খেলাধুলা

জম্মু-কাশ্মীরের ক্রীড়া উন্নয়নে ‘ওয়াটার স্পোর্টস’-এ চোখ

পৃথিবীর বুকে এক টুকরো স্বর্গ বলে আখ্যায়িত করা হয় জম্মু-কাশ্মীরকে। সৌন্দর্য্যের আধার বলেই এই অঞ্চলকে ঘিরে কেবল পর্যটনের পরিকল্পনাই করা হয়ে থাকে। তবে এবার জম্মু-কাশ্মীরের ক্রীড়াক্ষেত্রে উন্নয়নের দিকে মনোযোগ দিয়েছে অঞ্চলটির কেন্দ্রীয় সরকার।

জম্মু-কাশ্মীরের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী হচ্ছে শ্রীনগর। সেখানকার ডাল লেকে বিভিন্ন ধরনের ওয়াটার স্পোর্টস আয়োজন করা হয়ে থাকে। যা পর্যটকদের কাছেও থাকে দারুণ আকর্ষণের। সেখানে তাই ইতিপূর্বে গড়ে উঠেছিল ডাল লেকের ওয়াটার স্পোর্টস সেন্টার। কিন্তু সুযোগ সুবিধা ছিল অপ্রতুল। বর্তমানে সেখানকার স্থানীয় ক্রীড়াবিদদের জন্য বিশ্বমানের সরঞ্জাম অবকাঠামো গড়ে তুলেছে অঞ্চলটির কেন্দ্রীয় সরকার।

অঞ্চলটিতে নাইজিন লেক, ডাল লেক এবং আরও অনেক প্রাকৃতিক পানির উৎস থাকায় এই অঞ্চলে ওয়াটার স্পোর্টসের সেক্টরে পেশাদার ক্রীড়াবিদ এবং অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের সুযোগ সীমাহীন। এতদিন অবকাঠামো এবং সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেখানকার অনেক প্রতিভা হারিয়ে গেছে, পায়নি পরিপূর্ণ বিকাশের সুযোগ। তবে বর্তমানে ওয়াটার স্পোর্টস সেন্টারে নতুন চেঞ্জিং রুম, আন্তর্জাতিক মানের নৌকা ও জেটি সংস্থার কাজ করা হয়েছে। যা ক্রীড়াবিদদের আরও এগিয়ে যেতে এবং বিশ্বমঞ্চে নিজেদের উপস্থাপন করতে সহায়তা করবে।

জম্মু-কাশ্মীরের ওয়াটার স্পোর্টসের আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় এবং কোচ বিলকিস মির ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এএনআইকে বলেন, ‘আমাদের অঞ্চলে সমতল এবং বন্য পানির অনেক উৎস রয়েছে। এখানকার বেশ কয়েকজন যুবকের ওয়াটার স্পোর্টসে এত আগ্রহ এবং সম্ভাবনা রয়েছে যে, উদীয়মান ক্রীড়াবিদদের জন্য সুযোগগুলো বেশ কাজে লাগবে। কেন্দ্রীয় সরকার যে নতুন সুযোগ সুবিধাগুলো সরবরাহ করেছে তা স্পোর্টস সেন্টারকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে সহায়তা করবে।’

বিলকিস মির আরও যোগ করেন, ‘আধুনিক ক্রীড়া সরঞ্জাম পেয়ে খেলোয়াড়রা বেশ উত্সাহ পাচ্ছেন। কারণ সরকার ক্রীড়াবিদদের ব্যাপক সমর্থন দিচ্ছে। কয়েক বছর আগে আমি যখন আমার ক্যারিয়ার শুরু করছিলাম তখন আমরা এই সরঞ্জামগুলোর জন্য খুবই আগ্রহী ছিলাম। আমি খুব আনন্দিত যে তরুণ প্রজন্মের কাছে এখন এই সমস্ত ক্রীড়া সরঞ্জাম থাকবে। আগামী কয়েক বছরে আমি জম্মু ও কাশ্মীরে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের খেলোয়াড়দের দেখতে পাব বলে আশা রাখি।’