ সহ-সভাপতি। তবে নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ায় বাদল রায়ের আবেদন গ্রহণ করেনি নির্বাচন কমিশন।

আর সেই কারণে আজ (শুক্রবার) সাংবাদিক সম্মেলন করে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাদল রায়। এইসময় তার পাশে ছিলেন তার স্ত্রী মাধুরী রায়। তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, শারীরিক অসুস্থতা জনিত কারণে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর চিন্তা করতে হয়েছে তাকে।

মোহামেডান ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয় দলের সাবেক এই ফুটবলার বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন বাফুফের সঙ্গে ছিলাম। ফুটবলের অনেক কিছুর সঙ্গেই জড়িত ছিলাম। আমার কষ্ট লাগছে। ফুটবল ছাড়া আমি বাঁচতে পারবো না। তারপরও আমি শারীরিক অসুস্থতার কারণে ফুটবল ফেডারেশনের আসন্ন নির্বাচন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিচ্ছি।’

এদিকে বাদল রায় প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেও সভাপতির ব্যালটে নাম থাকবে তার। ফলে কাউন্সিলররা চাইলে তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে নির্বাচিত হলে হলে সভাপতির চেয়ারেও বসতে হবে তাকে।

আর সেই বিষয়ে বাদল রায় বলেন, ‘সারাদেশের কাউন্সিলর, ডেলিগেটরাই ফুটবলের ভাগ্য নির্ধারণ করবেন। তৃণমূলের সংগঠকদের জন্য আমি খুব চিন্তা করি। তারা আমাকে খুব ভালবাসতো। তৃণমূলের সংগঠকরা কষ্ট পাবে। আমার কষ্ট লাগছে যে আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি। আমার শরীর খারাপ। এটা আমার জানানো দরকার, জানিয়ে দিয়েছি। এখন কাউন্সিলররা সিদ্ধান্ত নেবেন, তারা কি করবেন। আমি অনেক কষ্ট নিয়েই সরে দাঁড়াচ্ছি।’

এদিকে বাদল রায় নির্বাচনে না থাকলেও বাকি দুই সভাপতি প্রার্থী সালাউদ্দীন এবং শফিকুল ইসলাম মানিক মাঠে থাকছেন। এই দুইজনের মধ্যে কাকে সর্মথন দেবেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে বাদল রায় বলেন, ‘এই মুহূর্তে এ বিষয়ে আমি কোনো কথা বলতে চাই না। শুধু তৃণমূলের সংগঠকদের জানাতে এসেছি আমি নির্বাচনে নাই। যারা কাজ করবে না, তাদের দয়া করে আপনারা ভোট দেবেন না। এটাই আমার অনুরোধ।’