খেলাধুলা

শেষের ঝড়ে জিম্বাবুয়ের সামনে বড় লক্ষ্য দিলো পাকিস্তান

৩৯ ওভার শেষে পাকিস্তানের স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ১৭৫ রান। তবে শেষের দিকে ঝড় তুলে সফরকারী জিম্বাবুয়ের সামনে ২৮২ রানের বড় লক্ষ্য দিলো স্বাগতিক পাকিস্তান। শেষ ১১ ওভারে বাবর আজমের দল তোলে ১০৬ রান।

করোনা সংকট কাটিয়ে লম্বা সময় পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরেছে এশিয়ায়। রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম ম্যাচেই মুখোমুখি পাকিস্তান-জিম্বাবুয়ে। ১৪ বছর পর ওয়ানডে ক্রিকেট ফেরা রাওয়ালপিন্ডিতে এদিন টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় স্বাগতিক দলের অধিনায়ক বাবর।

আগে ব্যাটিংয়ে নেমে সাবধানী সূচনা করে দলটি। তবে ৪৭ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়তেই আঘাত হানেন জিম্বাবুইয়ান পেসার কার্ল মুম্বা। ২১ রান করা আবিদ আলীকে এলবিতে ফেরান এ জিম্বাবুইয়ান। দ্বিতীয় উইকেটে অধিনায়ক বাবরকে নিয়ে ৪২ রানের জুটি গড়ে দারুণ গতিতে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন ইমাম-উল হক। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি বাবর। মাত্র ১৯ রান করে ফেরেন পাকিস্তান অধিনায়ক।

টপ অর্ডারের দুই ব্যাটসম্যান ব্যর্থ হলেও সতর্কতার সঙ্গে খেলে ফিফটি তুলে নেন ইমাম। তবে পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর বেশিদূর এগুতে পারেননি এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানও। ৫৮ রান করে রান আউটের ফাঁদে পড়ে ফেরেন তিনি। পরবর্তীতে মিডল অর্ডারে হারিস সোহেল ও মোহাম্মদ রিজওয়ান ধীরগতিতে ব্যাটিং করতে থাকেন। এক প্রান্ত আগলে হারিস দলকে এগিয়ে নিলেও মোহাম্মদ রিজওয়ান ফেরেন ১৪ রানে। এরপরে ব্যাট হাতে রানের গতি বাড়াতে থাকেন হারিস। তাকে সঙ্গ দিতে ছয়ে নামা ইফতিখার আহমেদ অবশ্য ১২ রান করে ফিরে যান দলীয় ১৯৪ রানের মাথায়।

এর ১১ রান পরে ফেরেন হারিসও। তবে ফেরার আগে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭১ রান করেন এই বাঁহাতি। শেষদিকে ফাহিম আশরাফ ও ইমাদ ওয়াসিমের ঝড়ে ২৮১ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। ফাহিম ১৬ বলে ২৩ রান করে ফিরলেও ইমাদ ২৬ বলে ৩৪ রান করে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। জিম্বাবুয়ের পক্ষে টেন্ডাই চিসোরো এবং ব্লেসিং মুজারাবানি ২টি করে উইকেট শিকার করেন।