খেলাধুলা

স্বামীর মৃত্যুতে আবেগঘন বার্তা ডিন জোন্স পত্নীর

আচমকা এমন খবর শুনবেন, সুদূরতম কল্পনাতেও হয়ত ভাবেননি জেন জোন্স। ৩৪ বছর ধরে যার সংসার করছেন সেই ডিন জোন্স জীবন থেকে হারিয়ে যাবেন আট হাজার কিলোমিটার দূরে, হুট করে কোনো সংকেত দেওয়া ছাড়াই। স্বামীর মৃত্যুতে তাই চরমভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন প্রফেসর ডিনোর স্ত্রী জেন জোন্স। স্বামীর মৃত্যুতে আবেগঘন এক বার্তা দিয়েছেন জেন জোন্স।

যেখানে নিজের হতাশার কথা জানিয়েছেন জেন। এছাড়াও নিজের বার্তায় ব্রেট লির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন জেন। উল্লেখ্য, ডিন জোন্স হার্ট অ্যাটাক করার পর ব্রেট নিজের সর্বোচ্চটুকু চেষ্টা করেছেন। সঙ্গে সঙ্গে নিজেই সিপিআর দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এমনকি মুখ দিয়ে শ্বাস দেওয়ার মাধ্যমে একবার আশার আলোও জাগিয়ে তুলেছেন। তবে সবকিছুর মায়া ছেড়ে ৫৯ বছর বয়সে মুম্বাইয়ের এক সাত তারকা হোটেল পৃথিবীর মায়া ছেড়েছেন ডিন জোন্স। মৃত্যুকালে স্ত্রী জেন জোন্স ছাড়াও দুই কন্যা রেখে যান অস্ট্রেলিয়ার এই কিংবদন্তি।

স্বামীর মৃত্যু নিয়ে জেন জোন্স নিজের আবেগী বার্তায় বলেন, ‘যখন শুনলাম ডিন ভারতে মৃত্যুবরণ করেছেন, এটা আমাদের কাছে অবিশ্বাস্য বিষয় ছিল। আমি আর আমার মেয়েরা একদম ভেঙ্গে পড়েছিলাম। আমার ভালোবাসার মানুষ, আমার সুন্দর স্বামী; যে কোনো প্রাণশক্তিতে ভরপুর ছিল, সে আমাদের ছেড়ে চলে গেছে। আমাদের বিশাল এক শূন্যতায় ফেলে গেলো, যেটা কখনো পূর্ণতা পাবে না। আমাদের সুন্দর সব স্মৃতি উপহার দিয়ে বিদায় নিয়েছেন তিনি, আর এটাই আমাদের জীবদ্দশায় সম্বল হয়ে থাকবে।’

এরপরই ব্রেট লির প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং উপমহাদেশের প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে জেন জোন্স আরও যোগ করেন, ‘ডিনের মৃত্যুর পরে অনেকে আমাদের খোঁজ নিচ্ছেন। সকলের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। তবে আমরা সবচেয়ে বেশি কৃতজ্ঞ ব্রেট লির কাছে। তিনি ডিনকে বাঁচিয়ে রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টাটুকু করেছেন। এছাড়াও আমরা উপমহাদেশ থেকে যে ভালোবাসা পেয়েছি, এটা আমাদের আবেগে আপ্লুত করেছে। আমি জানিয়ে রাখতে চাই, ডিন উপমহাদেশের ক্রিকেটকে অসম্ভব ভালোবাসতো।’

১৯৮৬ সালে তুরাকে জেন জোন্সের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হোন ডিন জোন্স। এরপর থেকে মেলবোর্নের মাসিডন রেঞ্জস শহরে নিজেদের বাড়িতে আছেন এই দম্পতি। ২৫ বছর ধরে থাকা সেই আবাসস্থলে ফিরতে যাচ্ছেন ডিন জোন্স। তবে নিথর হয়ে। ইতিমধ্যে স্টার স্পোর্টস কর্তৃপক্ষ সেই প্রক্রিয়া শুরু করেছে।