খেলাধুলা

বিশ্ব একাদশ-এশিয়া একাদশের ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা বিসিবির

মুজিব শতবার্ষিকী উদযাপন করার লক্ষ্যে বাংলাদেশে বিশ্ব একাদশ ও এশিয়া একাদশের মধ্যকার দুই ম্যাচের সিরিজ আয়োজনের পরিকল্পনা করেছিল বিসিবি। কিন্তু করোনা প্রকোপে ভেস্তে যায় সেই পরিকল্পনা। ম্যাচগুলো স্থগিত করতে বাধ্য হয় বাংলাদেশ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তবে পুনরায় ক্রিকেট ফেরানোর চেষ্টায় থাকা বিসিবি জানিয়েছে, করোনা পরিস্থিতি শিথিল হলে বিশ্ব একাদশ এবং এশিয়া একাদশের মধ্যকার ম্যাচগুলো আয়োজন করবে তারা। সেই পরিকল্পনাই করছে বিসিবি।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে গত ২১ ও ২২ মার্চ ম্যাচ দুটি হওয়ার কথা ছিল মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে। তার আগে ১৮ মার্চ হওয়ার কথা ছিল এ আর রহমানের কনসার্ট। কিন্তু বাংলাদেশে ৮ মার্চ প্রথম ধরা পড়ে করোনাভাইরাস। এর দশ দিন পর করোনায় প্রথম মৃত্যুর খবর আসে বাংলাদেশে। যার কারণে সকলের সুরক্ষা বিবেচনায় পিছিয়ে দিতে হয় সবকিছু। এমনকি দেশের সব ধরনের ক্রিকেট কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।

তবে সম্প্রতি দেশে আবার ক্রিকেট কার্যক্রম চালু করেছে বিসিবি। ইতিমধ্যে ক্রিকেটাররা ব্যক্তিগত অনুশীলন থেকে শুরু করে দলীয় অনুশীলন এমনকি দুইটি দুই দিনের প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ খেলেছে। রোববার শুরু হচ্ছে তিন দলের ওয়ানডে টুর্নামেন্ট। এরপর আয়োজন করা হবে একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। এমনকি ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটও ফেরানোর আশা বিসিবির।

আর এমন সময় স্বাভাবিকভাবেই তাই সামনে আসে মুজিববর্ষের টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দুটির ভাগ্য নিয়েও। বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরি জানিয়েছেন, ম্যাচ দুটি আয়োজনের পরিকল্পনা আছে বিসিবির।

তার ভাষ্যে, ‘আমাদের তো এখনো পরিকল্পনায় রয়েছে। কিন্তু আপনারা জানেন যে বিশ্বের সার্বিক পরিস্থিতির কারণে...মুজিব শতবর্ষ উদযাপনে আমাদের নিজস্ব কিছু পরিকল্পনা ছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে, অনুকূলে থাকলে আমরা কিন্তু সেটাকে এখনো একেবারেই আমাদের পরিকল্পনার বাইরে নিয়ে যাইনি। আমাদের পরিকল্পনা সেভাবেই আছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এটা আয়োজন করার পরিকল্পনা আছে।’

বিশ্ব একাদশ এবং এশিয়া একাদশের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশে তারকা সব ক্রিকেটারের সমারোহ ঘটার পরিকল্পনা সাজিয়েছিল বিসিবি। বিশ্ব একাদশে কাইরন পোলার্ড, ক্রিস গেইল, ফাফ ডু প্লেসি, জনি বেয়ারস্টো, নিকোলাস পুরানদের মতো ক্রিকেটারদের আসার কথা ছিল। আর এশিয়া একাদশে বাংলাদেশি ক্রিকেটার ছাড়াও ভারতের বিরাট কোহলি, লোকেশ রাহুল, শিখর ধাওয়ান, রিশভ পান্ত, মোহাম্মদ শামি; শ্রীলঙ্কার থিসারা পেরেরা, লাসিথ মালিঙ্গা এবং আফগানিস্তানের রশিদ খানের খেলার কথা ছিল।