খেলাধুলা

টি-টোয়েন্টিতে শোয়েবের দশ হাজার, উৎসর্গ বাবা-মাকে

তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে দশ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন পাকিস্তানের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার শোয়েব মালিক। প্রথম এশিয়ান ক্রিকেটার হিসেবে এই কীর্তি গড়েছেন ৩৯ বছর বয়সী শোয়েব। অবিশ্বাস্যভাবে, এই কীর্তি গড়ার পথে টি-টোয়েন্টিতে কোনো সেঞ্চুরি হাঁকাননি শোয়েব। এমন মাইলফলক স্পর্শ করে, নিজের বাবা-মাকে সেটি উৎসর্গ করেছেন পাকিস্তানি এই ক্রিকেটার।

পাকিস্তানের ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপে খাইবার পাখতুনখাওয়ার হয়ে বেলুচিস্তানের বিপক্ষে ৪৪ বলে ৭৪ রানের ইনিংস খেলার পথে এই মাইলফলক স্পর্শ করেছেন শোয়েব। ৩৬৮ ইনিংসে এই মাইলফলকের দেখা পান তিনি। এই পাকিস্তানি ক্রিকেটারের মোট রান এখন ১০ হাজার ২৭। তার আগে এই মাইলফলক স্পর্শ করেছেন কেবল ক্রিস গেইল এবং কিয়েরন পোলার্ড। ৩৯৬ ইনিংসে ১৩ হাজার ২৯৬ রান করে সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে গেইল এবং ৪৬২ ইনিংস খেলে ১০ হাজার ৩৭০ রান পোলার্ডের।

এশিয়ান ব্যাটসম্যানদের মধ্যে মালিকের পরে আছেন বিরাট কোহলি। আইপিএলে শনিবার ৯০ রানের দুর্দান্ত ইনিংসটি খেলার পর কোহলির রান এখন ৯ হাজার ১২৩। ৯ হাজার ৯২২ রান নিয়ে ক্যারিয়ার শেষ করেছেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। ৯ হাজার ৫০৩ রান করে তালিকার পাঁচে ডেভিড ওয়ার্নার।

ক্রিকেট বিশ্বজুড়ে ২৩টি দলের হয়ে টি-টোয়েন্টি খেলেছেন মালিক। ১০ হাজার ছুঁলেও এই সংস্করণে এখনও সেঞ্চুরির স্বাদ পাননি মালিক। ফিফটির দেখা পেয়েছেন ৬২ বার। তার সর্বোচ্চ ইনিংস অপরাজিত ৯৫।

এমন কীর্তি গড়ার পর শোয়েব মালিক সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে নিজের বাবা-মাকে এই মাইলফলকের গৌরব উৎসর্গ করে লিখেন, ‘আমি আমার এই মাইলফলক আমার বাবা-মাকে উৎসর্গ করতে চাই। তাদের দোয়ায় আমি এতদূর আসতে পেরেছি। আমার বাবা যদি আজ বেঁচে থাকতেন, আমার এই কীর্তিতে তিনি অনেক খুশি হতেন।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘এশিয়ার মধ্যে সর্বপ্রথম ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে দশ হাজার রান স্পর্শ করতে পারায় এবং এই যাত্রায় পাকিস্তানের সবাই আমার পাশে থাকায় আমার সব ভক্ত-সমর্থকদের জানাই শুভেচ্ছা। আমি আশা করছি, আমি আমার খেলার মাধ্যমে আরও রান করে নিজেকে সামনে নিয়ে যাবো। এছাড়াও আমি আমার সতীর্থ, গ্রাউন্ড স্টাফ, ভক্ত এবং সমর্থক সবার কাছে কৃতজ্ঞ।’