খেলাধুলা

ম্যাচের মাঝপথে প্রকৃতির ডাকে মাঠ ছেড়ে বাইরে ফুটবলার

টটেনহ্যাম হটস্পারের মাঠে ইএফএল কাপের শেষ ষোলোর খেলা চলছিল। প্রতিপক্ষ চেলসি। খেলার ৭৭ মিনিটে ঘটলো অদ্ভুত এক ঘটনা। ১-০ গোলে পিছিয়ে থাকা টটেনহাম খেলছে ১০ জন নিয়ে। যদিঅ রেফারি কাউকে লাল কার্ড দেখাননি। মিনিট দুয়েক পর আবার ১১ জনের দলে রূপ নিলো টটেনহ্যাম। এই সময়ের মাঝে হুট করে প্রকৃতির ডাকে মাঠ ছড়ে বসেন স্পারসদের তারকা ফুটবলার এরিক ডায়ার।

তবে এই ডিফেন্ডার মাঠ ছাড়ার সময় রেফারি আর দুই সতীর্থকে জানালেও, বলেননি কোচ হোসে মরিনহোকে। আর তাই ডায়ারকে মাঠে না দেখে তাকে খুঁজতে টানেলে ঢুকে পড়েন মরিনহো। তবে প্রয়োজনীয় কাজটি সেরে ততক্ষণে আবার মাঠের দিকে ছুট ডায়ারের।

এই ডিফেন্ডারের না থাকার সুযোগ অবশ্য ম্যাচে নিতে পারেনি চেলসি। উল্টো ডায়ার মাঠে ফেরার কিছু সময় পরে টটেনহ্যামের হয়ে ম্যাচে সমতা ফেরান এরিক লামেলা। পরবর্তীতে পেনাল্টি শ্যুটআউটে ৫-৪ ব্যবধানে ম্যাচ জিতে নেয় মরিনহোর দল।

ম্যাচে দুই মিনিট না থাকলেও দারুণ খেলা ডায়ারই ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতে নেন। ইনস্টাগ্রামে সেই ছবি শেয়ারও করেন এই ইংলিশ ডিফেন্ডার। তবে মজার বিষয় হচ্ছে, ম্যাচসেরার সেই পুরস্কারটি টয়লেট সিটের উপর রেখে ছবি তোলেন ডায়ার। ইনস্টাগ্রামে ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখেন, ‘আসল ম্যান অফ দ্য ম্যাচ।’

অবশ্য ম্যাচের পর সাক্ষাৎকারেই জানিয়েছিলেন, প্রকৃতির ডাক তখন উপেক্ষা করা সম্ভব ছিল না তার পক্ষে, ‘সবাই বুঝতেই পারছে। আমি ঠিক আছি, আমার এমনটা এবারই প্রথম হল। আমার পক্ষে এই ব্যাপারে কিছু করা সম্ভব ছিল না। যখন আপনার যাওয়ার প্রয়োজন হবে, আপনাকে যেতেই হবে। কিছু বিষয় আপনি ঠেকাতে পারবেন না।’

তার পিছু নিয়ে মরিনহোর দৌড়ে যাওয়ার প্রসঙ্গটিও উঠে এসেছে ডায়ারের কথায়, ‘আমি জানি না হোসে বুঝতে পেরেছে কিনা আমি কী করছি। আমি পিয়েরে-এমিল হবজবার্গ এবং টোবি অলডারভেইরেল্ডকে যাওয়ার সময় বলে গিয়েছিলাম। হোসে খুশি ছিল না, তবে আমার কিছুই করার ছিল না, কারণ প্রকৃতি ডাক দিয়েছিল।’