খেলাধুলা

সামাজিক দূরত্ব থাকা উচিত, বললেন বাংলাদেশের কোচ

স্টেডিয়ামের বাইরে মানুষের জটলা। মাঠে প্রবেশের গেটে গায়ে গা লাগিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে ফুটবল প্রেমীরা। গ্যালারিতে পাশাপাশি বসে আছেন প্রায় প্রত্যেকে। নিঃশ্বাস দূরত্বে থেকে চলল গোল উদযাপন। কারো মুখে মাস্ক আছে। কারো নেই। কেউ মাস্ক রেখেও ব্যবহার করছেন না। কেউ মাস্ক ব্যবহারই করেন না। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যকার ম্যাচে এসব দৃশ্যর দেখা মিলল।

কিছুদিন আগেও করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বিপর্যস্ত ছিলো দেশ। ভাইরাসের অদৃশ্য শেকলে মানুষের হাত-পা ছিলো বন্দি। ধীরে ধীরে সেই শেকল ভেঙে মাঠে-ময়দানে নেমে এসেছে সাধারণ। জৈব সুরক্ষা বলয়ে চলছে প্রতিদিনের কার্যকম। সেই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন মাঠের ফুটবলের সঙ্গে ফিরিয়েছে দর্শকও। কিন্তু পাশাপাশি আসনে বসে খেলা দেখায় সামাজিক দূরত্বের বালাই খুব একটা ছিল না।

বিষয়টি চোখ এড়ায়নি বাংলাদেশের কোচ জেমি ডে’র। খুব কাছ থেকেই দেখেছেন সামজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না। তাইতো ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনেও ইংলিশ কোচ বললেন, ‘হ্যাঁ, সেইসঙ্গে গ্যালারিতে সামাজিক দূরত্ব থাকাও উচিত ছিল (হাসি)।’

বলা হয়েছিল আট হাজার দর্শক মাঠে ঢুকতে পারবেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুতে দর্শকের উপস্থিতি ছিল প্রায় দশ হাজার। সেটা কিভাবে? এ নিয়ে একাধিক কর্মকর্তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু কেউই কথা বলতে রাজি হননি।

গ্যালারির উন্মাদনা ও সমর্থন বাংলাদেশকে ২-০ গোলে জেতাতে বড় ভূমিকা রেখেছে বলে মন্তব্য করেছেন কোচ। দ্বিতীয় ম্যাচে তাদের থেকে একই সমর্থণ চাইলেন জেমি ডে। তিনি বলেন, ‘আসলে পরিবেশ দারুণ ছিল। দর্শকদের উন্মাদনা খেলোয়াড়দের অনুপ্রাণিত করেছে। ফুটবলাররাও এর প্রতিদান দিয়ে দারুণ ফুটবল উপহার দিয়েছে। আমি আশা করব পরের ম্যাচেও এরকম দর্শক থাকবে। কারণ সমর্থনটা খুবই জরুরী।’

মহামারি করোনার কারণে গত ১১ মার্চের পর ফুটবল ম্যাচ হয়নি বঙ্গবন্ধুতে। দীর্ঘদিন পর মাঠে ফিরল ফুটবল। ফিরল দর্শকও। সেই সঙ্গে জামালরা দিল দাপুটে এক জয়। সব মিলিয়ে দিনটা ছিল বাংলাদেশের ফুটবলের।